‘পথের পাঁচালী’ বিভূতিভূষণের কালজয়ী সৃষ্টি
বিভূতিভূষণ রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে “পথের পাঁচালী” (১৯২৯) একটি কালজয়ী সৃষ্টি। ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসটি ১৯২৭ সালে কলকাতায় সাহিত্য মাসিক ‘বিচিত্রায়’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের একটি প্রথাগত গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’। ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস হিসেবে শ্রেষ্ঠ এজন্য যে, একটি কিশোরকে নায়ক করে লেখা হয়েছে একটি বৃহৎ উপন্যাস যা শিশু-সাহিত্য নয়, যা বড়োদের পাঠ্য, তবে কিশোর-কিশোরী পাঠকেরাও তা পড়তে পারে।
উপন্যাসটি তিন খণ্ডে বিভক্ত ১. বল্লালী বালাই, আম আঁটির ভেঁপু ও অক্রুর সংবাদ; আর এ তিন খণ্ডের প্রাণ আম আঁটির ভেঁপু। তবে নদীর মতো ধারাবাহিকভাবে খণ্ডগুলো এগিয়ে গেছে সামনের দিকে। নায়ক অপুর জন্ম বল্লালী বালাই খণ্ডে। আম আঁটির ভেঁপু খণ্ডে সে যাপন করেছে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় আর অক্রুর সংবাদ খণ্ডে সে উদ্বাস্তু কর্কশ জীবনের খণ্ড ভোগ করেছে। এর মধ্যে শেষ খণ্ডটিই সবচেয়ে মলিন, মলিন জীবন সবকিছুকে মলিন করে তুলেছে, এমনকি অপুকেও। এ উপন্যাসের নায়ক অপু আর নায়িকা দুর্গা। অপুর জন্ম ও বিকাশ ঘটতে পারে নিশ্চিন্দিপুরে। বিভূতিভূষণ তার আত্মার মতো প্রিয় অপুকে বিকশিত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন এ উপন্যাসের সমস্ত চরিত্র, ঘটনা ও প্রাকৃতিক দৃশ্যে। তাই বলা যায়, ‘পথের পাঁচালী’ একটি সার্থক সৃষ্টি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।
Leave a comment