“বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে কথ্যভঙ্গি সৃষ্টিতে প্যারীচাঁদ মিত্রের স্থান সর্বাগ্রে।”

ভূমিকা: বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের উন্মেষপর্বে তথা বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রাথমিক পর্বে প্যারীচাঁদ মিত্র বা টেকচাঁদ ঠাকুর (১৮৪১-৮৩) অবিসংবাদিতভাবে কীর্তিমান মানুষ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাতে বাংলা সাধু গদ্যের যে রূপ গড়ে উঠেছিল, প্যারীচাঁদ মিত্র তা অনুকরণ বা অনুসরণ না করে বাংলা গদ্যে একটি লঘু ভঙ্গির উদ্ভব ঘটান। তাই তিনি উনিশ শতকে কথ্য বাকভঙ্গির প্রবর্তক, প্রথম বাংলা উপন্যাস রচয়িতা। প্যারীচাঁদ সাহিত্যে, সংস্কৃতে ও ব্যক্তিজীবনে ছিলেন রামমোহন ও ইয়ংবেঙ্গলের প্রভাবে প্রভাবিত নব্য ধারার ও আধুনিকতার প্রতিভায় সমুজ্জ্বল।

প্যারীচাঁদ মিত্র তাঁর উপন্যাসসমূহে বিদ্যাসাগর ও অক্ষয় কুমার দত্তের সংস্কৃত বহুল গুরুগম্ভীর ভাষার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সহজ ও সবেতের বীয়। ভাষাটা প্রবর্তন করে বাংলা সাহিত্যের প্রধান সংস্কারক এবং চলিত ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টির বিপ্রদর্শক হিসেবে স্মরণীয়। প্যারীচাঁদই প্রথম নতুন বিষয়বস্তুর প্রকরণে বাংলা ভাষায় এক নবতর ধারার সূচনা করেন। দেশীয় ভাব-কল্পনায় রচিত “আলালের ঘরের দুলাল” (১৮৫৮) এর ভাষা ‘আলালী ভাষা’ নামে পরিচিত। তীব্র বাস্তব সচেতন লেখক জীবনের স্বরূপ প্রকাশার্থে ভাষায় কথ্য গদ্যভঙ্গির আশ্রয় নিয়েছেন। সর্ব সাধারণের বোধগম্যতার জন্য ‘আলালী ভাষা’ মুখের কথার উপর নির্ভর করে লিখিত। প্যারীচাঁদের আলালী ভাষা বা স্বতন্ত্র গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-

  1. শ্লেষ কৌতুক – হাস্যরস;
  2.  বাক্যরীতির কথ্যভঙ্গি;
  3.  কোলকাতার নিকটবর্তী অঞ্চলের ভাষা;
  4.  আরবি-ফারসি- শব্দের সুষ্ঠু প্রয়োগ:
  5.  দেশি-বিদেশি ও তৎসম শব্দের ব্যবহার;
  6.  ক্রিয়াভিত্তিক, কারক ভিত্তিক ও অব্যয়কে নবরূপে প্রয়োগ;
  7.  সমাস-সন্ধিযুক্ত দীর্ঘ বাক্য ও যুক্ত ক্রিয়াপদ পরিহার;
  8.  চরিত্রানুগ সংলাপ রচনা;
  9.  সংলাপে সাধু ও কথ্যরীতির মিশ্রণ:
  10. সাহেবি উচ্চারণে বাংলা ফারসি ও হিন্দির মিশ্রণ;
  11.  বাগধারা ও প্রবাদ বাক্যের ব্যবহার;
  12.  অনুপ্রাস, অনুকার ও শব্দ দ্বৈততার প্রয়োগ:
  13.  বিরাম চিহ্নের বিকল্পে ড্যাস (-) ব্যবহার;
  14.  চরিত্রের পরিচয়ে দ্যোতক শব্দের সার্থক ব্যবহার ও
  15.  নিয়মানুগ ভাষার ব্যবহার।

বাংলা ভাষা সংস্কারক প্যারীচাঁদ মিত্র আলালী ভাষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাধু গদ্য রীতির কাঠামোর উপরই প্রতিষ্ঠিত। চরিত্র উপযোগী ভাষা ব্যবহারে লেখক অধিকতর দক্ষ। বাবুরামের দ্বিতীয় বিবাহের সংবাদে নাপতানীর উক্তি- “তমা আমি কোজ্জার? ও বুড়ো চোক্‌ক্সা আবার বে করবে।” তৎকালীন জীবনের চিত্র হিসেবে ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এর ঐতিহাসিক মূল্য থাকলেও এ গ্রন্থে ভাষারীতির যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শিত হয়েছে তার জন্য বাংলা সাহিত্যে প্যারীচাঁদ মিত্রের অবদান অবশ্য স্মরণযোগ্য। এই গ্রন্থে সর্বসাধারণের বোধগম্য সরল ভাষা প্রযুক্ত হয়েছিল। যেমন-

“রবিবারে কুঠিয়ালারা বড়ো ঢিলে দেন- হচ্ছে হবে- খাচ্ছি খাব-বলিয়া অনেক বেলায় স্নান আহার করে কেহ বা বড়ে টেপেন-কেহ বা তাস পেটেন-কেহ বা মাছ ধরেন-কেহ বা তবলায় চাটি দেন- কেহ বা সেতার লইয়া পিড়িং পিড়িং করেন। কেহ বা শয়নে পদ্মনাভ ভালো বুঝেন-কেহ বা বেড়াতে যান- কেহ বা বহি পড়েন।”

‘ঠকচাচা’ ও ‘ঠকচাচীর’ কথোপকথনে কৌতুক রসের অবতারণা হয়েছে- “মুই চুপ করে থাকবার আদমি নয়, সোশমন যেলে তেনাকে জেপটে, কেমড়ে, মেটিতে পেটিয়ে দি।” অর্থলিলু ধড়িবাজ বাঞ্ছারামের শঠতা তার উক্তিতে প্রতিফলিত- “বাবুরামকে এখানে আনাতে একা দুধে কত ক্ষীর, ছেনা, ননী হইবেক। একবার গাছের উপর উঠতে পারলেই ঢাকার বুদ্ধি করিব।’ আদর্শ চরিত্র বরদা বাবুর ভাষাতেও চরিত্রানুগ ভাষা প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। প্যারীচাঁদ প্রথমে জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় আবিষ্কার করেছেন। পরে ভাষাতে জীবন সংশ্লিষ্ট রূপ দিয়েছেন। উপকরণোপযোগী ভাষা সৃষ্টিতেই তাঁর কৃতিত্ব। আলালী ভাষা সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন- ‘এই আলালী ভাষা সৃষ্টি হইতেই বঙ্গ সাহিত্যের গতি ফিরিয়া গেল। ভাষা সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলালী রহিল না বটে, কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রীও রহিল না, বঙ্কিমী হইয়া দাড়াইল।”

বিদ্যাসাগরীয় বাংলা ভাষায় বিমুখ গদ্য শিক্ষিতদের আকর্ষণীয় আলালী বা গদ্যভাষা প্রচলনই প্যারীচাঁদের কৃতিত্ব। বিদ্যাসাগরীয় গদ্যে যেখানে পদ বিন্যাসে কিছুটা মন্থরতা ছিল- প্যারীচাঁদ মিত্র সেখানে গতির সঞ্চার করেছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগরীয় সাধুরীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাপূর্বক লেখ্য ও কথ্যরীতির সংমিশ্রণে তৎকালীন কলকাতা অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা অবলম্বনে একটি নিজস্ব ও স্বতন্ত্র ভাষারীতির সূচনা করলেন। কাহিনি চরিত্র এবং বিষয়ের উপযোগী সংস্কৃত বর্জিত ভাষা প্যারীচাঁদের ভাষা বৈশিষ্ট্য। তবে “আলালের ঘরের দুলাল”-এ কথ্য ভাষা ব্যবহার করলেও লেখক তাঁর পরবর্তী রচনাগুলোতে সাধু ভাষা ব্যবহার করেছেন।

‘মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়?’ (১৮৫৯) গ্রন্থে প্যারীচাঁদ সমসাময়িক সমাজকে উপস্থাপন করতে গিয়ে সহজবোধ্য, আঞ্চলিক শব্দ বহুল ভাষা ব্যবহার করেছেন। সংকিঞ্চিত থেকে শুরু করে অভেদী আধ্যাত্মিক তিনি ক্রমশ সাধু ভঙ্গির দিকে অগ্রসর হয়েছেন। যৎকিঞ্চিত এ সাধুরীতির যে সৌষ্ঠব তিনি দেখিয়েছেন অভেদীতে তা পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে।

“এ গ্রামের কত লোক গাঁজা খায়। গাঁজাখোরের মধ্যে একজন উত্তর করিল, আমরা সকলেই গাঁজা খাইয়া থাকি, গ্রামের শালগ্রাম ঠাকুর ও আমাদিগের টেপিপিসি যাহার বয়স ৯৯ বৎসর কেবল তাঁহারাই খারিজ আছেন। কলিকাতা এক্ষণে তদ্রুপ।”

এ জাতীয় প্রকৃতি চিত্র পূর্ববর্তী কোন লেখায় দুর্লভ। বঙ্কিমের রচনায় এ জাতীয় ভাষাভঙ্গি সূলভ। বাংলা গদ্যে এবং গদ্য সাহিত্যে প্যারীচাঁদের প্রভাব বঙ্কিমের প্যারীচাঁদী ভাষার অনুসরণ থেকে বোধগম্য হয়।

সংস্কৃত বহুল শব্দের প্রাধান্যে পাঠককুল সাহিত্যের ভাষার সংগে মুখের কথার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সম্বন্ধে এতকাল অনবহিত ছিল। চলিত ভাষার প্রাধান্য স্বীকার করেও যে সাহিত্য রস পরিবেশন করা যায়- এ কথা প্রমাণ করলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। প্রয়োজনে চলিত ভাষার ব্যবহার প্যারীচাঁদের গদ্য ভাষার প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য। খাঁটি সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করেও তিনি যে সাধু ভাষা ব্যবহার করেছেন তা প্রায় চলিত ভাষার মতই সহজবোধ্য এবং নব কলেবর প্রাপ্ত। এ গদ্য ভাষার সহজবোধ্যতার প্রধান কারণ হলো প্যারীচাদের ভাষার জটিল, যৌগিক বা মিশ্র বাক্যের অভাব। এছাড়া তাঁর বাক্যের শ্লিষ্ট সংলাপেও সাধু ও কথ্য ক্রিয়া রূপের মিশ্রণ ও একটি কারণ। “ব্যস্ত হইও না, বিষয়টা তলিয়ে দেখা যাউক।” তাঁর ভাষাতেই উপসর্গরূপ চলিত ক্রিয়ারূপকে সাধু হিসেবি প্রচলনের চেষ্টা লক্ষণীয়- পেছিয়া (পিছাইয়া), লেফিয়ে (লাফাইয়া) ইত্যাদি।

প্যারীচাঁদ ইংরেজ চরিত্রের মুখে ইংরেজি শব্দ বা সাহেবি উচ্চারণে বাংলা ফারসি ও হিন্দির ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি সাহেবি হিন্দির উপর বেশি নির্ভরশীল। “বটলর হাম বড়া খুশ হুয়া।” এছাড়াও প্রচলিত অপ্রচলিত আরবি, ফারসি শব্দ তাঁর গদ্যে দুর্লক্ষ্য নয়। সেজন্য কাওয়াড, মেকটি, বানু ইত্যাদি দেশজ শব্দের মাধ্যমে তিনি প্রচলিত বাগধারা ও প্রবাদ বাক্যের ব্যবহার করেছেন। বক্তব্যকে স্পষ্ট প্রাঞ্জল করার জন্য তিনি রূপক, উপমা, অনুপ্রাস, অনুকার, শব্দদ্বৈত ব্যবহার করেছেন। অনুকার- কড়মড়, হড়মড়, দ্বৈত শব্দ- কস্তাকস্তি, ধস্তাধস্তি, অনুপ্রাস- সর্বদাই, আতঙ্ক, সর্বদাই ভয়, সর্বদাই অসুখ ইত্যাদি।

প্রবাদ-প্রবচন যেকোনো ভাষারই মৌলিক শক্তি ও সত্তার প্রতীক। ‘আলালের ঘরের দুলাল’ সুভাষণ, প্রবাদ, প্রবচন, বাগবিধির এক অমূল্য সঞ্চয়ন। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থেও এ জাতীয় ব্যবহার চোখে পড়ে। যেমন লঘু ও গুরু শব্দের পাশাপাশি ব্যবহার, সুপ্রচলিত এবং অপ্রচলিত আরবি-ফারসি শব্দের স্বাভাবিক ব্যবহার, বর্তমানকালের প্রয়োগ-বিরলতা, দেশজ শব্দের এবং প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার তাঁর রচনার জৌলুস বৃদ্ধি করেছে। যথেষ্ট প্রবাদবাক্যের ব্যবহার, অনুকার ও শব্দদ্বৈতের কৌশলী প্রয়োগ তাঁর পরবর্তী রচনাসমূহে লক্ষ করা যায়। যেমন-

‘আলালের ঘরের দুলাল’ থেকে উদ্ধৃত করা হলো:

  1.  শত্রুর মুখে ছাই গোবর কুড়ে পদ্মফুল।
  2.  যেমন গুরু তেমনি চেলা।
  3.  অরণ্যে রোদন।
  4. যেমন কর্ম তেমনি ফল।
  5.  যে হয় ঘরের শত্রু সেই যায় বরযাত্রী।
  6.  নানা মুনির নানা মত।
  7.  ভাত ছড়ালে কাকের অভাব নাই।
  8.  কিল খেয়ে কিল চুরি।

‘আলালের ঘরের দুলাল’ পরবর্তী রচনা থেকে উদ্ধৃত:

  • গরু কেটে জুতা দান। (মদ খাওয়ার বড় দায় জাত থাকার কি উপায়)
  •  অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। (মদ খাওয়ার বড় দায় জাত থাকার কি উপায়)
  •  সুমাতা হইলেই সুসন্তান হয়। (রামারঞ্জিকা)
  •  পুরুষের সাহস আবশ্যক। (রামারঞ্জিকা)
  •  মিথ্যা তুল্য পাপ নাহি সর্বশাস্ত্রে কহে। (রামারঞ্জিকা)
  • পুরুষ জাতি আপন সুবিধা ভাল বুঝে। (রামারঞ্জিকা)
  • প্রেমই সৃষ্টির জীবন ও প্রাণ। (যৎকিঞ্চিৎ)
  •  আত্মার বিনাশ নাই। (যৎকিঞ্চিৎ)
  •  গলা টিপলে দুধ বেরোয়। (অভেদী)
  •  ঢেঁকির কচকচি। (অভেদী)
  • গৃহীর এক ধর্ম আর উদাসীনের আর এক ধর্ম। (আধ্যাত্মিকা)
  •  স্ত্রীলোকের সৎ স্বামী অমূল্য সম্পদ। (আধ্যাত্মিকা)

ঘরের দুলালে’র পর তিনি সাধু শৈলীতে নোঙর করেছেন। ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনার খানিকটা অবকাশ আছে। কালানুক্রমিকভাবে দেখতে গেলে ‘মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়?’ ‘রামারঞ্জিকা’, ‘যৎকিঞ্চিত’, ‘অভ্রভেদী’ পর্যন্ত সাধু ভাষা এবং তৎসংক্রান্ত প্রভাব অনেকটাই সত্য। তবে ‘আধ্যাত্মিকতা’ গ্রন্থে যেন আবার তিনি ‘আলালী’ শৈলীর কাছাকাছি পৌঁছেছেন। এ গ্রন্থের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ (বৈঠকী কথা, ধর্মভাব ও পতিব্রতা) অংশের প্রতি লক্ষ করলে আমাদের বক্তব্যের যাথার্থ্য উপলব্ধী করা যাবে। এ অংশের পেয়ারাওয়ালি এবং মিশীওয়ালী চরিত্র দুটির পরিচয় তাদের মুখের ভাষা, সামাজিক স্তর, ধর্মীয় পরিচয়, লেখকের ব্যঙ্গ সবই আলালী চিত্রের পরিপোষক বলে মনে হয়।

বাংলা সাহিত্যে কথ্য ভাষাকে গদ্য সাহিত্যের বাহন হিসেবে স্বীকৃতিদানের প্রথম উদ্যোক্তা প্যারীচাঁদ মিত্র। তাঁর দৃষ্টিতেই প্রথম এ সত্য প্রতিভাত হয়েছিল যে, সংস্কৃত ঘেষা গদ্য ভাষার পরিবর্তে সহজ সরল শব্দ প্রয়োগে, লোকমুখের প্রচলিত ভাষার রস সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব। বাংলা গদ্যের প্রাথমিক পর্যায়ে আলালী ভাষা গদ্য সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রভৃত অনুপ্রেরণা দান করেছিল। আলালী ভাষার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ ভাষা অভিনন্দনযোগ্য। কারণ এ ভাষা পরবর্তীকালে বৃহৎ উদ্দেশ্য সাধন করেছিল।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।