‘বনলতা সেন’

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের অন্যতম কবি। ‘বনলতা সেন’ তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যের কবিতার সংখ্যা ৩০টি। অন্যান্য কবির মতো জীবনানন্দেরও মানসী আছে। কবির মানসী মূলত বনলতা সেন। রবি ঠাকুরের মানসীর মতো এ নামটি দুর্জেয় রহস্যাচ্ছন্ন নয়। নিতান্তই সুপরিচিত। কিন্তু সাধারণ বনলতা সেনের সাথে কবির এ মানসী প্রিয়ার ব্যবধান অনেক। বনলতা সেন প্রকৃতির প্রতীক। কবির পুরুষসত্তা অনন্তকাল ধরে বিপুলায়তন পৃথিবীর পথপরিক্রমায় পরিশ্রান্ত। অশান্ত ভ্রমণে পরিশ্রান্ত কবি চান ক্ষণিকের বিশ্রাম, কামনা করেন শান্তির নীড়। কবি হৃদয়ের এ চিরন্তন কামনাই এ কাব্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে। এ কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলো হচ্ছে ‘বনলতা সেন, আমি যদি হতাম, হায় ছিল, সুরঞ্জনা, সুচেতনা ইত্যাদি। জীবনানন্দ দাশ অচরিতার্থ প্রেমের কবি। তার লেখনীতে বিরহবিচ্ছেদ রোমান্টিক হয়ে উঠেনি। ‘বনলতা সেন’ কাব্যের কবিতায় গভীর শূন্যতাবোধের সংযম প্রকাশ পেয়েছে। এ
প্রেক্ষাপটে ‘বনলতা সেন’ কাব্যের বনলতা সেন কবিতার একটি চরণ হলো-

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর

হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।