বাংলা গদ্যের বিবর্তনে-বিকাশে সাময়িকপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রীরামপুর মিশনারি, মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা গদ্যের যে প্রাথমিক নির্মাণ ঘটেছিল- সেখানে সে-যুগের বাংলা সাময়িকপত্রগুলো বাংলা গদ্যের নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। সাময়িকপত্র বা সাময়িকপত্রের মাধ্যমে পরিপুষ্টি লাভ করেছে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ যে গদ্য ভাষারীতির উদ্বোধন করে গিয়েছেন সে গদ্য রীতি বিবর্তিত হতে হতে বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। পৃথিবীর অন্য সব ভাষার মত বাংলা ভাষাও গদ্য রীতির বন্ধনে আবদ্ধ ছিল দীর্ঘদিন এবং এ বন্দিদশা দূর হওয়ার পিছনে সাময়িকপত্রের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

বাংলা সংবাদপত্রের সৃষ্টি খ্রিষ্টান পাদ্রীদের হাতে। বাংলাদেশের তথা ভারতবর্ষের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা বেঙ্গল গেজেট জেমস্ অগাস্টাস হিকি কর্তৃক ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। তারা ‘দিগদর্শন’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা বের করেন। এতে সংবাদ পরিবেশনের চেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য পরিবশন হতো বেশি। ২৬ সংখ্যা বের হওয়ার পর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলা গদ্যের উন্নতি সাধনে যে সমস্ত পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেগুলো হচ্ছে ‘দিগদর্শন’, ‘সমাচার দর্পণ’, ‘সম্বাদ কৌমুদী’, ‘সমাচার চন্দ্রিকা’, ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’, ‘বঙ্গদর্শন’, ‘ভারতী’, ‘সাধনা পত্রিকা’ ইত্যাদি।

প্রথম যুগের সাময়িকপত্রের সমাজজীবনের সংস্কার, আন্দোলনের মতো নানাবিধ বিষয়গুলো বিশেষ স্থান জুড়ে রয়েছে। সহমরণ, বিধবা-বিবাহ, বহুবিবাহ, কৌলীন্য প্রথা, স্ত্রীশিক্ষা, ইংরেজি-শিক্ষা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নানাধরনের তর্কবিতর্ক এবং যৌক্তিক ও আবেগী আন্দোলনের যে ঢেউ উঠেছিল সেখানে বাংলা সাময়িকপত্রের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এসব বিষয় ছাড়াও ধর্ম-প্রচার বিষয়ে নানারকমের বিতর্ক ও যুগকে আন্দোলিত করেছিল- বিশেষত খ্রিষ্টান মিশনারিদের ধর্ম-প্রচার, ব্রাহ্মধর্মের উদ্ভব এবং রক্ষণশীল হিন্দুধর্মের আত্মরক্ষার চেষ্টা প্রভৃতি বিষয়াদি নিয়ে একাধিক সাময়িকপত্র নিজ নিজ দল, সম্প্রদায়ের আদর্শ প্রচারের বাহন হিসেবে কাজ করেছে। এসব সামাজিক বিষয়াদি ছাড়াও বিজ্ঞান, ইতিহাস, জীবনী, সাহিত্য ছাড়াও বিবিধ মানববিদ্যা-বিষয়ক আলোচনা-সমালোচনা ও তৎকালীন পত্রপত্রিকা ও সাময়িকপত্রের মাধ্যমে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছি নাগরিকসমাজ।

সমাচার দর্পণ: ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে মে মাসে জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় বের হয় ‘সমাচার দর্পণ’। ইংরেজ সম্পাদক হলেও লেখার ভার ছিল বাঙালি লেখকদের উপরই। ‘সমাচার দর্পণ’-এ বাংলা গদ্যে ভূগোল, ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রবন্ধাদি বের হতো। খ্রিষ্টান পরিচালিত পত্রিকা বলে এতে এদের জয়গান এবং হিন্দুদের নিন্দাসূচক লেখা বেশি প্রকাশ পেত। তবুও আধুনিককালের ভাষায় সমাচার দর্পণকে সেদিনের প্রগতিবাদী পত্রিকা বলা যায়।

সম্বাদ কৌমুদী: রাজারামমোহন রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’ ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ভবানীচরণ, হিন্দু সমাজের সংস্কার সাধনের জন্য রামমোহন প্রমুখ ব্যক্তিরা এ পত্রিকাকে বাহন করে তোলেন। কিন্তু গোড়াপন্থি ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যদের সাথে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় তিনি এর থেকে সরে এসে ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন। হিন্দু সমাজের সমর্থনের অভাবে, সম্বাদ কৌমুদী’ অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়।

সমাচার চন্দ্রিকা : ১৮২২ সালে প্রাচীনপন্থি বাঙালি সমাজের মুখপাত্র রূপে প্রকাশিত হয় ‘সমাচার চন্দ্রিকা’। ভবানীচরণের মতো শক্তিশালী লেখক ছিলেন এ পত্রিকার সম্পাদক। সে সময়কার সংবাদপত্র জগতে তিনি প্রধান ব্যক্তি। আর গদ্য সাহিত্যের প্রথম সাহিত্য প্রণেতা। গোড়াপন্থিদের বিভিন্ন রক্ষণশীল মতবাদ সরস ও প্রাঞ্জল গদ্য এ পত্রিকায় প্রকাশ পেত।

বঙ্গদূত: ১৮২৯ সালে নীলমণি হালদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘বঙ্গদূত’ সাপ্তাহিক পত্রিকা। পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজারামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ। হিন্দু সমাজ সংস্কার ও গদ্যের উন্নতি বিধানে বঙ্গদূতের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।

সংবাদ প্রভাকর: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় সংবাদ প্রভাকর বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসে এক নতুন যুগের উনোষ ঘটায়। এ পত্রিকা প্রথমে ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে সাপ্তাহিক এবং ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ড. আনিসুজ্জামান ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্বন্ধে বলেছেন, “সংবাদ প্রভাকরের প্রভাবে শুধু বাংলা গদ্যরীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি; এই পত্রিকার পাতায় সাহিত্য ক্ষেত্রে নতুন পরীক্ষার সূত্রপাত এবং বাংলার শ্রেষ্ঠ লেখকের আবির্ভাব ঘটে।”

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে এ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত এবং পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা গদ্যের ইতিহাসে এ পত্রিকা নবযুগের সূচনা করে। ভাষার সুষমা, গাম্ভীর্য, বাক সংযম প্রভৃতি গুণ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য ছিল। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনায় অক্ষয়কুমার যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তা এ পত্রিকার মাধ্যমেই। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বসু প্রমুখ সে আমলের শ্রেষ্ঠ গদ্য লেখক এ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। এ পত্রিকাকে কেন্দ্র করেই সৃষ্ট বাংলা গদ্যরীতি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

বিবিধার্থ সংগ্রহ: এ পত্রিকাটি রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সম্পাদনায় ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। শেষের দিকে এই পত্রিকাটি কালীপ্রসন্ন সিংহ কিছুকাল সম্পাদনা করেছিলেন। এ পত্রিকায় গবেষণামূলক আলোচনা স্থান পেত বলে সেকালে পত্রিকাটি যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছিল। মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্য কর্ম ‘তিলোত্তমা সম্ভব’ এ পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়েছিল। সমালোচকের মন্তব্য থেকে জানা যায়- “পুরাবৃত্তের আলোচনা, খাদ্যদ্রব্যের প্রয়োজন, বাণিজ্য-দ্রব্যের উৎপাদন, নীতিগর্ভ উপন্যাস, রহস্যব্যঞ্জক আখ্যান, নতুন গ্রন্থের সমালোচনা প্রভৃতি আলোচনায় এ পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

মাসিক পত্রিকা: ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে রাধানাথ শিকদার ও প্যারীচাঁদ মিত্রের সম্পাদনায় ‘মাসিক পত্রিকা’ প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি আকারে খুবই ছোটো ছিল। তবুও অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলা গদ্যের বিকাশ সাধনে ‘মাসিক পত্রিকা’ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। কথ্য ভাষার রীতিতে বাক্য রচনা, প্রচুর তদ্ভব ও ফারসি শব্দের ব্যবহার এবং ক্রিয়াপদে তৎসম ও চলিত পদের মিশ্রণ- এই ছিল মাসিক পত্রিকার বৈশিষ্ট্য। বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস “আলালের ঘরের দুলাল” উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে এক মাসিক পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়।

বঙ্গদর্শন: বাংলা সংবাদপত্র জগতের আরেক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত পত্রিকা হচ্ছে ‘বঙ্গদর্শন’। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। বাংলা গদ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষার পালা শেষ হয়ে ‘বঙ্গদর্শন’ এ ক্রমে পরিপূর্ণতা লাভ করে। বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্য কীর্তিগুলো এ পত্রিকায়ই প্রথম দিকে প্রকাশিত হয়। ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশের পর তাঁর রচনা বৈচিত্র্যমুখী হয়। তিনি উপলব্ধি করতেন, “যতদিন না সুশিক্ষিত জ্ঞানবন্ত বাঙালিরা বাংলা ভাষায় আপন উক্তিসকল বিন্যস্ত করিবেন, ততদিন বাঙালির উন্নতির কোন সম্ভাবনা নাই।” সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এ পত্রিকায় লিখেই খ্যাতি লাভ করেন। বাংলা গদ্যের উৎকর্ষ বিকাশে ‘বঙ্গদর্শন’ যে সীমাহীন ভূমিকা রেখেছে তার স্বরূপ উপলব্ধি করে বলা যায় যে, বাংলা গদ্যের ইতিহাসকে এ সাহিত্য পত্রিকাটি ছাড়া অন্য কোনো পত্রিকা এত সমৃদ্ধশালী করতে পারেনি।

ভারতী : রবীন্দ্র যুগের সূত্রপাত হয় এ ‘ভারতী’ পত্রিকার মাধ্যমেই। ১৮৭৭ সালে দ্বিজেন্দ্র নাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ‘ভারতী’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে পরবর্তীকালের ভারতীগোষ্ঠী। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমেন্দ্র কুমার রায়, সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ভারতী পত্রিকার মাধ্যমেই অনেক নতুন নতুন কবি সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে, যারা বাংলা ভাষার সেবা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

সাধনা: সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ‘সাধনা’ পত্রিকাটি ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন রবীন্দ্র পরিবারের সদস্য। ‘সাধনা’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য প্রতিভার পূর্ণ পরিণতি প্রকাশ পায়। চতুর্থ বছরে এ পত্রিকার সম্পাদনার ভার রবীন্দ্রনাথ নিজেই গ্রহণ করেন। সাধনার সম্পাদক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ‘গদ্য পদ্যের জুড়ি’ হাঁকিয়ে চলেছিলেন। ‘সাধনা’ বাংলা গদ্যের শ্রীবৃদ্ধি সাধনে যে ভূমিকা রেখে গিয়েছে তা বাংলা ভাষার কাছে আজও স্মরণীয়।

সাহিত্য: উনবিংশ শতকের সর্বশেষ পত্রিকা ‘সাহিত্য’ ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ বঙ্কিম দৌহিত্র সুরেশচন্দ্র সমাজপতির সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। অনুবাদ সাহিত্য প্রকাশে এ পত্রিকার ভূমিকা ছিল অগ্রণ্য। নতুন উপন্যাস এবং বিদেশি অনুবাদ এতে প্রকাশিত হয়েছিল।

পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত সাময়িক পত্রগুলো ছাড়াও আরো অনেক পত্র পত্রিকা প্রকাশিত হয় যেগুলো বাংলা গদ্যের উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রীরামপুর মিশন এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা গদ্যের যে সূচনা ঘটেছিল, তার পূর্ণতা লাভ করে সাময়িকপত্রের মাধ্যমে। নতুন ভাষারীতি ও সাহিত্যাদর্শন সৃষ্টিতেও ঊনবিংশ শতকের সাময়িকপত্রের অবদান চিরদিন স্বীকৃত হয়েছে। সাময়িকপত্রের মাধ্যমে বাঙালির মানস জগতের যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি রস সাহিত্য সমৃদ্ধ সাহিত্য কীর্তিরও প্রকাশ ঘটেছে। বাংলা ভাষা সংস্কৃতের কট্টর বাহন থেকে মুক্ত হয়েছে সাময়িক পত্রগুলোর মাধ্যমেই। গতিশীল সহজ সরল ভাষারীতির উদ্ভবও এসব পত্রপত্রিকার মাধ্যমেই। ড. আনিসুজ্জামান সাহেবের মন্তব্যের মধ্যদিয়ে সাময়িকপত্রের ভূমিকা আলোচনাটি সমাপ্ত করছি। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন-

“বাংলা গদ্যের বিকাশে সাহিত্যের নতুন আঙ্গিকের প্রবর্তনে সামাজিক ভাব আন্দোলনের সৃষ্টিতে রাজনৈতিক চেতনা সংস্কারে এবং সাহিত্য সংস্কৃতিগত রুচি নির্মাণে সাময়িকপত্রের দান অপরিসীম।”

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।