বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করেছিলেন যে, গণতন্ত্রের ভিতকে দৃঢ় করতে ভারতের সব জনগণকে শিক্ষার আলাে দেখাতে হবে। স্বাধীনতার পরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে মোহনলাল সাক্সেনার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি যেসকল লক্ষ্যের কথা বলেছে তা হল –
(১) নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা: গণতান্ত্রিক দেশের অসভ্য নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা।
(২) সামাজিক সেবার মনোভাব গঠনে : প্রতিটি বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে সামাজিক সেবার মনোভাব গঠন করা, যায় ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
(৩) দেশ ও বিশ্বের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা : দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
(৪) ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া : ভারতের ইতিহাস, ভূগোল, কৃষি, বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গঠন করা।
(৫) সংস্কৃতির উন্নয়ন : বয়স্ক ব্যক্তিদের গান, আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক প্রভৃতির মাধ্যমে আনন্দ দেওয়া ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটানো।
(৬) নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ : বয়স্ক ব্যক্তিদের বিভিন্ন আলােচনা, পড়া ও লেখার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো।
(৭) 3R : পঠন (Reading), লিখন (Writing) ও সাধারণ গণিতের (Arithmetic) (3R) উপর অধিক জ্ঞান লাভে উৎসাহিত করা।
(৮) হস্তশিল্পে দক্ষতা অর্জন : হস্তশিল্পে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো।
(৯) শিক্ষার গতিশীলতা বজায় : শিক্ষাকে গতিশীল রাখতে গ্রন্থাগার, বিতর্ক সভা, আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন শিক্ষা কমিটিগুলোর সাহায্য নিতে হবে।
(১০) সহযোগী মনোভাব তৈরি : শিক্ষার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগী মনোভাব তৈরি হবে।
(১) আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা : বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলা এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
(২) কুসংস্কার দূর করা : বয়স্কশিক্ষার মাধ্যমে তাদের মনের বিভিন্ন অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করা।
(৩) পরিবার পরিকল্পনা শিক্ষা : পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
(৪) দৈহিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষাদান : সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ শিক্ষাদান আবশ্যিক।
(৫) সহযোগিতার মনোভাব গঠন : বয়স্ক শিক্ষার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব গঠন করা।
(৬) গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গঠন : গণতন্ত্রের প্রতি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গঠন করা এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
সামাজিক শোষণের হাত থেকে রক্ষা করে বয়স্কদের বৃত্তিমূলক যোগ্যতার উন্নয়ন ঘটানোর উদ্দেশ্যে যথাযথ শিক্ষায়ণ একান্ত জরুরি।
Leave a comment