গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষায় রচিত সাহিত্যতত্ত্বকে গ্রিক রোমান সাহিত্যতত্ত্ব বলে। প্লেটো গ্রিক ভাষায় সাহিত্যতত্ত্ব রচনা করেন বলে তিনি গ্রিক সাহিত্যিক। গ্রিক দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ সক্রেটিসের মেধার সাহচর্যে নির্মিত প্লেটো মানস থেকে সাহিত্য ও শিল্প বিচারের নিয়মানুগ যে ধারণাটির উৎসারণ ঘটেছিল, আজও তার প্রবহমানতা মন্থর হয় নি। প্লেটো আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৪২৭ অব্দে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪৭ অব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বালক বয়সেই সক্রেটিসের অনুরাগী হয়ে উঠেন। কবিতা এবং নাটকচর্চা ছেড়ে দর্শন এবং রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। মিশর, উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি এবং ইটালি ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ প্লেটো নিরন্তর অনুশীলনের মাধ্যমে চিন্তা চেতনার সংযুক্তি। ঘটিয়েছিলেন। চিন্তা ও যুক্তির জ্যামিতিক গতিধারায় প্রণীত নিরাবেগ বৃদ্ধিবৃত্তিতে আদর্শায়িত প্লেটো শিল্প সাহিত্য বিচারে বিস্ময়করভাবে সংকুচিত মননের পরিচয় দিয়েছেন। শিল্প সম্পর্কে প্লেটোর অধিকাংশ মন্তব্য আক্রমণাত্মক এবং বিশ্লেষণ নৈতিবাচক। প্লেটো এথেন্সে একটি ‘একাডেমি’ গড়ে তোলেন এবং সেখানে ছাত্রদের দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও মানবচিন্তার সমগ্র জ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা দিতে থাকেন। এই একাডেমিতেই নিহিত ছিল আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা।

প্লেটো সম্ভবত চিন্তার দিক থেকে মানব অস্তিত্বের সমস্ত দিককে স্পর্শ করেছিলেন। তিনি কথপোকথনরীতিতে সাহিত্য রচনা করেন। তাঁর চারটি সংলাপধর্মী গ্রন্থ রয়েছে- (১) Phaedrus, (২) Ion, (৩) Plato Mposium এবং (৪) Republic.

এই চারটি সংলাপধর্মী গ্রন্থের মধ্যে প্লেটোর সাহিত্য শিল্পতত্ত্বের প্রকাশ ঘটেছে। প্রথম দুটি গ্রন্থে সাহিত্য ও শিল্পে অনুপ্রেরণা ও অনুকরণতত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। প্লেটো অনুকরণকে সাহিত্যের একটি অব্যবহিত ‘চরিত্র বলে বিবেচিত করেছেন। অনুকরণটি সাহিত্যশিল্প সৃষ্টির একটি অন্যতম উপাদান। এই অনুকরণ ক্ষমতার বা শিল্প সাহিত্য সৃষ্টির পিছনে তার একটি অনুপ্রেরণা ছিল। সাহিত্য শিল্প ইত্যাদি অনুপ্রেরণার ক্ষেত্রে ঈশ্বরপ্রেরণাকে অন্যতম উপাদান হিসেবে মনে করেছেন। পরের দুটি গ্রন্থে সাহিত্য ও শিল্প সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রয়োজনীয়তা বহন করে কিনা; সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

প্লেটোর সাহিত্য ভাবনার ক্রমবিকাশ থেকে দেখা যায়, সাহিত্যতত্ত্ব সম্পর্কে তিনি প্রথমে যে উদার মনোভাব প্রকাশ করেছেন পরেরগুলোতে তিনি ততই কঠোর হয়েছেন। প্রথম দিকে সাহিত্য সম্পর্কে যে সহজ ধারণা প্রকাশ করেছেন, Republic গ্রন্থে এসে কঠিন ধারণা প্রকাশ করেছেন। এ গ্রন্থে সাহিত্যচিন্তার গুরুত্ব ও সাহিত্যের উপযোগবাদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

প্লেটো সবরকম আলোচনা করেছেন বিছিন্নভাবে। সুপরিকল্পিতভাবে আলোচনা করার কোনো রকম প্রচেষ্টা তার মধ্যে ছিল না। কিন্তু তিনিই সাহিত্যচিন্তার প্রথম পথিকৃৎ। রচনার মধ্যে দুটি সাহিত্য দিক লক্ষপ্লেটোর সাহিত্য শিল্পতাত্ত্বিক করা যায় ।

  1. শিল্পের অধিবিদ্যক সংজ্ঞার্থ।
  2. রাষ্ট্রিক ও সামাজিক জীবনে সাহিত্য শিল্পের প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ক আলোচনা।

১. শিল্পের অধিবিদ্যক সংজ্ঞার্থ: শিল্পের অধিবিদ্যক সংজ্ঞার্থ সম্পর্কে প্লেটো বলেন, সাহিত্যিক বা শিল্পীরা যা অনুকরণ করেন বা সৃষ্টি করেন তা সত্য থেকে তিন ধাপ দূরে। প্লেটো পূর্ববর্তী সাহিত্য সম্পর্কে সত্যের ধারণাটির ছিল পঞ্চইন্দ্রিয় গ্রাহ্য একটি ব্যাপার । পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা সত্যকে অনুধাবন করা যায় না। পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা যা কিছু অনুধাবন করি, তা আইডিয়ার অনুকরণ একারণেই তিনি বলেছেন:

“সাহিত্য শিল্পীরা যা অনুকরণ করেন তা সত্য থেকে তিন ধাপ দূরে।”

তাঁর মতে সত্য দুই প্রকার। যথা : (ক) বস্তুজগতের সত্য । (খ) মনোজগতের সত্য।

তিনি বলেন (Idea) বা ধারণা হলো সত্তাবান বা অবিনশ্বর যার বিলোপ ঘটে না, বোধই হলো সত্য। মস্তিষ্ক দিয়ে সত্যকে অনুধাবন করতে হয়। কবি সাহিত্যিকদের কাছে যা সত্য প্রকৃত অর্থে তা সত্য নয়। সত্য হলো কতকগুলো আইডিয়া। বস্তুজগৎ তার অনুকরণ। কাব্যের আদর্শ বস্তুজগৎ। অতএব, কাব্য অনুকরণের অনুকরণ। কবি ছায়ার স্রষ্টা, কায়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।

২. রাষ্ট্রিক ও সামাজিক জীবনে সাহিত্য শিল্পের প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা: প্লেটোর মতে কবিরা দৈবশক্তি গ্রিক দ্বারা অনুপ্রাণিত। তাই তারা দিব্যোন্মাদ। প্লেটোর মতে আদর্শ মহাকা নগররাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে কবিদেরকে সমাজ থেকে বের করে দিতে হবে। তাই তিনি কবিদেরকে আদর্শ রাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে চেয়েছেন। তাঁর মতে কাব্যের আবেদন মনের দুর্বলতার কাছে, মনের শ্রেষ্ঠত্বের কাছে নয়। আর সে জন্য কাব্য আমাদের বুদ্ধি, যুক্তি, চিন্তাকে বিনষ্ট করে। বাস্তব জীবনের সঙ্গে কাব্যের, তুলনা দেখা যাবে যে, কাব্যে আবেগের প্রশংসা করা হয়, বাস্ত বজীবনের বহুক্ষেত্রে তা প্রশংসনীয় নয় অর্থাৎ কাব্য সমাজজীবনের আদর্শের বিরোধী হতে পারে।

শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে প্লেটো তিনটি বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন।

ক. সাহিত্য শিল্প অনুকরণ: শিল্পকর্মের সাহিত্যতত্ত্বের মূল বিষয় অনুকরণতত্ত্ব- প্লেটোই প্রথম তা আবিষ্কার করেন। তিনি দরুন বলেন সাহিত্য শিল্প হলো অনুকরণ। এই সাহিত্য শিল্প নির্দিষ্ট লক্ষ্য হতে তিন ধাপ দূরে।

খ. শিল্পী, সাহিত্যিকদের অনুকরণ: শিল্পী সাহিত্যিকরা যা উপাত অনুকরণ করেন- তা মূলত অনুকরণের অনুকরণ। স্রষ্টা একটি জগৎ সৃষ্টি করেছেন নিজস্ব আইডিয়া থেকে-আবার কাবি সাহিত্যিকরা সেই আইডিয়া থেকে অনুকরণ করেন। সুতরাং কবি সাহিত্যিকদের অনুকরণ হচ্ছে অনুকরণের অনুকরণ ।

গ. অনুপ্রেরণা তত্ত্ব : প্লেটো মনে করেন যা কিছুই সৃষ্টি হয় তা অবশ্যই অনুপ্রেরণা হতে। যিনি সৃষ্টি করেন তিনি যে, অন্তঃগরজ বা অভ্যন্তরীণ তাগিদ অনুভব করেন। প্লেটো অনুকরণতত্ত্ব সম্পর্কে বলেছেন অনুপ্রেরণা ঈশ্বরের দান অনুপ্রেরণা ব্যক্তির নিজস্ব হতে পারে না । । এটি ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রেরণা। আমরা যখন মানব অস্তিত্বকে বর্ণনা করি তখন তা সাহিত্য হয়ে উঠে। প্লেটো অনুপ্রেরণা তত্ত্ব সম্পর্কে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন । যথাঃ

  1. একজন অনুপ্রাণিত কবি বা শিল্পীর মধ্যে উপকরণ নির্বাচন বা সংগঠন করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  2. তাকে অনুপ্রাণিত শিল্পরীতি ও শিল্পনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হয়।
  3. তাঁকে অবশ্যই এসব বিষয়গুলো সংযম, নিয়ম ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে পরিশ্রুত হতে হবে।

জৈবিক ঐক্য : সাহিত্য শিল্প প্রসঙ্গে প্লেটো সর্বপ্রথম organic unity বা জৈবিক ঐক্যের কথা বলেছেন। প্লেটোর সমাজ দর্শন, রাষ্ট্র, দর্শন প্রভৃতি বিষয় চিন্তার সময় ব্যক্তিপূর্ণতার কথা চিন্তা করেছেন। মানবদেহ বা organic অনেকগুলো কোষের সমন্বয়ে গঠিত। সাহিত্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঐক্য অবশ্যম্ভাবী। তাই যদি কোনো কাহিনি থেকে যদি কোনো Episod তুলে নেওয়া হয় তবে মনে করতে হবে ঐ Episod টি অপ্রয়োজনীয় ছিল। এই ধারণাটি অতি আধুনিক ধারণা। তাঁর মতে সাহিত্যে একটি প্রাণময়তা থাকতে হবে।

দিয়ুরান্বিক ছন্দ: প্লেটো প্রথম জীবনে কবি ছিলেন। পরবর্তী জীবনে তিনি তাঁর আদর্শ রাষ্ট্র থেকে কবিদের উৎখাত করতে চেয়েছেন। কবিদের তিনি দিব্য-উন্মাদ বলে চিহ্নিত করেছেন। প্লেটো সাহিত্যের শ্রেণি বিভাজন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। গ্রিক ভাষায় একটি ছন্দের নাম দিয়ুরাম্বিক ছন্দ। Form এর বর্ণনা ও চিন্তা বিভাজনের দিক লক্ষ রেখে প্লেটো গ্রিক সাহিত্যকে তিনটি বিভাজন করেছেন। গীতিকবিতা, মহাকাব্য ও নাটক। ত্রিমাত্রিক একটি গ্রিক ছন্দ- এই ত্রিমাত্রিক ছন্দকে Lyric বা গীতিকবিতা বলেছেন। উপস্থাপনরীতি ও বর্ণনা ভঙ্গির উপর লক্ষ রেখে প্লেটো মহাকাব্যকে Epic নামকরণ করেছেন। অর্থাৎ বর্ণনামূলক সাহিত্যকে Epic বলেছেন। আর দৃশ্যময় বা সংলাপময় কৌশলকে নাম দিলেন Drama বা নাটক। এরূপ বিষয় ও বিষয়বস্তুর উপস্থাপনকে সামনে রেখেই প্লেটো সাহিত্যকে বিভাজন করেছেন।

ট্র্যাজিডি: প্লেটো ঐহিত্যগতভাবে একটি বিশেষ আবেগকে সাহিত্য শিল্পে ট্র্যাজেডির মূল উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। গ্রিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এই শব্দ দুটি করুণা ও ভয় (Pitty, fear) অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাঁর মতে মানুষের মধ্যে করুণা ও ভয়ের যে আবেগ থাকে তাই ট্র্যাজেডির মূল উৎস।

শৈল্পিক শোভনতা : গ্রিক ও রোমান সাহিত্যের জন্য শৈল্পিক শোভনতা বা principle of decorum উল্লেখযোগ্য এমা উপাদান বলে বিবেচনা করেছেন। প্লেটো জীবনকে পর্যবেক্ষণ করে সাহিত্য শৈল্পিক শোভনতার প্রয়োজনীয়তার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।

কাব্য রচনার তিনটি বিষয়: প্লেটো উপযোগবাদী দার্শনিক ছিলেন। তাঁর মতে, কবিতা রচনার ক্ষেত্রে Style, Melody, Rythm এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে কবিকে সচেতন থাকতে হয়। এই তিনটিকে বলে value of decorate বা সাহিত্য শিল্পের শোভনতা। এটা মানব চরিত্রকে পরিবর্তন করে। অর্থাৎ তাঁর মতে, কবিতা আনন্দ বা বিনোদনের জন্য নয় এর একটি উদ্দেশ্য আছে। কবিতা মানব চরিত্রকে পরিবর্তনের জন্য। প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে একটি নিগূঢ় সত্য আছে যা উদঘাটন করে মানব চরিত্রকে পরিবর্তন করতে হবে। সেই সত্যকে উদঘাটন করে পর সত্তায় বিকশিত করাই সাহিত্য-শিল্প সৃষ্টির উদ্দেশ্য। প্লেটোর পর সাহিত্য হলো তাই, যা মানুষের মঙ্গলের জন্য সৃষ্টি।

সাহিত্য সমালোচকরা কেমন হবে এ প্রসঙ্গে প্লেটোর মত : সাহিত্য সমালোচনা সম্পর্কে প্লেটো মহৎ সমালোচনার মাধ্যমে আদর্শ স্থাপন করাব কথা বলেছেন। তাঁর মতে যদি কোনো সমালোচক আদর্শিক, সত্য, মহৎ হতে চান- তবে, তাকে সাহস, অভিজ্ঞান ও প্রজ্ঞা এই তিনটি গুণ সম্পর্কে প্ররিশ্রুত হতে হবে। শুধু এই তিনটি বিষয় থাকলে হবে না, যদি না তার মধ্যে একধরনের ব্যক্তিত্ব না থাকে। যে ব্যক্তির মাঝে প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞান ও আনুষঙ্গিক বোধ ও বুদ্ধি আছে তাঁকে ব্যক্তিত্ব বলে। তিনি বলেন,

Person and the personality are not same. There are basic difference between person and the personality.

প্লেটোর মতে সাহিত্য বা শিল্প সমালোচকরা কখনো জনরুচি দ্বারা প্রভাবিত হবে না। তিনি অনেককে প্রভাবিষ্য করবেন কল্যাণকর জীবন যাপনের মাধ্যমে- অর্থাৎ অভিজ্ঞান, সাহস ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করবেন। জনরুচি দ্বারা সাহিত্যের রুচি প্রভাবিত হতে পারে না। প্লেটো বিচার করেছেন সাহিত্য মানুষের চরিত্র গঠনে কতটা সাহায্য করেছে এবং কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলেছে- যে সাহিত্য কল্যাণকর তা তিনি গ্রহণ করতে বলেছেন।

প্লেটো সুন্দর এবং জ্ঞানের মধ্যে একটি বিরোধ লক্ষ করেছেন। তার একটি বড় ধারণা যা সুন্দর তা জ্ঞান নয়। কারণ সুন্দরের আবেদন কল্পনার আবেগে, আর জ্ঞানের আবেদন বুদ্ধিতে। সত্য, সুন্দর, কল্যাণ আপেক্ষিক শব্দ- যা আমাদের অস্তিত্বের তাই সত্য, সুন্দর, কল্যাণ। যা আমাদের অস্তিত্বের পক্ষের নয় তাই সত্য, সুন্দর, কল্যাণ নয়।

পরিশেষে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, প্লেটোর সাহিত্যে ও শিল্পতত্ত্বের স্বরূপ পরবর্তী সাহিত্যিকদের পথ প্রদর্শকরূপে পরিণত হয়েছে। সংলাপের আকারে বিধৃত প্লেটোর সাহিত্যতত্ত্ব পরবর্তী সাহিত্যিকদের চিন্তার নব-নব প্রান্তরকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। উদাহরণ হিসেবে এরিস্টটল, হোরেস, লঙ্গিনাস এর কথা বলা যেতে পারে। তাছাড়া সাহিত্যের বিভিন্ন উপাদান, উপকরণ, উদ্দেশ্য, শ্রেণিবিভাগ প্রভৃতি বুঝতে প্লেটোর সাহিত্যতত্ত্ব বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অত্রএব, বলা যায় সাহিত্যতাত্ত্বিক হিসেবে প্লেটোর অবদান অনস্বীকার্য।