আধুনিক বাংলা গানে নিজস্ব গায়কি এবং সংগীতে অসামান্য বুৎপত্তি নিয়ে মান্না দে এক উল্লেখযােগ্য অধ্যায়। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১মে উত্তর কলকাতার এক বনেদি বাড়িতে তার জন্ম। তার রক্তেই ছিল সংগীতের উত্তরাধিকার। কাকা কৃয়চন্দ্র দে ছিলেন সেকালের বিস্ময়কর সংগীতস্রষ্টা। তার কাছেই মান্না দের শৈশবের সংগীত শিক্ষা হয়েছিল। এ ছাড়াও ওস্তাদ দবীর খাঁ- র কাছে তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষা নেন। ১৯৪২-এ কাকা কৃয়চন্দ্র দে-র সঙ্গী হয়ে তিনি মুম্বাই যান। এখানে প্রথমে কাকা এবং পরে শচীনদেব বর্মন ও অন্যান্যদের সঙ্গে সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৩- এ ‘তামান্না’ সিনেমায় সুরাইয়া-র সঙ্গে দ্বৈতসংগীত জাগাে, আয়ি উষা দিয়ে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে মান্না দের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৫০-এ মশাল ছবিতে একক শিল্পী হিসেবে মান্না দে-কে পাওয়া যায়। এর মধ্যেই নিজে সংগীত পরিচালনাও শুরু করেন। কিন্তু গানের শিক্ষাকে তিনি থামিয়ে দেননি।

পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেই উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ আমন আলি খান এবং ওস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছে এবং ধীরে ধীরে হিন্দি ও বাংলা গানের জগতে অপ্রতিরােধ্য হয়ে ওঠেন মান্না দে। সর্বমােট ১২৫০টি বাংলা গান তিনি গেয়েছেন। আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, ভক্তিগীতি-সহ সংগীতের সব শাখাতেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। বাংলা ছাড়াও ভােজপুরি, মৈথিলি, অসমিয়া, ওড়িয়া, গুজরাটি, পাঞ্জাবি-সহ সবকটি প্রধান ভারতীয় ভাষাতেই মান্না দে গান করেছেন। শঙ্খবেলা’, অ্যান্টনি ফিরিজ্গি’, ‘চৌরঙ্গি, তিন অধ্যায়’, ‘বনপলাশীর পদাবলী’, ‘মৌচাক’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’ এরকম অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রে মান্না দের গাওয়া গান ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। বাঙালির হৃদয়ে চিরস্থায়ী জায়গা করেছে ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে’, ‘দীপ ছিল শিখা ছিল’, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা, আমি যে জলসাঘরে ইত্যাদি অজস্র গান। চলচ্চিত্রে একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও। 

পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে। 

কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও। 

কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 

চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে। 

বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।