অথবা, বাংলাদেশে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বাস্তবায়ন দেখাও।
ভূমিকাঃ আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলােচ্য বিষয়। প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনে জটিলতা হ্রাসে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতাে বাংলাদেশেও ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়ােগ লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে বাংলাদেশে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়ােগ সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে-
বাংলাদেশে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রয়ােগঃ ১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশােধন অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার ফলে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি অনেকাংশে শিথিল হয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে শাসন বিভাগের প্রধান সরাসরি জনগণের ভােটে নির্বাচিত হওয়ায় বিভাগীয় পৃথকীকরণের সাথে সাথে ব্যক্তিস্বতন্ত্রীকরণও প্রতিষ্ঠিত ছিল কিন্তু বর্তমানে সংসদীয় ব্যবস্থায় আইনসভার মাধ্যমে শাসন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নিয়ােগ লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে অন্য মন্ত্রীদের নিয়ােগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ক্রমে এবং প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে অন্যান্য বিচারকদের নিয়ােগ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগের উপর শাসন বিভাগের কর্তৃত্ব কিছুটা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এছাড়া বিচার বিভাগের প্রধানকে রাষ্ট্রপতি নিয়ােগ দান করেন।
উপসংহারঃ পরিশেষে আমরা বলতে পারি, সরকারের তিনটি বিভাগ আলাদাভাবে কাজ করলেও ব্যক্তিগত স্বতন্ত্রীকরণ যেমন প্রতিষ্ঠিত হয় নি, তেমনি এক বিভাগ অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ মুক্ত হয় নি। সুতরাং আমরা বলতে পারি বাংলাদেশে ক্ষমতায় এক ধরনের মধ্যস্তরের স্বতন্ত্রীকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
Leave a comment