পরমাণু ঃ  মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের গুণাগুণ থাকে এবং যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করে তাকে পরমাণু বলে। যেমন – কার্বন পরমাণুতে কার্বনের ধর্ম বিদ্যামান।

পরমাণুতে ২ ধরনের মূল কনিকা পাওয়া যায়।যথা:
১.স্থায়ী কনিকা
২.অস্থায়ী কনিকা
পরমাণু এ দুই ধরনের কনিকা ব্যতীত আরেক ধরনের কনিকা পাওয়া যায়,যার নাম কম্পোজিট কনিকা।
স্থায়ী কনিকা:যে মূল কনিকা পরমানুর মধ্যে সবসময় স্থায়ীভাবে পাওয়া, তাকে স্থায়ী মূল কনিকা বলে।যেমন:ইলেক্ট্রন,প্রোটন ও নিউট্রন।
অস্থায়ী কনিকা:যে মূল কনিকা পরমাণুর মধ্যে সবসময় পাওয়া যায় না,তাকে অস্থায়ী মূল কনিকা বলে।যেমন:পাইওন,মেসন,মিউওন,পজিট্রন,নিউট্রিনো,এন্টিনিউট্রিনো,বোসন কনা ইত্যাদি।
কম্পোজিট কনিকা:স্থায়ী এবং অস্থায়ী কনিকা ব্যতীত পরমানুতে আরেক ধরনের ভারী কনা পাওয়া যায়,যাকে কম্পোজিট কনিকা বলে।যেমন:আলফা কনা,ডিউটেরণ কণা।
পরমাণুঃ

১) পরমাণু মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা।

২) সাধারণত পরমাণু স্বাধীনভাবে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে না, তবে কোনো কোনো মৌলিক পদার্থের পরমাণু স্বাধীনভাবে থাকতে পারে।

যেমন—হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন ইত্যাদি।৩) পরমাণু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

৪) বিভিন্ন প্রকার পরমাণুর সংখ্যা সীমিত। এ পর্যন্ত ১১১ প্রকারের পরমাণু আবিষ্কৃত হয়েছে।

অণু ঃ  দুই বা দুইয়ের অধিক সংখ্যক পরমাণু পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকলে তাকে অণু বলে।  

যেমন – হাইড্রোক্লোরিক এসিডে একটি H পরমাণুর সাথে একটি  Cl পরমাণু যুক্ত হয়ে HCl অণু গঠিত হয়। 

আবার পানিতে দুটি H পরমাণুর সাথে একটি O পরমাণু যুক্ত হয়ে H₂O অণু গঠিত হয়।