পরিবেশ মানব সভ্যতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পরিবেশ সচেতনতা ছাড়া মানব বিকাশ অসম্ভব। পরিবেশবান্ধব সমাজই পারে মানবসভ্যতার আয়ুকে বৃদ্ধি করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ বিশ্ব গড়ে তুলতে। এই কথা মাথায় রেখেই সমগ্র বিশ্বে পরিবেশ শিক্ষা-বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রমে অপরিহার্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে বেলগ্রেড সম্মেলনে UNESCO-র উদ্যোগে পরিবেশ কর্মসূচি এবং ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে USSR-এ Tbilisi-তে পরিবেশ সংক্রান্ত বিশেষ ঘােষণার ফলেই পরিবেশ শিক্ষা বিশেষ গুরুত্ব পায়।
Tbilisi-র ঘােষণাগুলি হল─
(১) সচেতনতা বৃদ্ধি : পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধ সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে সামাজিক গােষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করতে হবে। সমাজকে পরিবেশ বিষয়ে অনুভূতিশীল করে গড়ে তুলতে হবে।
(২) অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান : পরিবেশের বৈচিত্র্য সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব মনােভাব গড়ে তুলতে হবে।
(৩) সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি : সমাজের প্রতিটি মানুষ ও গােষ্ঠীকে পরিবেশ সংক্রান্ত মূল্যবােধ, সহানুভূতি, পরিবেশ উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে।
(৪) দক্ষতা অর্জন : পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা নির্ধারণে এবং সমাধানে সামাজিক গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিবর্গকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
(৫) অংশগ্রহণ : সমাজের প্রতিটি স্তরের গােষ্ঠীগুলি পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাসমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।
এ ছাড়াও ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে Stapp & Cox পরিবেশ শিক্ষার পাঁচটি ধারণার কথা বলেন। ধারণাগুলি (ethics) হল─ (১) জনসংখ্যা, (২) অর্থনীতি ও প্রযুক্তি, (৩) বাস্তুতন্ত্র, (৪) পরিবেশগত নৈতিকতা এবং (৫) পরিবেশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
Leave a comment