প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্যতম শাখা। কল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তির ওপর ভিত্তি করে লেখক কোনো বিষয় সম্বন্ধে সচেতনভাবে যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য সৃষ্টি করেন তাকেই প্রবন্ধ বলে। ‘প্রবন্ধ’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। এর উৎপত্তিগত অর্থ প্রকৃষ্ট বন্ধন। বর্তমানে কেবল গদ্যে রচিত ভাব, কল্পনা আর তথ্য সমৃদ্ধ মননশীল রচনাকেই প্রবন্ধ বলা হয়ে থাকে। প্রবন্ধ রচনার মধ্যে লেখকের ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাস আর লাগামহীন চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। উচ্চারণ, ভাব ও ভাষা- এই তিনটিই প্রবন্ধের প্রাণ। প্রত্যেক প্রবন্ধে কিছু প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। যথার্থ তথ্য প্রমাণ, যুক্তি, নিরাবেগ ভাষা আর সংযত চিন্তার প্রয়োগে সেই প্রতিপাদ্য বিষয়কে রূপায়ণ করাই প্রবন্ধের লক্ষ্য।

যে কোনো বিষয় নিয়ে বিস্তৃত অথচ পরিমিত আলোচনা অপূর্ব রচনাশৈলী আর ভাষাগত দক্ষতার নিপুণভাবে বর্ণনা করাই হল প্রবন্ধ।

প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ

প্রবন্ধকে প্রধানত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন-

১. তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ।

২. মন্ময় বা ব্যক্তিগত প্রবন্ধ।

যে প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য থকে তাকে বস্তুনিষ্ঠ বা তন্ময় প্রবন্ধ বলে। লেখকের পাণ্ডিত্য, জ্ঞানের গভীরতা ও অনন্যসাধারণ চিন্তাশীলতা এ জাতীয় প্রবন্ধে প্রকাশ পায়। মূলত বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধই প্রবন্ধ নামে পরিচিত। অপরদিকে লেখক ব্যক্তিগত প্রবন্ধে হাস্যরস ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে পাঠকের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান।

বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকে কয়েকটি উপবিভাগে ভাগ করা যায়:

১. বিবৃতিমূলক প্রবন্ধ (কাহিনীর বিবরণ বিস্তৃত থাকে)।

২. ব্যাখ্যামূলক (মত ও তত্ত্ব আলোচনা এই প্রবন্ধের আসল উদ্দেশ্য)।

৩. বর্ণনামূলক (বিষয়বস্তুর বর্ণনা পুঙ্খানুপুঙ্খ হয়ে থাকে)।

৪. বিতর্কমূলক (মতবাদের বিশ্লেষণ এবং পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি)।

৫. চিন্তামূলক (বিশেষ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়ের পরিচিতি নির্ণয়)।

৬. তথ্যমূলক (বিবিধ তথ্যের মাধ্যমে রচিত প্রবন্ধ)।

৭. নীতি কথামূলক (প্রচলিত নীতিকথা এতে স্থান পায়)।

প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে অনুসরণীয়

১. মূল বক্তব্য স্থির করে উপকরণ, তথ্যাদি ও সংকেতসূত্র প্রস্তুত।

২. প্রবন্ধের তিনটি অংশ। সূচনায় বিষয়বস্তুর আভাস, মূল বক্তব্যে পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত এবং উপসংহারে থাকবে সিদ্ধান্ত।

৩. এক একটি ভাব অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সন্নিবেশিত করে সহজ, সরল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি অনুচ্ছেদে একটা শিরোনাম থাকবে।

৪. অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। অসঙ্গতি ও অসামঞ্জস্য পরিত্যাগ করতে হবে।

৫. রচনার শুরুতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো লিখতে হবে।

৬. বিষয়ওয়ারি যুক্তি ও তথ্যের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পরস্পর বিরোধী যুক্তি ও ভাব রচনায় স্থান পাবে না।

৭. সাধু ও চলিত ভাষায় মিশ্রণ পরিত্যাগ করতে হবে। কঠিন, দুর্বোধ্য শব্দ, দীর্ঘ ও সমাসযুক্ত পদ এড়িয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।

৮. প্রবন্ধ খুব বেশি বড় বা ছোট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বক্তব্য পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নেয়া দরকার।

 

বৈশিষ্ট্য

প্রবন্ধের চারটি বৈশিষ্ট্য: সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, গঠনভঙ্গির ঐক্য, চিন্তার স্বচ্ছতা ও বক্তব্যের যথাযথ বিন্যাস যাতে রচনায় বহাল থাকে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

প্রবন্ধের নমুনা

১. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস;

২. বাংলা নববর্ষ;

৩. সময়ের মূল্য;

৪. আমার প্রিয় কবি;

৫. বাংলাদেশের পাখি;

৬. এসো দেশ গড়ি;

৭. বৃক্ষরোপন অভিযান;

৮. তোমার প্রিয় উপন্যাস;

৯. বই মেলা;

১০. পরিবেশ দূষণ।

 

 

প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ আলোচনা কর

উত্তর: প্রবন্ধ এক ধরনের মননশীল গদ্য রচনা বিশেষ। প্রবন্ধ বলতে কোন বিষয়বস্তু অবলম্বনে রচিত লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিমূলক গদ্যরীতির সাহিত্য সৃষ্টিকে বুঝায়। ব্যুৎপত্তিগত অর্থে প্রকৃষ্ট বন্ধনযুক্ত রচনাকেই প্রবন্ধ বলা যেতে পারে। বিষয়বস্তুর সুষ্ঠু সম্বন্ধযুক্ত ধারাবাহিক পারস্পর্য সহযোগে আলোচনাকে প্রবন্ধ নামে অভিহিত করা যায়। সাধারণত প্রবন্ধ গদ্যে লেখা এবং দৈর্ঘ্যের দিক থেকে নাতিদীর্ঘ। জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন-ইতিহাস, সমাজ-রাজনীতি, সাহিত্য-শিল্পকলা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে যেসব তত্ত্বকেন্দ্রিক ও বস্তুগত গদ্যনিবন্ধ রচিত হয় তাকে বলা যেতে পারে প্রবন্ধ।

প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য:
• প্রবন্ধ এক ধরনের মননশীল রচনা।
• জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন-ইতিহাস, সমাজ-রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে তত্ত্ব ও তথ্যমূলক রচনা।
• কল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে রচিত লেখকের আত্মসচেতন ও নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ।
• প্রবন্ধ আকৃতির দিক থেকে সংক্ষিপ্ত, তবে বিষয়বস্তুর ব্যাপকতার প্রেক্ষিতে এর আয়তন দীর্ঘ হতে পারে।
• প্রবন্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখকের সামঞ্জস্যপূর্ণ চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটে।

প্রকারভেদ: প্রবন্ধ দুই প্রকার। যথা: বস্তুনিষ্ঠ ও ব্যক্তিগত। বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য থাকে। এই শ্রেণির প্রবন্ধে লেখক যুক্তির সাহায্যে কোনো চিন্তাগ্রাহ্য তত্ত্বকথাকে উপস্থাপন, প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত প্রবন্ধে লেখকের ব্যক্তি হৃদয়ের চিন্তাশীলতা প্রাধান্য পায়। লেখক এখানে অনেকটা স্বাধীন বিচরণকারী, তবে স্বেচ্ছাচারী নন। এ ধরনের প্রবন্ধ পাঠে পাঠক জ্ঞান বা বুদ্ধিবৃত্তির চর্চার চেয়ে ভাবরসে সিক্ত হন বেশি।

প্রবন্ধ বলতে আমরা সাধারণত এমন এক ধরনের গদ্য রচনা বুঝি, যা আলোচনার মাধ্যমে কোনো বিশেষ বক্তব্য, বিষয় অন্তর্গত বক্তব্যকে উপস্থাপন করে চিন্তা এবং যুক্তির পরস্পর মিলনে পাঠককে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সহায়ক করে। প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য সাহিত্যের উদ্দেশ্যের মতো সৌন্দর্য সৃষ্টি ও আনন্দ দান।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

 

বাংলা প্রবন্ধের ইতিহাস

মানব সমাজে চিন্তার বিকাশের ইতিহাসের সঙ্গে প্রবন্ধের বিস্তার ও বিকাশের ইতিহাস পরস্পর বিজড়িত ও সংলগ্ন। মানুষ তার কথাগুলো যখনই অন্যকে বলতে চেয়েছে বা অন্যকে তার মত করে বুঝাতে চেয়েছে তখনই সে আবিষ্কার করেছে প্রবন্ধের রীতি। সে বুঝেছে এই মাধ্যমটির সাহায্যে সে সরাসরি তার বলবার কথাগুলো অন্যকে বুঝাতে বা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।

ইংরেজি ভাষায় প্রবন্ধের সূত্রপাত হয়েছে এখন থেকে প্রায় তিনশত বছর আগে। ফরাসি লেখক মঁতেন এর অনুসরণে ফরাসিতে এবং ফ্রান্সিস বেকনের অনুসরণে ইংরেজিতে প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারা গড়ে উঠেছিল। ঐ দুই ভাষার প্রবন্ধ সাহিত্য আজ সমৃদ্ধির চরম শিখরে পৌঁছেছে। 

বাংলা ভাষায় প্রবন্ধ রচনার সূত্রপাত হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। বাংলাদেশে তখন সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার চলছে। রাজা রামমোহন রায় তাঁর একেশ্বরবাদী ধর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে বাঙালি সমাজে একটা প্রবল আন্দোলনের সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি তাঁর ধর্ম মতের এবং সমাজ সংস্কার আন্দোলন, বিশেষ করে সতীদাহ প্রথা নিবারণের বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। আর সেগুলো প্রকাশ করেছিলেন ‘সম্বাদ কৌমুদী’ ও তৎকালের অন্যসব পত্র-পত্রিকায়।

রাম মোহন প্রবর্তিত ধর্মমত যেহেতু সংস্কারাবদ্ধ হিন্দু সমাজে প্রবল অভিঘাত সৃষ্টি করেছিল ফলে গোঁড়া হিন্দুরা গড়ে তুলেছিল রাম মোহনের বিরুদ্ধে শক্ত সমর্থ বিরোধী পক্ষ। তাঁরাও রামমোহনের সংস্কার আন্দোলন এবং ধর্ম মতকে অসার প্রমাণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। এবং নিজেদের মতের সপক্ষে পত্রিকায় লিখে চলেছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাঙালি সমাজে যে তর্ক-বিতর্ক, উত্তর-প্রত্যুত্তরের সাহিত্য রচিত হতে শুরু করেছিল তার ওপর ভিত্তি করেই মূলত বাংলা ভাষায় প্রবন্ধের সূত্রপাত ঘটে।

রাজা রামমোহনের পর অক্ষয়কুমার দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এঁদের চিন্তাশীল রচনার মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষায় প্রবন্ধ রচনার একটি প্রতিষ্ঠিত ভিত্তি তৈরি হয়। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখের রচনার মধ্য দিয়ে বাংলা প্রবন্ধ পুষ্প শোভিত হয়ে ওঠে। আজ বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্য পৃথিবীর যে কোন ভাষায় রচিত প্রবন্ধের সমান মর্যাদা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে।

প্রবন্ধ লেখার নিয়ম বা কৌশল

যে কোন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার শুরুতেই রচনাকারীকে বিষয়বস্তুটি ভালভোবে লক্ষ্য করতে হয়। বিষয়টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নির্ধারণ করতে হয় তারপরই। তারপর প্রবন্ধকার বিষয় সম্পর্কে নিজের বক্তব্যগুলো নির্ধারণ করবেন। অর্থাৎ প্রবন্ধের বিষয় সম্পর্কে তার কী বলবার অছে সেগুলোকে নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় নোট সংগ্রহ করবেন। তারপর তিনি কোন পদ্ধতিতে তার যুক্তিগুলো উপস্থাপন করবেন তা নির্ধারণ করবেন। কারণ তথ্য ও যুক্তির পারম্পর্য সফল ও সার্থক প্রবন্ধের পূর্বশর্ত।

প্রবন্ধকে তিনটি অংশে বিভাজন করে নেয়া প্রয়োজন; সূচনা, মূলবক্তব্য ও উপসংহার। সূচনা অংশে প্রবন্ধকার তাঁর বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করবেন। কেন তিনি বিষয়টি নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করতে যাচ্ছেন তার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করবেন। মূল বক্তব্য অংশে প্রবন্ধকার তাঁর যুক্তিজাল বিস্তার করবেন এবং ধাপে ধাপে তাঁর বক্তব্যকে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থাপন করবেন। এ অংশে তিনি বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে যত ‍যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি অর্থাৎ রেফারেন্স ও ক্রস রেফারেন্স প্রদান করবেন। এবং সেই সঙ্গে পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তিগুলোকে আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে একটি সাধারণ সত্যে উপনীত হবার চেষ্টা করবেন। আর উপসংহার অংশে প্রবন্ধকার তাঁর মতামতসহ সমগ্র বক্তব্যের একটি সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন করবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে এ অংশে প্রবন্ধকার বিষয়বস্তুর দাবী অনুযায়ী আলোচনালব্ধ পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করতে পারেন।

প্রবন্ধের যে তিনটি অংশের কথা বলা হল, তা যেন একটি জৈবিক ঐক্যে গ্রথিত হয়। অর্থাৎ, সূচনা, মূলবক্তব্য ও উপসংহার অংশ তিনটি যেন পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক হয়- সেগুলো যেন কোনভাবেই তিনটি বিচ্ছিন্ন অংশে পরিণত না হয়। মনে রাখা দরকার, সূচনা অংশেরই বিবর্ধিত রূপ পাওয়া যাবে মূল বক্তব্য অংশে। আবার একইভাবে, উপসংহার অংশে থাকতে হবে সূচনা ও মূলবক্তব্য অংশের অর্থাৎ সমগ্র অংশের সংক্ষিপ্ত সার।

প্রবন্ধ মূলত ভাষা ও যুক্তির শিল্পরূপ। এ কারণে রচনাকারের ভাষাগত দক্ষতা ও সাবলীলতা একটি আকর্ষণীয় প্রবন্ধ লেখার পূর্বশর্ত। আর ভাষাগত দক্ষতা ও সাবলীলতা অর্জিত হয় ভাষার নিয়মিত ও পর্যাপ্ত অনুশীলনের মাধ্যমে। এজন্য সার্থক প্রবন্ধকার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নিয়মিত ভাষার অনুশীলন করতে হবে।

এবং আসুন প্রবন্ধ লেখার নিয়ম বা কৌশলগুলো সূত্রাকারে উপস্থাপন করি-

ক) প্রবন্ধ রচনার শুরুতে মূল বক্তব্য স্থির করতে হবে;

খ) বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ের নোট সংগ্রহ করতে হবে;

গ) যুক্তির পারস্পর্য সাজিয়ে নিতে হবে;

ঘ) প্রবন্ধটি তিনটি অংশে বিভক্ত করতে হবে;

ঙ) প্রবন্ধের তিনটি অংশ জৈবিক ঐক্যে সংগ্রথিত হতে হবে;

চ) প্রবন্ধের ভাষা নির্ধারিত হবে বিষয়বস্তু অনুসারে;

ছ) প্রবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ও তত্ত্বের যথাযথ সূত্র নির্দেশ করতে হবে; এবং

জ) রচনারীতির ব্যাপারে লেখকের বিবেচনা বোধ প্রখর হতে হবে।