What do you mean by Passing off and infringement of Trademark? Distinguish between them.
পাশিং অফ (Passing off): সাধারণত একজনের উৎপাদিত পণ্য অপরের নামে চালানোর প্রচেষ্টাকে ব্যবসায়িক মহলে পাশিং অফ বলে। এক্ষেত্রে পণ্য সম্পর্কে এমন মিথ্যা প্রকাশনা করা হয় যে, ক্রেতা সাধারণের মধ্যে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং প্রচারকারী অনভিজ্ঞ আর্থিক ফায়দা লুটে। পাশিং অফ মামলায় দেখা যায় যে, প্রতিযোগী কোনো ব্যবসায়ীর কারবারের অর্জিত সুনামকে বিবাদী নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার অপকৌশল অবলম্বন করে। ফলে বাদী যে পণ্যের ওপর মালিকানা স্বত্ব অর্জন করেছে তাতে বিবাদীর কার্যকলাপে অহেতুক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন (Infringement of Trade mark): ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এর ২৬ ধারানুযায়ী কোনো নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী বা নিবন্ধিত ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে অনুরূপ বা বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ ট্রেডমার্ক ব্যবহার করলে তিনি নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করেছেন বলে গণ করা হবে।
ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন এবং পাশিং অফের মধ্যে পার্থক্যঃ ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন এবং পাশিং অফের মধ্যে পার্থক্য মোটামুটি নিম্নরূপ-
১. ট্রেডমার্ক আইনে পণ্যের ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হবার পর এতে এর স্বত্বাধিকারীর বৈধ অধিকার জন্মে। তাই নিবন্ধন না হলে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের মামলা করা যায় না। কিন্তু পণ্যের মার্ক দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার হওয়ায় এ সম্পর্কে যে গুডউইলের সৃষ্টি হয় তার ওপর ভিত্তি করে মামলা করা যায়, নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজন হয় না।
২. বাদী যে ধরনের পণ্যের ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করে থাকে বিবাদী এ জাতীয় পণ্যের ওপর ট্রেডমার্ক ব্যবহার করলে বাদীর ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করা হয়, অন্য জাতীয় পণ্যে ব্যবহার করলে তা হয় না। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে একই জাতীয় পণ্যের মার্ক হবার প্রয়োজন নেই।
৩. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, বাদী যদি প্রমাণ করতে পারে যে বিবাদীর পণ্যের মার্ক বাদীর মার্কের অনুরূপ কিংবা বিভ্রান্তিমূলক সাদৃশ্যপূর্ণ তাহলে যথেষ্ট হবে, অধিক প্রমাণের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে শুধু দুটো মার্ক অনুরূপ বা সাদৃশ্যপূর্ণ হলেই চলবে না, বিবাদীর মার্ক ভোক্তা সাধারণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে বা প্রতারিত করবে এরূপ আশঙ্কা থাকে।
৪. লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিবাদী কর্তৃক মার্ক ব্যবহারের ফলে বাদীর ক্ষতির প্রমাণ প্রয়োজন হয় না। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে বিবাদীর মার্ক ব্যবহারের ফলে বাদীর গুডউইল বিনষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।
৫. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এরূপ মার্কের ব্যবহার বা সাদৃশ্যপূর্ণ মার্ক হলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে বাদীর ট্রেডমার্কের ব্যবহার প্রয়োজন নেই। বহিরাকৃতির অনুকরণ, একইরূপ রঙের বিন্যাস, পণ্যের আকার, একই রকমের ট্রেডনাম ইত্যাদির প্রয়োজন। পাশিং অফ মৌখিকভাবেও সংঘটিত করা যায়।
৬. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন শুধু পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷ কিন্তু পাশিং অফ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তা লাভজনক হোক বা অলাভজনক হোক৷ এছাড়া পেশা ও সেবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৭. সংবিধিবদ্ধ অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক লভ ঘনের প্রতিকার পাওয়া যায়। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে কমল ল’য়ে স্বীকৃত অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
৮. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে মার্কের ব্যবহার যথেষ্ট। অন্য ট্রেড উৎস ইঙ্গিতবাহী কোন কিছু ব্যবহার প্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু পার্শিং অফের ক্ষেত্রে ইঙ্গিতবাহী অন্য কিছুর ব্যবহার প্রাসঙ্গিক হতে পারে যদি দুটো সম্পূর্ণ বিষয় প্রমাণিত না হয়।
৯· ট্রেডমার্কের লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে যে প্রতিকার পাওয়া যায় তা সংবিধিবদ্ধ; কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে যে প্রতিকার পাওয়া যায় তা কমন ল’।
১০. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করা হলে তা পাশিং অফ নাও হতে পারে; কিন্তু পাশিং অফ হলে তা ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন হতে পারে।
১১. ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রমাণ করা সহজ এবং ক্ষতিপূরণ সীমাবদ্ধ। কিন্তু পাশিং অফের ক্ষেত্রে প্রমাণ সহজবোধ্য নয় এবং ক্ষতিপূরণ অসীম।
Leave a comment