প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো বিষয়ে চিন্তা করতে গেলে ফ্লাইওভার আমাদের মনে আসে। যার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় ফ্লাইওভার – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তোমরা যারা পরীক্ষায় ফ্লাইওভার – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আমি তোমাদের জন্য ফ্লাইওভার – অনুচ্ছেদ বিস্তারিত ভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। নিচে ফ্লাইওভার – অনুচ্ছেদ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো –
ফ্লাইওভার – অনুচ্ছেদ
বর্তমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন অবকাঠামো গত উন্নয়নের কাজ। আর এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক, নিরাপদ ও যথোপযোগী নগর প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে ফ্লাইওভার যাকে উড়াল সেতু বলা হয় এর প্রয়োজনীয়তা মানুষ অনুভব করে। একটি শহরকে আদর্শ ভাবে তৈরি করতে হলে যানজট মুক্ত রাস্তাঘাট তৈরি করা প্রয়োজন কিন্তু প্রতিটি শহরে ক্রমবর্ধমান মানুষের বৃদ্ধি এবং পরিবহনের আধিক্যের জন্য শহর হয়ে উঠেছে আজ লোকে লোকারণ্য।
আরো পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ – সেরা ৫০ টি – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
শহরের এ যানজট নিরসনের জন্য তৈরি করা হয় ফ্লাইওভার। বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাই অভার মেয়র হানিফ উড়াল সেতু এবং এই ফ্লাই অভার এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০.৬ কিলোমিটার। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ছয় ৬ টি উড়াল সেতু রয়েছে। এগুলো হলো – মহাখালী উড়াল সেতু, খিলগাঁও উড়াল সেতু, বিজয় সরণি উড়াল সেতু, কুড়িল উড়াল সেতু, মেয়র হানিফ উড়াল সেতু, জিল্লুর রহমান উড়াল সেতু। বাংলাদেশের প্রথম উড়াল সেতু বা ফ্লাইওভার হল মহাখালী ওরাল সেতু।
ফ্লাই ওভার বা উড়াল সেতু বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশে একে বলা হয় ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু। এটি আবার অধিসরণী বা উড়ালপুল নামেও পরিচিত। ইংরেজিতে একে বলা হয় ফ্লাইওভার, অভার পাস বা ওভার ব্রিজ। তবে অধিকাংশ দেশে এই উড়াল সেতুকে ফ্লাইওভার বা ওভারব্রিজ বলা হয়ে থাকে। শহরের মূল রাস্তার ওপর পথযাত্রীসহ যানবাহন পারাপারের জন্য যে দীর্ঘ পথ বা ব্রিজ তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় ফ্লাইওভার।
আরো পড়ুনঃ বই পড়া – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
ফ্লাইওভার মূলত প্রধানসড়ক থেকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে কিছুদূর আনুভূমিকভাবে যেয়ে আবার ধীরে ধীরে মূল রাস্তার সাথে মিলে যায়। তবে ফ্লাইওভারের নিচে পাশাপাশি দুইটি করে কিছুদূর ব্যবধানে অসংখ্য পিলার থাকে। ফ্লাই ওভারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যানবাহন চলাচলের সময় এখানে কোন ট্রাফিক সিগন্যালের সম্মুখীন হতে হয় না বা কোন ক্রসিং এ সম্ভাবনা ও থাকেনা। তবে ফ্লাইওভার সাধারণত শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে দেখা যায়।
আর ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচলের ফলে নিচে অর্থাৎ মূল রাস্তায় যানবাহনের চাপ অনেক কমে যায়। বাংলাদেশে অনেক ফ্লাই অভার নির্মাণাধীন রয়েছে। তবে যানজট নিরসনের জন্য ফ্লাইওভার একান্ত প্রয়োজন।
শেষ কথা
প্রযুক্তির এ যুগে মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু আবিষ্কার করছে ফ্লাইওভার হল তার মধ্যে অন্যতম। তবে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে পরিকল্পিতভাবে ফ্লাইওভার তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন বিশেষ করে দেশের ব্যস্ততম শহরগুলোতে ফ্লাই ওভারের কোন বিকল্প নেই।
Leave a comment