বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর

অরিন : কেমন আছ বন্ধু?

অমিয় : ভালাে। তুমি কেমন আছ?

অরিন : ভালাে আছি। আমি একটি বই পড়ছি।

অমিয় : কী বই?

অরিন : চরমপত্র।

অমিয় : কে লিখেছেন?

অরিন : এম আর আখতার মুকুল।

অমিয় : যিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে চরমপত্র কথিকা পাঠ করেছিলেন তিনি?

অরিন : হ্যা। অমিয় হঠাৎ বইটি পড়ার ইচ্ছা হলাে কেন?

অরিন : হঠাৎ ইচ্ছে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বইটি খুঁজছিলাম। আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে শহিদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ পড়ে।

অমিয় : অর্থাৎ একটি বই পড়ে তােমার আরেকটি বই পড়ার ইচ্ছে হলাে? অরিন ঠিক তাই। আমি যখন চরমপত্র পড়ছি তখন আরাে কিছু বই পড়ার আগ্রহ জন্মালাে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা পৃথিবীর রাজনীতিক পরিস্থিতি, পরাশক্তিগুলাের রাজনীতিক অবস্থান এ সম্পর্কে আরাে জানতে ইচ্ছে করছে।

অমিয় : অর্থাৎ একটি বই তােমার সামনে জ্ঞানের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মােচন করছে।

অরিন : হ্যা বন্ধু। বইয়ের মতাে ভালাে বন্ধু আর নেই। কোনাে বই তােমাকে হাসাবে, কোনাে বই তােমাকে কাদাবে, কোনাে বই তােমাকে সঙ্গ দেবে প্রিয় সঙ্গীর মতাে। সবাই তােমাকে ঠকাতে পারে কিন্তু বই তােমাকে কখনাে ঠকাবে না।

অমিয় : আমিও তাই বিশ্বাস করি এবং আরও জানি বই কখনাে পুরাতন হয় না। বই সবসময় অনন্ত যৌবনা।

অরিন : একজন পুস্তক প্রেমিক বলেছিলেন যে, তিনি যদি বেহেশতে জায়গা পান, তবে বেহেশতের কিশতি সাজাবার একটি উপকরণ হিসেবে বইকে নেবেন।

অমিয় : বাহ! খুব সুন্দর কথা বলেছেন তাে তিনি।

অরিন : ব্যাবহারিক দিক থেকেও যদি বিবেচনা কর তবে দেখতে পারবে বিশ্বায়নের এই যুগে বই না পড়ে তুমি থাকতে পারবে না। বিশ্বের তথ্যভান্ডারে প্রতি মুহূর্তে তথ্য যােগ হচ্ছে। তােমাকে সর্বশেষ তথ্যটা জানার জন্য প্রতি মুহূর্তে বই পড়তেই হবে।

অমিয় : আমাদের বই পড়তে হবে নিজেকে পরিপূর্ণ ও যুগােপযােগী মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার জন্য।

অরিন : ঠিক তাই। তােমার পরামর্শের জন্য তােমাকে ধন্যবাদ বন্ধু।

অমিয় : তােমাকেও ধন্যবাদ।