আণবিক ভরঃ কোন পদার্থের আণবিক সংকেতের ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের আণবিক ভর বা 1 মোল বলে।

মোলার আয়তনঃ  নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপে একমোল কোন গ্যাস যে আয়তন দখল করে তাকে ঐ গ্যাসের মোলার আয়তন বলে।

বাষ্প ঘনত্বঃ একই তাপমাত্রা ও চাপে কোন গ্যাসের যে কোনো আয়তনের ভর ও সমআয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের  ভরের অনুপাতকে ঐ গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব বলে।

 মনে করি, কোন গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব = D

D = (গ্যাসটির যেকোন আয়তনের ভর) ÷ (সম আয়তন হাইড্রোজেনের ভর)

D = (প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার গ্যাসের ভর) ÷ ( প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার হাইড্রোজেন গ্যাসের ভর)

D = ( প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার গ্যাসের ভর)

÷ ( 0.089 গ্রাম)

[ প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার হাইড্রোজেন গ্যাসের ভর 0.089 গ্রাম]

 বা,  প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার গ্যাসের ভর =  D x 0.089 গ্রাম।

 অ্যাভোগেড্রোর সূত্র অনুসারে কোন গ্যাসের আণবিক ভর (M) = 2 x বাষ্প ঘনত্ব (D)

অতএব, D = M ÷ 2

 

প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে 1 লিটার গ্যাসের ভর

 = M/2 x 0.089 গ্রাম।

প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে M/2 x 0.089 গ্রাম গ্যাসের আয়তন = 1 লিটার।

অতএব, প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে M গ্রাম গ্যাসের আয়তন = (2 x M) ÷ (M x 0.089)  লিটার

= 22.4 লিটার।

অতএব, প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে কোন গ্যাসের মোলার আয়তন 22.4 লিটার।

যেহেতু তাপমাত্রা ও চাপের সাথে গ্যাসের আয়তন পরিবর্তিত হয়। তাই তাপমাত্রা ও চাপের সাথে গ্যাসের মোলার আয়তনও একইভাবে পরিবর্তিত হবে।

 

অতএব বলা যায়, প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে সকল গ্যাসের মোলার আয়তন নির্দিষ্ট এবং তা 22.4 লিটার।