স্কোর বিন্যাসকরণের সময় একই স্কোরসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফলাফল বারবার না লিখে ওই স্কোরগুলির পাশে ব্যবহৃত সংখ্যাগুলিকে লেখা। হয়, এই পুনরাবৃত্তিমূলক সংখ্যাকে পরিসংখ্যা (frequency) বলা হয়, f চিহ্ন দ্বারা দেখানাে হয়।

এইভাবে প্রাপ্ত সংখ্যামানগুলিকে তাদের মানের ক্রম অনুযায়ী সাজানাের পর পরিসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত করে বিভাজিত করাকে পরিসংখ্যা বিভাজন (Frequency Distribution) বলা হয়। যেমন – কোনো স্কোরগুচ্ছ যথাক্রমে 8, 7, 6, 5, 3, 2, 4, 5, 6, 7, 8, 7, 7, 9, 4, 2, 3।

উপরােক্ত স্কোরগুলির পরিসংখ্যা বিভাজনটি সাজালে হবে—

পরিসংখ্যা বিভাজন

ছকটি থেকে বােঝা যাচ্ছে 2, 3, 4, 5 ……এরকমভাবে সাজিয়ে পরিসংখ্যা (Frequency) নির্ণয় করে পরিসংখ্যা বিভাজন করা হয়েছে 2-4 Frequency 2, 3-এর Frequency 2এরকমভাবে 7-এর Frequency 4

পরিসংখ্যা বিভাজনের গুরুত্ব

পরিসংখ্যা বিভাজনের গুরুত্ব বা প্রয়ােজনীয়তা নীচে আলােচনা করা হল— 

(১) ধারণা গঠন : কোনাে স্কোরের প্রকৃতি বা স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা গঠন করা যায় শুধুমাত্র পরিসংখ্যা বিভাজনে ওই সংখ্যাটির অবস্থান দেখেই।

(২) স্বল্প পরিসরে অর্থবহ করা : পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে স্কোরগুলিকে স্বল্প পরিসরে অর্থবহ করে তােলা যায়।

(৩) তুলনামূলক আলােচনা করতে : পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে দুই বা তার বেশি দলের মধ্যে তুলনামূলক আলােচনা করা যায়।

(৪) ত্রূটিসংশােধন করতে : স্কোরগুলির মধ্যে যদি কোনাে ত্রুটি বা অসংগতি থাকে, তবে তা পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে সহজেই দৃষ্টিগােচর হয়।

(৫) প্রাথমিক ধারণা গঠন করতে : যে-কোনাে স্কোরগুচ্ছের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক একটা ধারণা গঠন করতে পরিসংখ্যা বিভাজন সর্বতােভাবে সাহায্য করে।

(৬) লেখচিত্র অঙ্কন করতে : পরিসংখ্যা বিভাজনের উপর নির্ভর করেই লেখচিত্র অঙ্কন করা যায়।

(৭) শিক্ষার্থীর উন্নতি পরিমাপ : কোনাে শ্রেণিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উন্নতির হার কীরূপ, কাদের কম বা কাদের বেশি তা পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে অনুমান করা যায়।

(৮) রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন কৌশল প্রয়ােগ : পরিসংখ্যা বিভাজনের সাহায্যে রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন রকম কৌশল প্রয়ােগ করতে গাণিতিক সুবিধা হয়।

এ ছাড়া তথ্যবিন্যাস, তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজে পরিসংখ্যা বিভাজন বিশেষভাবে সাহায্য করে।