কাহিনির বিষয়বস্তু: লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় ‘ছাতির বদলে হাতি’ রচনায় পাঁচিশ-তিরিশ বছর আগেকার যে কাহিনির উল্লেখ করেছেন, সেটি কোনাে ‘বানানাে গল্প নয়’, তা হল গারো পাহাড়তলির এক গারাে চাষি চেংমান- এর কাহিনি।
বর্ষণমুখর দিন : চেংমান একদিন তার ব্যাবসার মালপত্র কিনতে হালুয়াঘাট বন্দরে যায়। ফেরার সময় প্রবল বৃষ্টিতে আটকে পড়ে সে মনমােহন মহাজনের দোকানের ঝাঁপের তলায় আশ্রয় নেয়।
সাহায্য দান : বৃষ্টি কমার লক্ষণ না দেখে মনমােহন কলকাতা থেকে কেনা নতুন ছাতাটি চেংমানের মাথার ওপর মেলে ধরে সেটি নিয়ে তাকে বাড়ি যেতে বলেন। তার ব্যাবসার সব মালপত্র নাহলে বৃষ্টির জলে বরবাদ হয়ে যেত। পয়সার ব্যাপারেও চেম্যানকে চিন্তা করতে বারণ করেন মহাজন। নিরুপায় চেংমান তাই নিমরাজি হয়েই ছাতাটি নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
ঋণ শােধের প্রচেষ্টা : সেদিনের পর হাটে যখনই মনমােহন মহাজনের সঙ্গে চেংমানের দেখা হয়, সে মহাজনকে ছাতির দাম নিতে অনুরােধ করে। তবে মনমােহন প্রতিবারই তাকে তাড়াহুড়াে করতে নিষেধ করেন।
ঋণ আদায় : এইভাবে বেশ কয়েকবছর বাদে হঠাৎ একদিন হাটে চেংমানকে পাকড়াও করে মনমােহন সকলের সামনেই তাঁর পাওনা মেটাতে বলেন। লাল খেরাের খাতা বার করে মনমােহন চক্রবৃদ্ধি হারে ছাতির দামবাবদ সুদসমেত তার প্রাপ্য এক হাজার টাকা দাবি করেন, যা প্রায় একটা হাতির দামের সমান। এই অবিশ্বাস্য কাহিনির কথাই লেখক বলেছেন।
Leave a comment