বাংলার নবাব মুরশিদকুলি খাঁ (১৭০০-১৭২৭ খ্রিস্টাব্দ)-র আমলে নিছক ধর্মীয় কারণেই দিল্লি থেকে আসা শিল্পীরা মহরম আর খাজাখিজির উৎসবে অভ্রফলকের লণ্ঠন চিত্রণের কাজ করতেন। ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে আঁকা একটি ছবিতে এই উৎসবের রূপ ফুটে উঠেছে, যাতে মুঘল শৈলীর পরম্পরায় মুরশিদাবাদ শৈলীর প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়।
মুরশিদাবাদ শৈলীর প্রকৃত বিকাশ ঘটে মুরশিদকুলি খাঁর শাসনকালের পরে। সুজাউদ্দিন বা সরফরাজ খাঁর আমলের কোনাে মুরশিদাবাদ শৈলীর ছবি পাওয়া যায়নি। আলিবর্দি খাঁর সময়কালে এই শৈলীর বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটেছিল। (বিশেষত ১৭৫০-১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ)। তার আমলে আঁকা ছবিতে শিল্পীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বার্তা মেলে। শিল্পীর আঁকা ছবিতে তার শিকার করার ও সপার্ষদ সময় কাটানাের মুহূর্তগুলি ধরা পড়েছে।
সিরাজ-উদ্-দৌলার শাসনকালে তার বর্ণময় বিলাসী জীবনযাত্রার প্রভাব শিল্পকলাকেও প্রভাবিত করে। মুরশিদাবাদ শৈলীতে বৈচিত্র্য ও সজীবতা দেখা দেয়। কোথাও সকাল-সন্ধ্যার চিত্রসমৃদ্ধ রাগমালা সিরিজের ছবি আঁকা হয়। আবার কোনাে ছবির বিষয় হয়ে ওঠেন সিরাজ নিজেই। ছবির জ্যামিতিক বিন্যাস নিয়েও নানা পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। কখনও তা দূরে সরিয়ে রেখেই শিল্পীরা গ্রামবাংলার জীবনধারা ছবিতে ফুটিয়ে তােলেন। কখনও বা রাজস্থান চিত্রকলার জয়পুর শৈলীর প্রভাব বাংলা চিত্রকলায় ফুটে উঠে মুঘল শাসন সূত্রে জয়পুরের সঙ্গে বাংলার সাংস্কৃতিক যােগসূত্রটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। নবাবি আমলে এই যােগসূত্রটি আরও নিবিড়তা পায়। মুরশিদাবাদের কাছে নশিপুর থেকে পাওয়া কয়েকটি ছবি থেকেই তার প্রমাণ মেলে।
সিরাজ-উদ-দৌলার পর মিরজাফরের আমলেও মুরশিদাবাদ শৈলীর ধারা চলেছিল। তার আমলে শিল্পীরা নবাব পরিবার ছাড়াও হিন্দু অমাত্য ও জমিদার, এমনকি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজ কর্মচারীদেরও পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেন। এ সময়ে শিল্পীরা হিন্দু পৌরাণিক আখ্যাননির্ভর ছবি আঁকেন। মিরকাশিমের সময়ে লখনউ থেকে শিল্পীর মুরশিদাবাদে এলে মুরশিদাবাদ শৈলীর উপর লখনউ শৈলীর প্রভাব পড়ে।
কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও।
কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে।
বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলােচনা করাে।
অথবা, বঙ্গদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে ভাস্কর ও চিত্রকর রামকিঙ্কর বেইজের অবদান ও স্বকীয়তা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় বিনােদবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
Leave a comment