কোনাে রাশিমালায় মােট স্কোরসমূহের মধ্যে কোনাে স্কোরের পুনরাবৃত্তির সংখ্যাকে বলে পরিসংখ্যা বা Frequency।

এই পরিসংখ্যাকে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ: এখানে 7 স্কোরটি 3 বার পুনরাবৃত্তির কারণে এর পরিসংখ্যা হল 3।

কোনাে স্কোর যে শ্রেণিতে রয়েছে, সেই শ্রেণিতে স্কোরটির পরিসংখ্যা বােঝাতে শ্রেণিটির পাশে একটা করে দাগ দিয়ে পুনরাবৃত্তির প্রতিটি সংখ্যা দেখানাে হয়। গণনার সুবিধার জন্য ট্যালি সংখ্যা 5 হলে 4 টি দাগের পরে কোণাকুণি 1 টি দাগ দেওয়া হয়।

ট্যালি

পরিসংখ্যা বিভাজনের প্রকার

প্রাপ্ত স্কোরসমূহকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে পরিসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত করে বিভাজিত করার পদ্ধতিকে বলে পরিসংখ্যা বিভাজন। এইভাবে স্কোরগুলি বিন্যাসের ক্ষেত্রে দু-ধরনের নিয়ম রয়েছে। যথাক্রমে— 

(১) একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন (Simple Frequency Distribution) : প্রাপ্ত স্কোরগুলিকে যখন এক-একটি মানের ভিত্তিতে সাজানাে হয় তাকে বলে একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন। উদাহরণ 

একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন
একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন

(২) শ্রেণিবদ্ধ বা দলবদধ স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন (Grouped Frequency Distribution) : প্রদও স্কোরগুলিকে যখন মানের ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে সমান সংখ্যায় দলবদ্ধ করে পরিসংখ্যা বিভাজন করা হয়, তাকে বলে শ্রেণিবদ্ধ বা দলবদধ স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন।উদাহরণ 

শ্রেণিবদ্ধ বা দলবদধ স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন

অবিন্যস্ত স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বিভাজন পদ্ধতি

অবিন্যস্ত স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টনের ক্ষেত্রে কয়েকটি পর্যায় রয়েছে, সেগুলি হল—

প্রথম পর্যায়

ছক অক্ষন : প্রথমে সমাকৃতির 3টি আয়তাকার কক্ষবিশিষ্ট ছক আঁকতে হবে। 3টি কক্ষের বাম দিকে নম্বর মাঝে ট্যালিমার্ক এবং ডান দিকে পরিসংখ্যা কথাটি লিখতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়

সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্কোর নির্ণয় : প্রাপ্ত স্কোরগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর দুটি নির্ণয় করতে হবে।

তৃতীয় পর্যায়

প্রসার (Range) : বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম স্কোর-এর ব্যবধান নির্ণয় করতে হয়।

চতুর্থ পর্যায়

ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী স্কোর বিন্যাস : স্কোরের ক্রমানুযায়ী 1, 2, 3, 4…..ক্রম মেনে স্কোরগুলিকে লিখে সাজাতে হবে।

পঞম পর্যায়

ট্যালি মার্ক : স্কোরগুলির পুনরাবৃত্তি সংখ্যা গণনার জন্য প্রত্যেকটি পুনরাবৃত্তি সংখ্যা সাপেক্ষে একটি করে দাগ দিয়ে ট্যালি করতে হয়। পরপর চারটি দাগ সােজা টানতে হয় এবং 5 নম্বর দাগটি কোণাকুণি (WI) টানতে হবে। এইরূপে শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজটি ক্রমাগত করে যেতে হবে।

ষষ্ঠ পর্যায়

পরিসংখ্যা গঠন : ট্যালিমার্ক-এর সংখ্যা গুনে প্রত্যেকটি স্কোরের সারি ধরে পরিসংখ্যা বসাতে হবে।

উপরােক্ত পর্যায়গুলি অবলম্বন করে অবিন্যস্ত স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন বা একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টনটি করা হয়।