বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, জুবিলি স্কুল, ঢাকা কলেজ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করেন। গণিতে এমএসসি পাশ করে মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনার কাজে যােগ দেন। এখানে গবেষণা করে তিনি পরপর দুই বছরে ডিএসসি ও পিআরএস হন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল রিলেটিভিটি, প্রেসার অব লাইট ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। ‘থিওরি অব থার্মাল আয়ােনাইজেশন’ বিষয়ে গবেষণায় তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করেন। লন্ডন ও বার্লিনে তার গবেষণার ব্যাবহারিক প্রয়ােগ দেখানাের আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি বিদেশে যান। দেশে ফিরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স বিভাগে প্রথম ‘খয়রা অধ্যাপক’ নিযুক্ত হন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি ‘স্কুল অব ফিজিক্স’ নামক পদার্থবিদ্যার শিক্ষাকেন্দ্র ও গবেষণাগার গড়ে তােলেন। মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে তিনি সর্বপ্রথম ভারতের সার্বিক উন্নতিতে বিজ্ঞান প্রয়ােগের কথা বলেন। কলকাতায় ফিরে এসে তিনি বিজ্ঞান কলেজের ‘পালিত’ অধ্যাপক হন ও পরে ‘ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’ গড়ে তােলেন।
সায়েন্স অ্যান্ড কালচার পত্রিকার মধ্য দিয়ে তিনি নানান সমাজ-সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি লন্ডনের রয়্যাল সােসাইটি, ফ্রেঞ্ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সােসাইটি, বােস্টন অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স প্রভৃতির ফেলাে, ইনটারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন, ভারতীয় বিজ্ঞানােৎকর্ষিণী সমিতি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট ও সিন্ডিকেট এবং রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সদস্য ছিলেন। আমন্ত্রিত সভ্য হিসেবে তিনি ইউরােপ, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালি প্রভৃতি দেশে যান। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে—The Principles of Relativity, Treatise on Heat, Treatise on Modern Physics, Junior Text book of Heat with Meteorology প্রভৃতি। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি তার জীবনাবসান হয়।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে দেবেন্দ্রমোহন বসুর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রিয়দারঞ্জন রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে আশুতােষ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. ইন্দুমাধব মল্লিকের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিশিরকুমার মিত্রের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান আলােচনা করাে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।
রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মানুষজনের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও।
বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।
Leave a comment