যাদব গৃহী সাধক। পাগলদিদি তাঁর সহধর্মিণী। বাইশ বছর বয়সে এ-গাঁয়ে এসে বাসা বেঁধেছেন যাদব। তাঁর সব ছিল—বাড়ি ছিল, ঘর ছিল, ছিল আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব। চল্লিশ বছর ধরে সকলের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। বাবা-মা মারা গেছে, খবর পান নি, তাই শ্রাদ্ধশান্তিও করেন নি। কারণ “নতুন ঘর বাঁধতে হলে পুরোনো খড়কুটো বাদ দিতে হবে না।” মানুষের মন ভুলো মন। তাই কালে সবই তিনি ভুলে গেছেন। পাগলদিদির বিশ্বাস যে এখানে সুখেশান্তিতে তিনি আছেন। যাদব দশটা গ্রামের ভয় ও শ্রন্থার একটা উঁচু আসন পেয়েছেন। চারিদিকে তাঁর ধর্মাত্মা পরিচয়। সিদ্ধপুরুষ বলে তাঁর খ্যাতি। সকলে তাঁর পদধূলির জন্য লোলুপ।
যাদব শশীর কাছে রহস্যাবৃত। যাদব প্রণাম নিতে চান না, তিনি নির্লিপ্ত নির্বিকার মানুষ। লোকে তাঁর কাছ মন্ত্রশিষ্য হবার জন্য ব্যাকুল, আজ পর্যন্ত একটিও শিষ্য তাঁর নেই। তিনি কাউকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন নি। “পদধূলি দেন না, আশীর্বাদ করেন না, পাযাণ দেবতার মতো উপেক্ষা করেন ভক্তিকে—শশীর সন্দেহ জাগে লোকের মনে ভয় ও শ্রদ্ধা জাগানোর কৌশল এসব।” যাদব নির্লোভ চরিত্রের মানুষ, তিনি শান্তিপূর্ণ, নিরীহ মানুষ। মানুষের কাছে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়ে লৌকিক লাভক্ষতি বাড়াবার চেষ্টা তিনি করেন নি। “ও যেন একটা শখ যাদবের, একটা খেয়াল।”
যাদব সূর্যবিজ্ঞানী, সূর্য তাঁর আরাধ্য। মধ্যযুগের ধর্মসাধকদের মধ্যে সূর্য-উপাসক সম্প্রদায় ছিল। শশী বৈজ্ঞানিক, সূর্যবিজ্ঞানে বিশ্বাস করে না। কিন্তু সূর্যবিজ্ঞানের অলৌকিক ক্ষমতা আছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা চলে, যাদব কখনও পৈতে মাজেন না, স্নান করে উঠে সূর্যের আলোয় রোজ একবার মেলে ধরলে, পৈতে ধবধবে সাদা হয়। যাদব পৈতের একটি অংশ পাতলা জলমেশানো কালিতে ডুবিয়েছেন, যাতে কালির ব্যাপারটা বোঝা না যায়। এসব দেখে শুনে শশীর যাদবের ওপর মায়া হয়, হাসিও পায়। অলৌকিক শক্তিতে বিশ্বাস করা না করাই বাইরে যাদবের প্রতি তার শ্রদ্ধা। যাদবের মতে শশীর বিজ্ঞানের ভিত্তিই ত’ মিথ্যা। সূর্যবিজ্ঞান শিখলে শশীকে আর ওষুধের বাক্স কাঁধে নিয়ে বইতে হবে না। এ-বিদ্যা যার তার জন্য নয়। যাদব সারা জীবনে একটা শিষ্যও পেলেন না। যাবার সময় হয়ে এল। যাদবের ধারণা শশী হয়ত সবটা নিতে পারবে না, কেবলমাত্র ভূমিকাটুকু নিতে পারে। শশী কায়মনোবাক্যে ব্রহ্মচারী বলেই এটা সম্ভব। শশী যাদবের মন্তব্যের কোন প্রতিবাদ করে না, কোন সায়ও দেয় না। যাদবের কাহিনী অবিশ্বাস্য ও অলৌকিক। যাদবের ঘরে ধূপের সুবাস একটা শান্তির আশ্রয় তৈরী করে। শশী সেখানে মানসিক স্বস্তির জন্য আসে। শ্রীনাথ মুদী যাদবের কথা শুনে ভক্তিতে গদগদ হয়ে পড়ে। যাদব শশীকে জয় করতে চান। যাদবের মতে সূর্যবিজ্ঞান যার আয়ত্তে তার নখদর্পণে ভূতভবিষ্যৎ। অজ্ঞাত অনাগত সবই সূর্যবিজ্ঞানীর জানা। এমন কি মৃত্যুর দিনও তার জানা থাকে। যাদব যখন এসব আলোচনা করেন তখন তাঁর দুচোখ জ্বলে ওঠে। হাতের আঙুলে পৈতেটা জড়ান ও খোলেন। নম্র শান্ত ভীরু গ্রামবাসী যাদবের দীপ্ত চক্ষুকে ভয় করে। শশী যাদবকে প্রশ্ন করে যে যাদব তাঁর মৃত্যুর দিন জানেন কিনা। যাদব অক্লেশে উত্তর দেন বিশ বছর আগেই তিনি তাঁর মৃত্যুর দিন জানেন। শশীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি হঠাৎ বলে দেন যে রথের দিন তিনি দেহত্যাগ করবেন। অবশ্য কোন খ্রিস্টাব্দের কোন তারিখে যে রথের দিন হবে এবং যাদব দেহত্যাগ করবেন, শশী সে কথা জিজ্ঞাসা করে না। কথাটা বলে ফেলেই যাদব অসুবিধেয় পড়েন। চাপ দিয়ে যাদবের কাছে কথা আদায় করা শশীর উচিত হয়নি। কথাটা বলে যাদব চুপ করে বসে যান, পাগলদিদি অস্ফুট শব্দ করে ওঠেন যে শশী লজ্জিত হয়ে ওঠে। অবিশ্বাসের অঙ্কুশে বিদ্ধ করে যাদবের মুখ থেকে কথা আদায় করা তাঁর উচিত হয়নি। শশী তা বেশীদিন গ্রামে থাকবে না—বড় জোর ছ’মাস এক বছর। এর মধ্যে যাদবের কিছু হলে, শশীকে ত’ হেপাজত পোয়াতে হবে। শশী কথা ঘোরাবার জন্য নিজের কল্পনার কথা বলে। সে বিদেশে যাবে, শহরে গিয়ে ডাক্তারি করবে। মানুষের ব্যাধি সম্বন্ধে নতুন নতুন গবেষণা করবে ইত্যাদি।
রথের দিন যাদবের দেহত্যাগের খবর কেমন করে পাড়ায় রটে গেল। শশী পরানদের বাড়িতে গিয়ে কথাটা বলেছিল। কুসুমের কানে যায় কথাটা। ঝোঁকের মাথায় যাদব যে অর্থহীন কথাটা বলেছিলেন তা চারদিকে রটে গিয়ে এমন এক আলোড়ন তুলবে কে জানে। শশী বাজিতপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, শ্রীনাথ ছুটে এল। যাদবের খবর সত্য কিনা জানতে চাইল। শশী ভাবতেও পারে নি যে ব্যাপারটা এত বিরাট হয়ে যাবে। শশী বলতে পারত যে নির্দিষ্ট কোনো রথের দিন যাদব দেহত্যাগ করবেন না। এদিকে শ্রীনাথ ও অন্যান্য গ্রামবাসী সশ্রদ্ধ নেত্রে ‘হায় হায়’ করতে লাগলেন। শীতলবাবু এই মাত্র ঘুরে গেলেন। পাগলদিদি বললেন যে শশী তার এমন সর্বনাশ কেন করল। শশী এই অভিযোগে বিভ্রান্ত হয়ে গেল। সে শুধু বলল যে সে এসব রটায়নি। শ্রীনাথ এসে কেঁদে পড়েছে, শশীর নাম করে বলেছে যে এবার রথের দিন যাদব চলে যাবে। পাগলদিদির মনে গভীর দুঃখের সঙ্গে বিভ্রান্তির সুর “কি হবে এবার?” শশীর একটা ব্যাপার দুর্বোধ্য মনে হয় যে জনরবকে তিনি মেনে নিলেন কেন?
জনরব মেনে নেবার ব্যাপারটা শশীর কাছে বিস্ময়ের। মাঝে মাঝে তাঁর সম্বন্ধে অদ্ভুত অদ্ভুত জনরব রটে। শ্রীনাথের কথায় যাদব কিভাবে স্থির করলেন যে তিনি আগামী রথের দিন দেহত্যাগ করবেন। অবিবেচকের মত, ফলাফল বিচার না করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। রথের দিন তাঁকে মৃত্যুমুখে অবশ্যই পড়তে হবে, নইলে তিনি মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হবেন। সত্যতা প্রমাণের জন্য তাঁকে স্বেচ্ছায় মরতে হবে। নচেৎ সিদ্ধিতে লোকের বিশ্বাস থাকবে না। জনসাধারণের এই অবিশ্বাস যাদবের মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। যাদবের কাছে মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন তার অন্ধ ভক্তি। যাদব যদি অস্বীকার করত, তাহলে ত সমস্যা থাকত না। “সেদিন যাদব কেমন করিয়া মরিবেন? না মরিলে কেমন করিয়া মুখ দেখাইবেন গ্রামে?”
ভক্তদের ভিড়ের চাপে, কৌতূহলী প্রশ্নের চাপে যাদব বিবর্ণ হয়ে গেলেন। পাগলদিদি তাড়াতাড়ি পাখা এনে স্বামীকে বাতাস করতে লাগলেন। যাদবের স্তিমিত দুটো চোখে জল ভরে গেছে। “রথের দিন মরব যে আমি! বলি নি তোমাকে”—যাদব শান্তভাবে উত্তর দিলেন। যাদবের কাছে জীবন-মরণের ভেদ নেই। গুরুর কৃপায় সূর্যবিজ্ঞান যেদিন আয়ত্ত হল, সেদিন থেকেই জীবন-মরণের পার্থক্য ঘুচে গেছে। শশী অস্বস্তি বোধ করে। এইভাবে সে তার জন্যই এই কাণ্ড হয়েছে। জীবনের সম্বন্ধে যাদবের ক্ষমতা লুপ্ত হয়ে গেল কিভাবে? যাদবের মধ্যে কি অলৌকিক শক্তি আছে? কয়েকখানা ডাক্তারি পাতা পড়ে কি অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করা যাবে ? অনেক যুক্তিতর্ক বা অনুরোধেও যাদবকে শশী মত বদলাতে পারেন নি। বিশ বছর আগে এই দিনটা ঠিক করা আছে বলে যাদবের বিশ্বাস। শশী তখন বলে যে মনের শক্তিতে যাদব ত’ মৃত্যুর দিন পিছিয়ে দিতে পারেন। হাতে অনেক কাজ বাকী। ভেবে-চিত্তে দু’চার বছর তিনি পিছিয়ে দিতে পারেন দিনটা।
শশী গ্রামে আলোড়ন তুলে দিয়েছে। সারা জীবনের চেষ্টায় গড়ে তোলা মানুষের অস্বাভাবিক ভক্তি লুপ্ত হবার ভয়ে যাদব জনমতে সম্মত হয়েছেন। লোকে অধৈর্য হয়ে বাজিতপুরে ছুটে গিয়েও শশীর সঙ্গে দেখা করে হয়ত একথা বলবে। এছাড়া ভয় হয়েছিল যে বিরোধিতা করলে জীবনাধিক যা সেই ভক্তি হয়ত যাদব চিরকালের মতো হারাবে। সর্বত্রই এই এক আলোচনা। সকলেই সাগ্রহে রথের দিনের আশায় আছে। শশী এ সব দেখে নিজেকে অসহায় মনে করে। জনমত যে কতখানি অন্ধ ও নির্মম শক্তি হয়ে উঠতে পারে শশী তা বুঝতে পারে।
শশী যাদবকে দেখে, লক্ষ্য করে। বুঝতে পারে যাদব কোনো একটা আশ্চর্য নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। এসব ব্যাপার দেখতে দেখতে শশীর কাছে অভ্যস্ত ও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। যাদব কিছুক্ষণের জন্য ভেতরে আসেন। তারপর সমবেত দর্শনার্থীর সামনে এসে হাজির হন। মুখ দিয়ে ফোয়ারার মতো ভক্তি, দর্শন, ধর্ম বেরোতে থাকে। শশী সেসব জ্ঞানগর্ভ বাণী শুনে হতবাক হয়ে যায়। যাদবের মুখনিসৃত বাণী শুনে তার অন্তর আনন্দে পূর্ণ হয়। শশীরও মনে হয় এক অধ্যাত্মজগতে প্রবেশের জন্য তার ব্যাকুলতা জাগে।
শশী যাদবকে পরামর্শ দেয় যে যাদব রথের দিন যাতে পুরী চলে যান। রথের দিন সেখানে না মরলেও তাঁর কোনো ক্ষতি নেই। কারণ এতবড় দেশের মধ্যে কোথায় কে ইচ্ছামৃত্যু বরণ করছে তা জানা গ্রামের লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। শশী এমন কি একথাও বলে যে পাগলদিদিকে সঙ্গে নিয়ে যাদব পুরী চলে যাবে। শশীর একথার আসল অর্থ যাদব বুঝতে পারেন না। স্পষ্ট করে তাঁকে যা বলা যায় না, তাহলে এত বড় দেশের যেখানে হোক যাদব চলে যেতে পারলে যাদবের অব্যাহতি হতে পারে। “গাঁয়ের লোক হৈ চৈ করে যে কষ্টটা আপনাকে দিচ্ছে। শেষ সময়টা স্বস্তি পাচ্ছেন না। সেখানে কেউ আপনার নাগাল পাবে না।” শশীর এই উক্তিতে পাগলদিদি মেঝে থেকে উঠে পড়েন। যাদব শশীর কথার উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করেন “শেষকালে পালিয়ে যাব?” যাদব জ্বলে ওঠেন রাগে ও উত্তেজনায়। তিনি বলেন যে তাঁর সব কিছুই কি ভণ্ডামি, ভড়ং? দুপাতা ইংরাজী পড়ে শশী কি বুঝবে? যোগসাধনের সে কি বুঝবে? শেষে শশীকে বললেন যে তার মুখ দেখলে পাপ হয়। এই ভাবে শশী যাদবের সম্পর্কের সংঘাত বাইরে এসে পড়ে।
শশীর বিজ্ঞানমনস্ক মনেও প্রশ্ন জাগে। তার মনের আড়ালে সুপ্ত গ্রাম্য কুসংস্কার নাড়া খেয়েছে। তাই লৌকিক ঘটনা ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও অলৌকিকের প্রতি আস্থা মাঝে মাঝে ধরা দেয়- “বিশ্বাস হয় না, তবু শশীর মনের আড়ালে লুকানো গ্রাম্য কুসংস্কার নাড়া খাইয়াছে। এক এক সময় তাহার মনে হয়, হয়তো আছে, বাঁধা যুক্তির অতিরিক্ত কিছু হয়তো আছে জগতে। যাদব আর যাদবের মতো মানুষেরা যার সন্ধান রাখেন। দলে দলে লোক আসিয়া যে যাদবের পায়ে লুটাইয়া পড়িতেছে, এদের সকলের বিশ্বাস কি মিথ্যা? সাধারণ মানুষের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু যদি না থাকে যাদবের মধ্যে, এতগুলি লোক কি অকারণে এমনি পাগল হইয়া উঠিয়াছে।” লৌকিকের মধ্যে অলৌকিকের সন্ধান যাদবের জীবনে, কর্মে ও মৃত্যুতে ফুটে উঠেছে।
রথের দিন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। যাদব সকাল থেকে স্নান সেরে উঠে এসে পট্টবস্ত্র পরিধান করে বসেন। সকলে তাঁকে মালা পরিয়ে সাজিয়েছে। পাগলদিদিও আজ রেহাই পাননি। তাঁর গলাতেও উঠেছে অনেক মালা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাদবের বাড়িতে লোকে লোকারণ্য। গাওদিয়া, সাতগাঁ, উখার গ্রাম থেকে লোকে দলে দলে ভিড় করেছে। বাঁশ বেঁধে দর্শনার্থীদের পৃথক করা হয়েছে। ভাঙ্গা দাওয়ায় যাদব বসে, অঙ্গনে চৌকি ফেলে গ্রামের মাতব্বরেরা বসেছেন। শশীর লক্ষ্যবস্তু ছিল যাদব ও তদীয় পত্নী। ক্রমে ক্রমে যাদবের মুখ ঢেকে গেল চটচটে ঘামে, কালিমায় চোখের তারা দুটি সঙ্কুচিত হয়ে এল।
তিন চার হাজার উত্তেজিত লোকের সামনে সেই দৃশ্য দেখতে একা শশী একা শিহরিত হয়ে ওঠে। যাদব ও পাগলদিদির দেহে মৃত্যুর লক্ষণ একে একে দেখা দিল। ছেলে-বুড়ো সকলেই ক্ষেপে উঠল। ভলান্টিয়ারদের চেষ্টায় সকলের দর্শন ও প্রণাম পর্ব শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলছিল। এবার আর সংযত করা গেল না। পাগলদিদির পা দুটো সিঁদুরে ঢেকে গেল। জনতা ঠেকাবার ব্যবস্থা হলে শয্যা রচনা করে পাশাপাশি দুজনকে শোয়ানো হল। শীতলবাবুর হুকুমে বাবুদের রথ গৃহের সন্মুখ পর্যন্ত টেনে আনা হল। যাদবের চোখের তারা দুটো ক্রমে ছোট হয়ে গেল। তারপর যাদবের সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। সকলে বলল ‘সমাধি’। ঘণ্টাখানেক পরে পাগলদিদি মারা গেলেন। যাদবের শেষ নিশ্বাস পড়া গোধূলিবেলায়।
Leave a comment