এই যুগের হাতিয়ারগুলি ছিল মাজাঘষা করা ও ধারালাে, যেমন—পাথরের কুঠার, কাস্তে, নিড়ানি, বড়শি, বাটালি, ছুঁচ ও কুমােরের চাকা।
মানুষ হয়ে উঠল খাদ্য-উৎপাদক। চাষ ও পশুপালন হয়ে উঠল খাদ্যের প্রধান উৎস।
নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ গােষ্ঠীবদ্ধভাবে নদী বা জলাশয়ের ধারে বাসগৃহ নির্মাণ করতে শুরু করে। তাদের তৈরি বাসগৃহগুলি ছিল তিনধরনের, যথা (i) স্থল বসতি, (ii) হ্রদ বসতি, (iii) গুহা বসতি।
এ যুগে বয়নের সূত্রপাত ঘটে। মানুষ শন, পশম ও তুলাের কাপড় বুনতে শিখল।
চাষ ও পশুপালনের ফলে মানুষের জীবনে এল খাদ্য নিরাপত্তা। এর ফলে জনসংখ্যা বাড়ল, মানুষ ক্রমশ স্থায়ীভাবে এক জায়গায় বাস করতে শুরু করল।
এই যুগে কৃষির আবিষ্কার, মৃৎশিল্পের বিকাশ প্রভৃতি কারণে সমাজে শ্রমবিভাজন তৈরি হল|নারী ও পুরুষের কাজের ক্ষেত্রেও শ্রমবিভাজন বাড়ল। সমাজ আগের চেয়ে জটিল হয়ে উঠল।
Leave a comment