উত্তর: কৃষ্ণ বিরহে রাধা উন্মাদ। যেমন উন্মাদ ছিল কৃষ্ণ। এক সময় কৃষ্ণ রাধাকে পাবার আশায় কত কিছু না করেছে। তাই রাধার অস্থিরতা দেখে বড়াই রাধাকে একথা বলেছে।

রাধাকে পাবার আশায় কৃষ্ণ বড়ায়ির মাধ্যমে তাম্বুল, ফুল, ফল, পান, সন্দেশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাধা তা গ্রহণ না করে বড়ায়ির মাথায় ছুঁড়ে মেরেছিল। বড়ায়িকে অপমান করেছিল। কৃষ্ণের দেওয়া চন্দন রাধা বাম হাত দিয়ে মুছে ফেলে। রাধার দেহ মিলনের পর কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় চলে যাওয়ায় আজ রাধার দেহমন বিরহের আগুনে বিদগ্ধ হচ্ছে। তাই কৃষ্ণকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাধা বারবার বড়ায়ির কাছে ধারণা দিচ্ছে। ছ। রাধার জ্বালায় বিরক্ত হয়ে বড়াই কৃষ্ণের পূর্ব কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছে-

কেন সে কৃষ্ণের উপহার ফেলে দিয়েছিল এবং কেন তাকে অপমান করেছিল। সুতরাং রাধার মতো কৃষ্ণও একদিন এমন ব্যাকুলতা দেখিয়েছিল। এজন্য পূর্বের কৃতকর্মের শাস্তি স্বরূপ রাধার জীবন, যৌবনকে পুটুলি করে বেঁধে রাখুক।

সুতরাং সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড় অর্থাৎ সময়ের কাজ সময়েই করা উচিত। রাধার এ আকুতির মধ্য দিয়ে চিরন্তন সত্যের প্রকাশ ঘটেছে।