সম্পত্তির ওপর নারীর অধিকার:
দুটি মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণ এবং পুরাণ গ্রন্থে বারবার নারী ও সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য সাবধান বাণী উচ্চারিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতে রাষ্ট্রের (রাজন) উৎপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে স্ত্রী ও সম্পত্তি সংরক্ষণের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। রামায়ণে বলা হয়েছে যে, রাজাহীন রাজ্যে সম্পত্তির ওপর অধিকার রক্ষা করা যায় না এবং স্ত্রীও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মহাভারতের শান্তিপর্বেও অনুরূপ মনোভাব উল্লিখিত আছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, রাজাহীন রাজ্যে সম্পত্তি, পুত্র ও পত্নী নিরাপদ থাকে না। তৃতীয় ও চতুর্থ শতকের গোড়ার দিকে অধ্যাপক রামশরণ শর্মা বর্ণিত কলিযুগের অমঙ্গলজনক সংকেত— সম্পত্তি, পরিবার ও বর্ণব্যবস্থার সংরক্ষণের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্ষণশীল নিয়মকানুন জোরদার করা হয়।
গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগে পুরোহিত ও রাজকর্মচারীদের ব্যাপকভাবে ভূমিদান (অগ্রহার ও অন্যান্য) শুরু হলে সম্পত্তির ওপর অধিকার ও সম্পত্তি বণ্টনের রীতিনীতিতে জটিলতা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাচীনতম আইন গ্রন্থগুলিতে প্রধানত সম্পত্তি অর্জনের উৎস এবং সম্পত্তির ওপর নানারকম অধিকারের প্রসঙ্গে বেশি আলোচনা করা হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি লাভ, সম্পত্তি ক্রয় এবং দানপত্র সূত্রে সম্পত্তি অর্জন করা যেত। একজন ক্ষত্রিয় যুদ্ধজয় দ্বারা সম্পত্তি অর্জন করতে পারত। একইভাবে একজন ব্রাহ্মণ তাঁর গুরুদক্ষিণা, একজন বৈশ্য কৃষিকাজ ও গবাদিপশু প্রতিপালন কিংবা একজন শূদ্র তার সেবাদানের মজুরি বাবদ সম্পদ-সম্পত্তি অর্জন করতে পারত। প্রাচীনতম আইনের পুঁথিগুলিতে সম্পত্তি হিসেবে জমির উল্লেখ পাওয়া যায় না। যাজ্ঞবল্ক্য প্রথম সম্পত্তি হিসেবে জমির উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীকালে গুপ্তযুগে ‘কাত্যায়ন স্মৃতি’ও বৃহস্পতি স্মৃতিতেও ভূসম্পত্তির স্বীকৃতি আছে। তাঁরা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিভাজন ও উল্লেখ দ্বারা জমিকে সম্পত্তির অংশ হিসেবে গ্রহণ করার রীতি স্বীকার করেছেন। গৌতম, কৌটিল্য, মনু বা নারদ প্রমুখের ধর্মসূত্রে স্থাবর সম্পত্তির বা জমির প্রকৃতি বিষয়ে বিশেষ উল্লেখ নেই। এঁরা মূলত আলোচনা করেছেন সম্পত্তির ওপর অধিকার রক্ষা বা হারানোর বিষয়টিতে। আদি লেখকদের মতে, কোনো ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তি দশ বছর ত্যাগ করলে, উক্ত সম্পত্তির ওপর তাঁর অধিকার হারাতেন। স্বাভাবিকভাবেই এঁদের আলোচনায় জমির অস্তিত্ব ছিল না। কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। যাজ্ঞবল্ক্য প্রথম সম্পত্তির অধিকারের প্রশ্নে ধনসম্পদ ও ভূসম্পত্তির বিষয়টি পৃথকভাবে উল্লেখ করেন। লক্ষ্মণ যোশী শাস্ত্রী সম্পাদিত ধর্মকোষ গ্রন্থের ভাষ্য অনুসারে দশ বছর দাবিহীন ধনের ওপর কেউ পূর্ব অধিকার দাবি করতে পারে না। গুপ্তযুগে সম্পত্তির অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইতিপূর্বে সম্পত্তি হিসেবে জমির অধিকার অনেকটাই কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন তা বৃদ্ধি পায়। কাত্যায়ন সম্পত্তির অধিকার ক্ষেত্রে কুড়ি বছর দাবিহীন শর্তটিকে রাজা ও ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন। জমির দাতা, কৃষক কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ভূমিস্বত্বভোগীদের হাত থেকে ব্রাহ্মণ ও রাজাকে রক্ষা করার জন্য প্রচলিত বিধান থেকে তাঁদের নিষ্কৃতি দেওয়া হত। এমনকি, ধর্মসূত্রের ব্যাখ্যায় এমনও বলা হয়েছে যে, কুড়ি বছর দাবিহীন সম্পত্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তার উৎপাদনের অধিকার হস্তান্তরিত হতে পারে, মূল ভূমির স্বত্ব পূর্ববৎ বহাল থাকে। নারদের মতে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ শত বছরেও হারায় না, যতক্ষণ এটি স্বত্ববিহীন ভোগ করা হয়।
আদি-মধ্যযুগের আইনশাস্ত্রে সম্পত্তির অধিকার বিষয়টির সাথে জমির ওপর ‘স্বত্বে’র বিষয়টিকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রাচীনকালে সম্পত্তি-সম্পর্কিত আইনগুলির প্রাসঙ্গিকতা আদি-মধ্যযুগে প্রায় ছিল না। কারণ গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তী যুগে ব্যক্তি বা ধর্মপ্রতিষ্ঠানকে ভূমিদান ব্যাপকতা পেলে সম্পত্তির অধিকারকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। জমি প্রাপকদের অধিকাংশই ছিলেন ব্রাহ্মণ কিংবা উচ্চ কর্মচারী। প্রাপ্ত দানের (ভূমি) প্রাপকদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য জমির ওপর অধিকারের পাশাপাশি ‘স্বত্ব’-এর অধিকারকে যুক্ত করা হয়। যাজ্ঞবল্ক্য ‘অধিকার’ ও ‘স্বত্ব’কে পরস্পরের সহায়ক বলেছেন। হারিত-এর মতে, ‘স্বত্বই আসল, অধিকার হল সহায়ক উপাদান’ (‘ন মূলেন বিনা শাখা অন্তরিক্ষে প্ররোহতি, আগমস্তু ভাবেন মূলং ভুক্তি শাখা প্রকর্তিতা’)। মূলবিহিন শাখার অস্তিত্ব যেমন অকল্পনীয়, তেমনি ‘স্বত্ব’ ছাড়া সম্পত্তির ‘অধিকার’ মূল্যহীন। অধিকারের ওপরে স্বত্বের স্থান নির্দিষ্টকরণের কারণ তৎকালীন ভূমিদান ব্যবস্থার মধ্যে অনুসন্ধান করা যায়। ব্রাহ্মণ ও ভূমিস্বত্বভোগীদের ভূখণ্ড বা গ্রামদান (গ্রামের রাজস্ব) করা হত রাজকীয় ভূমিদানপত্র বা তাম্রশাসনের দ্বারা। রাজা, উচ্চ রাজকর্মচারী, প্রতিদ্বন্দ্বী ভূম্যধিকারী বা কর্ষকদের দখলদারি থেকে দান- প্রাপকের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার জন্য গুপ্ত-পরবর্তী যুগে ‘স্বত্ব’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই স্বত্ব-বিষয়ক তাম্রশাসন প্রদর্শন করে প্রাপক তাঁর ভূমিকর অধিকার বজায় রাখতে বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। নবম শতকে মেধাতিথি বলেছেন যে, ভূমিস্বত্বভোগীরা যদি স্বত্বপ্রাপ্তির স্মৃতি হারান, কিন্তু শত শত বছর ধরে অধিকার ভোগ করেন, তবে রাজা সেই সম্পত্তি বিশেষত মঠ, মন্দির, পুষ্করিণী ইত্যাদি পুর্নগ্রহণ করতে পারেন না। তাঁর মতে, দান বা উপহার হিসেবে এই ভূসম্পত্তির নতুন মালিকানা সৃষ্টি হয়েছিল। হারিতের মতে, আদি-মধ্যযুগে দান বা উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ভূসম্পত্তির অধিকার উন্নাসিক বা উপরাজকর্মচারী, আত্মীয়স্বজন, জমিতে শ্রমদানকারী কৃষক প্রমুখ দ্বারা হস্তচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা বিনষ্ট করার জন্য ‘স্বত্ব’ অধিকারের ওপর জোর দেওয়া হত।
পরবর্তী বৈদিক যুগের রীতি এবং স্মৃতিশাস্ত্রসমূহের ভাষ্যে দেখা যায় যে, সেকালে ভূসম্পত্তিকে অখণ্ড রাখার প্রবণতা ছিল। প্রাচীন আইন অনুযায়ী পরিবারের জ্যেষ্ঠ পুত্র সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে বেশি সম্পত্তিলাভের অধিকারী হতেন। আদিকালে এই সম্পত্তি বলতে বোঝাত অলংকার, গবাদিপশু ইত্যাদি। এই আদি সমাজে সম্পত্তি হিসেবে জমি বিবেচিত হত না। গুপ্তযুগ ও পরবর্তী ভারতীয় সমাজে জমির ওপর ব্যক্তিমালিকানা সৃষ্টি হলে, প্রচলিত আইন কিছুটা অসম্পূর্ণ মনে হতে থাকে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের সম্পত্তির বিনিময়ে নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে পারত। ফলে জমির অসম বণ্টনের রীতি সমাজে প্রকটিত হয়। গুপ্ত-পরবর্তী কালের আইনশাস্ত্রে জমির অসম বণ্টনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়। এই কারণে মধ্যযুগেও অখণ্ড সম্পত্তি রক্ষা করে সামাজিক ন্যায় ও সাম্য রক্ষার প্রয়াস ছিল। সম্ভবত আদিযুগের সম্পত্তির (অস্থাবর) আইনকে ভিত্তি করে মধ্যযুগেও সম্পত্তি (স্থাবর) বণ্টনের ক্ষেত্রে পরিবারের প্রধানের হাতে ভূসম্পত্তির অধিকার কেন্দ্রীভূত রাখার ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
একাদশ-দ্বাদশ শতকের দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘মিতক্ষরা’ ও ‘দায়ভাগ’ থেকে বৃহৎ ভূসম্পত্তি রক্ষার প্রবণতা বোঝা যায়। জীমূতবাহন-এর ‘দায়ভাগ অনুসারে পিতা বা পিতামহের জীবৎকালে সম্পত্তির বণ্টন করা যেত না। পরিবারের ঘোষিত বা স্বীকৃত প্রধানের জীবৎকালেও সম্পত্তি ভাগাভাগি করা যেত না। (‘জ্যেষ্ঠো দায়াদ ইত্যেক) দায়ভাগ মতে, কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে সম্পত্তির অধিকারী হয় না। সে সম্পত্তির অধিকারী হয় পরিবারের প্রধানের মৃত্যুর পর। অবশ্য পরিবারের প্রধান দান বা বিক্রিবাটা দ্বারা তাঁর সম্পত্তির অংশ হস্তান্তরিত করার অধিকারী ছিলেন। দায়ভাগ ব্যবস্থা আদি-মধ্যযুগে মূলত বাংলাদেশে প্রচলিত ছিল। তবে সম্পত্তি পরিবারের প্রধানের হাতে অর্পিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং প্রধানের জীবৎকালে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন করার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ সমগ্র উত্তর ভারতে প্রাক্-মধ্যযুগে প্রচলিত ছিল বলে ড. রামশরণ শর্মা মনে করেন। কারণ ‘নারদস্মৃতি’তে সম্পত্তি অখণ্ড রাখার বিধান আছে এবং আদি-মধ্যযুগে উত্তর ভারতে নারদস্মৃতি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করা হত। বৃহদাকার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের প্রবণতার কথা বিজ্ঞানেশ্বরের ভাষ্যেও সমর্থিত হয়েছে। একাদশ শতকে বিজ্ঞানেশ্বর যাজ্ঞবল্ক্যস্মৃতির ওপর ‘মিতাক্ষরা’ নামক ভাষ্য রচনা করেন। মিতাক্ষরা ব্যবস্থা অনুসারে পরিবারের প্রধান বিক্রি বা দানের মাধ্যমে জমি বণ্টন করতে পারতেন না। কিন্তু দায়ভাগ ও মিতাক্ষরা আইনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভেদ থেকে ভূসম্পত্তি খণ্ডীকরণের সম্ভাবনা প্রকাশ হয়। মিতাক্ষরা অনুযায়ী পিতা বা পরিবারের প্রধানের জীবৎকালেই পুত্ররা চাইলে সম্পত্তি ভাগবাঁটোয়ারা করা যেত। অধ্যাপক শর্মার মতে, বাণিজ্য-প্রধান পশ্চিম ভারতে ‘মিতাক্ষরা’ আইন জনপ্রিয় ছিল। কারণ বণিক সম্প্রদায় বৃহৎ যৌথ ভূসম্পত্তির পরিবর্তে ক্ষুদ্রাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পক্ষপাতী ছিলেন। এইভাবে ভূসম্পত্তি বণ্টিত হওয়ায় অসংখ্য একক গৃহস্থের সৃষ্টি হয়। ফলে সামাজিক ক্ষমতারও বিকেন্দ্রীকরণ ঘটে। তবে ঐতিহাসিকদের অনুমান, বিধান থাকলেও পিতার জীবদ্দশায় সম্পত্তি বণ্টনের দাবি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া উঠত না। তাই ‘মিতাক্ষরা’ আইনেও বৃহদাকার ভূসম্পত্তি রক্ষার প্রবণতা ছিল।
ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের ভূসম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে বিদ্যাদান বা যুদ্ধবিজয় দ্বারা লব্ধ সম্পত্তির অধিকার স্বীকৃত ছিল। আইন অনুসারে বিদ্যাধন অর্থাৎ শিক্ষার মাধ্যমে যে সম্পত্তি পাওয়া যেত, তা বণ্টন করা যেত না। ছাত্রকুলকে পাঠদান, তর্কসভায় বিজয়ী হয়ে প্রাপ্ত পুরস্কার (সম্পত্তি), কিংবা যজ্ঞানুষ্ঠানের পৌরোহিত্য বাবদ প্রাপ্ত ভূখণ্ড ইত্যাদির ওপর প্রাপকের একক অধিকার বজায় থাকত। বলা বাহুল্য, ব্রাহ্মণরাই শিক্ষাদান বৃত্তির সাথে যুক্ত ছিলেন। তাই বিদ্যাধনের অধিকারী ছিলেন প্রধানত ব্রাহ্মণরাই। একইভাবে মূলত ক্ষত্রিয়রা শৌর্যধনের অধিকারী হতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে অসীম বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য যোদ্ধা মৃত বা জীবিত অবস্থায় পুরস্কার হিসেবে ভূমিখণ্ড উপহার পেতেন। এই দানপ্রাপক বা তার উত্তরাধিকারী নির্বিবাদে ভোগদখল করার অধিকারী ছিলেন।
মধ্যযুগের মধ্যাহ্নকালে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে কৃষকবিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমিত হয় যে, আদি মধ্যযুগে বৃহৎ ভূসম্পত্তি রক্ষার প্রবণতা ছিল। ভূমিস্বত্বদানের মাধ্যমে গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তীকালে যে মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির সৃষ্টি হয়, তাঁরা কৃষকদের শোষণ করেই সেই সম্পত্তির উৎপাদন ভোগ করতেন। সম্পত্তি-বিষয়ক আদি আইনে অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে রচিত আইনগুলিকেই পরবর্তীকালে আদি-মধ্যযুগে স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রেও নবরূপে প্রয়োগ করা হয়। এইভাবে বৃহদাকার ভূসম্পত্তি, মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির সৃষ্টি এবং কৃষক শোষণ আদি-মধ্যযুগের সম্পত্তি-বিষয়ক আইনের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছিল।
Leave a comment