খ্যাতনামা ভূতত্ত্ববিদ প্রমথনাথ বসু ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে চব্বিশ পরগনা জেলার গৈপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কৃয়নগর কলেজ থেকে এন্ট্রান্স এবং এফএ পাস করে প্রমথনাথ কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ার সময় গিলক্রাইস্ট বৃত্তি লাভ করে লন্ডন যান। এরপর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন এবং রয়্যাল স্কুল অব মাইনস্ এর পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। দেশে ফেরার পর তিনি জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার চাকরিতে যােগ দেন। তার কর্মজীবনে মধ্যপ্রদেশের দাল্লিরাজাহারা লৌহখনি আবিষ্কারের ফলে ভিলাইতে কারখানা গড়ে উঠেছিল। প্রমথনাথ কিছুদিন প্রেসিডেন্সি কলেজের ভূবিদ্যার অধ্যাপকও ছিলেন। জামশেদজি টাটাকে লৌহ ও ইস্পাত কারখানা স্থাপনে আগ্রহী করে তােলায় তাঁর অবদান রয়েছে। ময়ূরভঞ্জের গুরুমহিষানিতে লৌহখনি আবিষ্কার, রানিগঞ্জ, দার্জিলিং ও আসামে কয়লার সন্ধান, সিকিমে তামা এবং ব্ৰহ্লাদেশে খনিজের সন্ধান তাঁর অনবদ্য কীর্তি। তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিলেতে ইন্ডিয়া সােসাইটির কর্মসচিব ছিলেন।

জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্থাপিত হলে প্রমথনাথ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের (বর্তমান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথম অধ্যক্ষ ও পরে পরিদর্শক হন। ভারতীয় শিল্প বাণিজ্য বিস্তারে তার প্রবল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণের প্রমাণ মেলে তাঁর নানাবিধ বক্তৃতায়, প্রবন্ধে, আলােচনায়। প্রাকৃতিক ইতিহাস তাঁর লেখা একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ। পাঠ্য পুস্তকের বিষয় নির্বাচনে সহযােগিতার জন্য তিনি Bengal Academy of Literature’ স্থাপন করেন, যা পরবর্তীকালে সাহিত্য পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হয়। এশিয়াটিক সােসাইটির সঙ্গে তার গভীর যােগসূত্র TROMI A History of Hindu Civilisation under British Rule (3 Volumes), Epochs of Civilisation, Swaraj: Cultural and Politics—ইংরেজিতে লেখা তার কয়েকটি উঞ্চোখযােগ্য গ্রন্থ। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ এপ্রিল তাঁর জীবনাবসান হয়।

মুদ্রণ শিল্প ও পুস্তক প্রকাশনার ইতিহাসে পি. এম. বাগচি অ্যান্ড কোং-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মেঘনাদ সাহার অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে দেবেন্দ্রমোহন বসুর অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রিয়দারঞ্জন রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে আশুতােষ মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. ইন্দুমাধব মল্লিকের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিশিরকুমার মিত্রের অবদান আলােচনা করাে।