প্যারোলে মুক্তি কি? বিস্তারিত বিবরণসহ
প্যারোল (Parole) অর্থ হচ্ছে নির্বাহী আদেশে মুক্তি।
কয়েদী বা হাজতি আসামীকে শর্তাধীনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মুক্তি প্রদান করাকে প্যারোলে মুক্তি বলে।
প্যারোলে জামিন বা মুক্তি দেওয়া হয় খুবই সাময়িক সময়ের জন্য। আসামীকে পুলিশের হেফাজতে যেতে দেওয়া হয় এবং উদ্দেশ্য শেষ হলে উক্ত পুলিশ প্রহরায় পুনরায় তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধিতে প্যারোলে জামিন বলে কোন কথা উল্লেখ নেই। অন্তবর্তীকালীন জামিন হিসাবে ধারা ৪৯৮ এর ব্যাখ্যায় প্যারোলে মুক্তির বিধান নিহিত আছে।
যেমনঃ কোন আসামীর পিতা, মাতা বা কোন নিকট আত্মীয় মারা গেলে তাকে জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
প্যারোলে মুক্তি এখন সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার জন্য।
এখন থেকে কারাগারে থাকা বন্দী অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পাবেন।
এর চেয়ে বেশি সময়ের জন্য মুক্তি দেওয়া যাবে না।
প্যারোলে মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা নতুন নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় কী কারণে বন্দী প্যারোলে মুক্তি পাবেন, সে সম্পর্কেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বন্দীর মা–বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি পাবেন।
আগে রক্তের সম্পর্কের অন্য আত্মীয়দের জন্য কারাগারের বন্দীরা প্যারোলে মুক্তি পেতে পারতেন।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো অজুহাতেই বন্দীকে ১২ ঘণ্টার বেশি মুক্তি দেওয়া যাবে না।
কারাগারের সামনে থেকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রহণ করার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে কারাগারে পৌঁছে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয়, জেলা বা সাব–জেল কর্তৃপক্ষ প্যারোল অনুমোদন করবে।
তবে আদালত ও সরকারের নির্দেশে কাউকে প্যারোল দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন করবে।
Leave a comment