১৯০০ খ্রিস্টাব্দে হীরালাল সেনের তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক চিত্রগুলিকেই প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র বলে ধরা হয়। ১৯২০-২২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি, হিমাংশু রায় ও দেবিকা রানির সাহচর্যে কয়েকটি কাহিনিচিত্র তৈরি করেন। বাংলা ছবিতে এঁরা মার্জিত ও যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত প্রযােজনা-ভঙ্গির সূত্রপাত করেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আসা সবাক ছবির যুগে যাঁরা কাজ করে গেছেন তারা হলেন— প্রমথেশ বড়ুয়া, দেবকী বসু, বিমল রায়, নীতিন বসু প্রমুখ। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। নির্বাক ছবির জগতে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ‘সত্যবাদী রাজা হরিশ্চন্দ্র’, ১৯১৯-এর ‘বিল্বমঙ্গল’, ১৯২০-এর ‘মহাভারত’, ১৯২১-এর ‘বালিকা বধূ’, ‘বিলাত ফেরত’, ‘বিষু অবতার’ ইত্যাদি; ১৯২২-এর ‘আঁধারে আলাে’, ‘ভগীরথ গঙ্গা’, ‘ভীষ্ম’, ইত্যাদি; ১৯২৩-এর ‘বিমাতা’, ‘খােকাবাবু’, ‘মানভঞ্জন’, ‘মাতৃস্নেহ’, ‘নুরজাহান; ১৯২৪-এর ‘বসন্তপ্রভা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘কমলে কামিনী’ ইত্যাদি; ১৯২৫-এর ‘মিশররানী’, ‘সতীলক্ষ্মী’, ১৯২৬-এর ‘ধর্মপত্নী’, ‘জেলের মেয়ে’, ‘জয়দেব’, ‘কৃষ্নকান্তের উইল’; ১৯২৭-এর ‘চণ্ডীদাস’, ‘দুর্গেশনন্দিনী’, জবা; ১৯২৮এর ‘ভ্রান্তি’, ‘কেলাের কীর্তি’, ‘নিষিদ্ধ ফল’, ‘সরলা’, ‘শাস্তি কি শান্তি’; ১৯২৯-এর ‘অপহৃত’, ‘বঙ্গবালা’, ‘বিচারক’, ‘দেবদাস’, ‘ইন্দিরা’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
১৯৩১-এ মুক্তি পায় সবাক ছবি ‘দেনাপাওনা’। এরপর একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবির মধ্যে রয়েছে ‘জামাইষষ্ঠী’, ‘প্রহ্লাদ’, ‘ঋষির প্রেম’, ‘তৃতীয় পক্ষ’ প্রভৃতি। ১৯৩২-এ মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবিগুলাে হল যথাক্রমে ‘বিয়ুমায়া’ (কংসবধ), ‘চণ্ডীদাস’, ‘চিরকুমার সভা’, কৃষ্ণকান্তের উইল’ প্রভৃতি। ১৯৩৪-এ মুক্তি পাওয়া বাংলা ছবির মধ্যে উল্লেখযােগ্য—’চাদ সওদাগর’, ‘দক্ষযজ্ঞ, ‘ধ্রুব, ‘কেরানির জীবন’, ‘মা’ প্রভৃতি। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘অবশেষে’, ‘বাসবদত্তা’, ‘ভাগ্যচক্র’, ‘বিদ্রোহী’, ‘বিদ্যাসুন্দর’, ‘বিরহ’ প্রভৃতি ছবি মুক্তি পায়। এভাবেই বহু স্বনামধন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী, চিত্রপরিচালক, চিত্রনাট্যলেখক, প্রযােজক, নির্দেশকের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বের দরবারে বাঙালির সিনেমা স্বাতন্ত্র ও মৌলিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ম্যাডান থিয়েটারের গুরুত্ব নির্দেশ করাে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিউ থিয়েটার্সের অবদান কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটকের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মৃণাল সেনের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃণাল সেনের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা সিনেমার স্মরণীয় কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিচয় দাও।
বাংলা তথ্যচিত্রের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
অথবা, তথ্যচিত্র বলতে কী বােঝ? বাংলা তথ্যচিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে বােটানিক্যাল গার্ডেনের ভূমিকা ব্যক্ত করে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে এশিয়াটিক সােসাইটির অবদান কতখানি তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও।
ঔপনিবেশিক বাংলায় শ্রীরামপুর মিশন আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চায় প্রচার ও প্রসারে কীভাবে অংশ নিয়েছিল তা পর্যালােচনা করাে।
ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত প্রসঙ্গে স্কুল বুক সােসাইটির ভূমিকা নির্ণয় করাে।
Leave a comment