প্রযুক্তি হল ব্যাবহারিক উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়ােগ করা। বিশেষ মানসিক ক্ষমতার প্রাধান্যে তাত্ত্বিক জ্ঞানের সঙ্গে বৃহত্তর কর্মকেন্দ্রিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রযুক্তিবিদ্যায় নিপুণ করে তােলে যে বিদ্যা, তাই হল প্রযুক্তিবিদ্যা।
প্রযুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Technology। Technology শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Technie থেকে, যার অর্থ হল শিল্প বা দক্ষতা (Art) এবং ‘logia’ যার অর্থ হল বিজ্ঞান বা অধ্যয়ন। অর্থাৎ Technology শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল কোনাে শিল্প বা দক্ষতার অধ্যয়ন।
(১) এ হিরা (A Hierra-১৯৭৩): এর মতে, প্রযুক্তি হল একগুচ্ছ যন্ত্র এবং দক্ষতা যা জনগােষ্ঠীর চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
(২) টি পেজ (T page-১৯৭৬) : এর মতে, প্রযুক্তি হল ব্যাবহারিক উদ্দেশ্য বা সমস্যাসমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োগ। [Technology is the application of scientific knowledge to practical purpose (problem)]
(৩) চরমিজোভঙ্কি (১৯৮০) : প্রযুক্তি বিজ্ঞান কোনাে প্রক্রিয়ার বিশদ বর্ণনা করে যা জনসাধারণের সমস্যাসমাধান করে বা লক্ষ্য অর্জন করতে বা কোনাে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
(৪) আইআচ (Sachs-১৯৭৩) : এর মতে প্রযুক্তি হল উৎপাদনের জন্য জ্ঞান।
প্রযুক্তিবিদ্যার লক্ষ্য : শিক্ষার উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু, শিক্ষণ, শিখন, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আচরণ, পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিক্ষার প্রভাবকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া।
বর্তমানে ব্যক্তি, সমাজ এবং জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। শিক্ষাও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার এত বিস্তৃতি লাভ করেছে যে, শিক্ষা প্রযুক্তি পৃথকভাবে অধ্যয়নের বিষয় হিসেবে বর্তমানে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
Leave a comment