আধুনিক রাশিবিজ্ঞানের জনক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে বাল্যশিক্ষার পর প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর ইংল্যান্ডে কিংস কলেজে পড়াকালীন তিনি রাশিবিজ্ঞানের প্রতি কৌতূহলী হয়ে পড়েন। দেশে ফিরে দীর্ঘকাল প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা করেন।

রাশিবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর প্রথম গবেষণা—Anthropological observation on the Anglo-Indians of Calcutta। তিনি অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপ বিষয়ে গবেষণা করেন, আবিষ্কার করেন o2 সংখ্যায়ন সূত্র, যার থেকে মানুষের মধ্যে জাতিগত ভেদাভেদ আছে কিনা তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। ১৯২২-২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় আবহবিজ্ঞানের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবহবিদ হন। তাঁর নির্দেশিত পথে ভারত সরকার হীরাকুদ বাঁধ নির্মাণ করেন। বরানগরে তার প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইন্সটিটিউটে রাশিবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তিনি পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল সংস্কার ঘটান। এ ছাড়াও তিনি Design of Experiment নিয়ে গবেষণা করে কৃষির উন্নতিকে ত্বরান্বিত করেন।

১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে রাশিবিজ্ঞানের প্রচার ও প্রসারের জন্য তিনি ষান্মাসিক পত্রিকা সংখ্যা প্রকাশ করেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস গণিত শাখার মধ্যে রাশিবিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রশান্তচন্দ্রকে গণিত শাখার সভাপতি নির্বাচন করে। তিনি ‘National Sample Survey’ (১৯৫০) এবং রাইটার্স বিল্ডিং -এ ‘State Statistical Bureau’ প্রতিষ্ঠা করেন। রবীন্দ্রনাথ-ঘনিষ্ঠ এই বিজ্ঞানী স্বদেশে ও বিদেশে ‘দেশিকোত্তম’, ‘পদ্মভূষণ’ সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন প্রশান্তচন্দ্র পরলােক গমন করেন।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান আলােচনা করাে। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও। 

রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মানুষজনের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও। 

বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে |  

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদানন্দ রায়ের অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তার অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে। 

বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও। 

বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।