ন্যায় ও সাম্য
সাম্যের নীতি চূড়ান্ত ন্যায় নয়: ন্যায়ের ধারণাই ব্যক্তিকে মানুষ হিসাবে মর্যাদামণ্ডিত করে। মানুষ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন। এই বিচারবুদ্ধি বা যুক্তিবোধ মানুষকে মর্যাদামণ্ডিত করে। মানুষের ন্যায়-নীতি বোধই মানবিক সম্পর্কসমূহকে বিচারবুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত করে। ন্যায়-ধারণার ভিত্তিতেই বলা হয় যে, সকল মানুষই সমান, কেউ কারও থেকে ছোট বা বড় নয়। মানুষের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার। ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থনীতিক অবস্থা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পার্থক্য আছে। এতদ্সত্ত্বেও ব্যক্তি তার ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। সাম্যের নীতি ন্যায়ের চূড়ান্ত নীতি নয়। ন্যায়ের ধারণা অনুসারে বলা হয় যে, বিত্তহীন মানুষ অসুবিধার মধ্যে জীবন-যাপন করে। সুতরাং এদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তামূলক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। সমাজের দুর্বল শ্রেণীর ন্যায্য অধিকারসমূহ সংরক্ষণের জন্য আইনমূলক বিশেষ ব্যবস্থাদি অবলম্বন করা আবশ্যক। সমাজে মানবিক সম্পর্কসমূহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সৌভ্রাতৃত্বের নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করা আবশ্যক। ন্যায়-ধারণা ও সৌভ্রাতৃত্বের স্বার্থে সমাজের দুর্বল অংশের অনুকুলে সহায়ক বৈষম্যমূলক ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। সাম্যকে বৈষম্যের অনুপস্থিতি হিসাবে প্রতিপন্ন করা হয়। আইনের দৃষ্টিতে সাম্য, ভোটাধিকারের ক্ষেত্রে সাম্য প্রভৃতির কথা বলা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকানার ভিত্তিতে যেখানে সমাজে একদল সুবিধাভোগী মানুষ থাকে সেখানে অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন আচরণ ন্যায়ের নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করে না।
সামাজিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় ও সাম্য: সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাম্যের নীতি সম্পর্কযুক্ত। স্বভাবতই সমাজভেদে সাম্যের ধারণায় পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটলে সাম্যের ধারণারও পরিবর্তন ঘটে। একইভাবে সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে ন্যায়-ধারণাও সম্পর্কযুক্ত। সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটলে ন্যায়-ধারণারও পরিবর্তন ঘটে। প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের আমলে দাসপ্রথা ছিল ন্যায়সঙ্গত সেই সময়কার মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে দাসপ্রথা অন্যায় একটি প্রথা হিসেবে অবলুপ্ত। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থায় অসাম্য থাকলে এবং এই অসাম্য শোষণমূলক ও অন্যায় বলে প্রতিপন্ন হলে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন আরম্ভ হয়। গ্রীক পণ্ডিত অ্যারিস্টটল ‘বণ্টনমূলক ন্যায়’ (distributive justice) এবং আনুপাতিক সাম্যের ধারণা প্রচার করেছেন। বণ্টনমূলক ন্যায়ের ধারণা অনুসারে বলা হয় যে, সমাজের প্রতি অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকে তার প্রাপ্য পাবে। এই মতবাদের মধ্যে আনুপাতির সাম্যের ধারণা বর্তমান। ন্যায়ের এই ধারণা অনুসারে যারা সমান তাদের প্রাপ্যও হবে সমান, যারা অসমান তাদের প্রাপ্যও হবে অসমান। তবে অসাম্যের অনুপাত অনুসারে প্রাপ্যের অসাম্য নির্ধারিত হবে।
বণ্টনমূলক ন্যায়ের ধারণা আধুনিককালের চিন্তাবিদরাও সমর্থন করেছেন। প্রত্যেক সমাজব্যবস্থাতেই কতকগুলি ক্ষেত্রে অসাম্যকে অন্যায় বলে মনে করা হয়। আবার অন্য কতকগুলি ক্ষেত্রে অসাম্যকে অন্যায় বলে মনে করা হয় না। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানার ভিত্তিতে যে অসাম্যের সৃষ্টি হয় তা অন্যায় বিবেচিত হয় না। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এ রকম অসাম্য অন্যায় বিবেচিত হয়। আধুনিককালে ন্যায়-ধারণার বাস্তবায়নের স্বার্থে আইনের দৃষ্টিতে সাম্য, আইনের সমান সংরক্ষণ, ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের যথাযথ বিকাশের জন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সাম্য, রাজনীতিক ও আর্থনীতিক অধিকারের ক্ষেত্রে সাম্য প্রভৃতির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তবে আধুনিককালের সমাজব্যবস্থায়ও কতকগুলি ক্ষেত্রে অসাম্যকে অন্যায় বলে মনে করা হয় না। এই সমস্ত ক্ষেত্রে অসাম্যকে সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে সমর্থন করা হয়।
ন্যায় ও স্বাধীনতা
স্বাধীনতা ন্যায় ও সাম্যের শর্তসাপেক্ষ: সমাজে স্বাধীনতার সুফল সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে পৌঁছে দেওয়া দরকার। সমাজের সকলে স্বাধীনতার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে না পারলে ন্যায়ের ধারণার সঙ্গে স্বাধীনতার নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে না। স্বাধীনতার অধিকার অবাধ বা নিরঙ্কুশ হতে পারে। না। অবাধ স্বাধীনতা একটি স্ববিরোধী ধারণা। একজন বা কয়েকজনের অবাধ স্বাধীনতা অন্য সকলের ক্ষেত্রে দাসত্বের সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার অধিকারের ভোগ সাম্যের নীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া আবশ্যক। অবাধ স্বাধীনতার মধ্যে যে স্ববিরোধিতা বর্তমান সাম্যের নীতি তাকে অপসারিত করতে পারে। অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারের নামান্তর। এ. কে. গোপালন বনাম মাদ্রাজ রাজ্য (১৯৫০) মামলায় বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের মতানুসারে স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ ও অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। কারণ তা হলে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার সৃষ্টি হবে। ব্যক্তির অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা সমাজজীবনে নৈরাজ্য ও বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। তিনি বলেছেন: “There cannot be any such thing as absolute or uncontrolled liberty wholly freed from re straint. for that would lead to anarchy and disorder.” এরকম অবস্থায় সকলের পক্ষে স্বাধীনতা ভোগ করা সম্ভব হবে না। সকলের স্বাধীনতা ভোগকে সুনিশ্চিত করতে হলে কারও স্বাধীনতা অবাধ বা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। প্রত্যেকের স্বাধীনতা সকলের স্বাধীনতা ভোগের শর্তসাপেক্ষ। রাষ্ট্রের মধ্যে স্বীকৃত স্বাধীনতা শর্তসাপেক্ষ ও নিয়ন্ত্রিত। বার্কার তাঁর Principles of Social and Political Theory শীর্ষক গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন: “The need of liberty for each is necessary qualified and conditioned by the need of liberty for all…” তিনি আরও বলেছেন: “Because the liberty of each is thus relative to that of others and has to be adjusted to that of others, it must always be regulated and indeed it would not exist unless it were regulated.” ন্যায় ও সাম্যের স্বার্থে আরোপিত হলে স্বাধীনতার উপর যে-কোন নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করা হয়। স্বাধীনতার অধিকার ন্যায় ও সাম্যের শর্তসাপেক্ষ।
স্বাধীনতা হল উচ্চতম সামাজিক মূল্যবোধসমূহের মধ্যে অন্যতম। যে-কোন ন্যায়সঙ্গত সমাজব্যবস্থার পূর্ব শর্ত হল স্বাধীনতা। সামাজিক ন্যায় ও স্বাধীনতার মধ্যে কোন বিরোধিতা থাকতে পারে না। জনসাধারণের স্বাধীনতা সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। সামাজিক ন্যায় ও নৈতিকতার বিরোধী না হলে ব্যক্তিবর্গের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা যায়। স্বাধীনতা ন্যায়-ধারণার বিরোধী হতে পারে না। ন্যায়বিরোধী স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ অত্যাবশ্যক।
ন্যায়ের শর্ত স্বাধীনতা: ন্যায়-ধারণার প্রথম শর্ত হল স্বাধীনতা। পরাধীনতা বা স্বাধীনতার অভাবকে সব সময় অন্যায় বলে মনে করা হয়। জনসাধারণের স্বাধীনতার উপর যে-কোন ধরনের আক্রমণ হল অন্যায় বা ন্যায়-ধারণার বিরোধী। স্বাধীনতার পরিপন্থী যে-কোন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন ন্যায়-ধারণার ভিত্তিতে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে। স্বাধীনতা বিরোধী যে-কোন কাজ বা সিদ্ধান্ত অন্যায় বলে সমালোচিত হয়। ন্যায়-ধারণার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ স্বৈরাচারী মালিকের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়। এবং মানবজাতির ইতিহাসে এ ধরনের স্বাধীনতা সংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত বলে সমর্থিত হয়।
ন্যায়, স্বাধীনতা ও সাম্য
ন্যায়ের চূড়ান্ত নীতি অনুসারে সমাজে মানবিক সম্পর্কসমূহ নিয়ন্ত্রিত হয় স্বাধীনতার ধারণার দ্বারা। আবার স্বাধীনতা হল সাম্য নীতির শর্তসাপেক্ষ। অনুরূপভাবে আবার সাম্য সৌভ্রাতৃত্বের নীতির শর্তাধীন। সমাজব্যবস্থায় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সাম্য ও স্বাধীনতার অস্তিত্ব অপরিহার্য। অনুরূপভাবে আবার সমাজের সকলের স্বাধীনতা ও সাম্যের স্বার্থে যাবতীয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতার অবসান আবশ্যক। সামাজিক ন্যায়ের স্বার্থেই একথা বলা হয়।
ন্যায় সংযুক্তিকরণের শক্তি: বার্কার বিস্তারিতভাবে ন্যায়, স্বাধীনতা ও সাম্যের পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছেন। তাঁর মতানুসারে ন্যায় একত্রিতকরণ বা সংযুক্তিকরণের দায়িত্ব সম্পাদন করে থাকে। ন্যায়-ধারণা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সংযোগ সাধনের সঙ্গে সঙ্গে নীতিরও সংযোগ সাধন করে। ন্যায়-নীতির মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সাম্যের দাবিসমূহের মধ্যে সংযোগ সাধিত হয়। আবার স্বাধীনতা ও সাম্যের দাবিসমূহের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের দাবিসমূহকে সন্নিবদ্ধ করে ন্যায়ের ধারণা। ন্যায়-নীতির ভিত্তিতে উপরিউক্ত নীতিসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক সুবিন্যস্ত হয়। বার্কার বলেছেন: “It (justice) joins and knits together the claims of the principle of liberty with those of the principle of equality, and both with those of the principle of fraternity or co-operation: it adjusts them to one another in a right order of their relations.”
ন্যায় ভারসাম্য বজায় রাখে: স্বাধীনতার সঙ্গে সাম্যনীতির বিরোধ বাধতে পারে। তেমনি আবার স্বাধীনতার নীতির সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের নীতির সংঘাত দেখা দিতে পারে। উল্লিখিত নীতিসমূহের পারস্পরিক ক্ষেত্রে যেমন বিরোধ বাধতে পারে, তেমনি আবার কোন একটি নীতির আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও সংঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, রাজনীতিক স্বাধীনতা এবং আর্থনীতিক স্বাধীনতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। এ রকম ক্ষেত্রে একটি চূড়ান্ত নীতির অস্তিত্ব অপরিহার্য প্রতিপন্ন হয়। এই চূড়ান্ত নীতিটি হবে উৎকর্যের বিচারে অন্য সকল নীতির ঊর্ধ্বে। এই চূড়ান্ত নীতিটির কাজ হবে অন্যান্য নীতিগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব এবং বিশেষ একটি নীতির আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বিবাদের বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা। এই চূড়ান্ত নীতিটিই হল ন্যায়। ন্যায়ের ধারণা অন্যান্য নীতিসমূহের বিভিন্ন দাবিকে সমন্বিত করে এবং নীতিগুলিকে সংযুক্ত রাখে। বার্কার বলেছেন: “That final principle is justice, which balances, and thus reconciles… the different claims.”
ন্যায় একটি বিন্যাস-ব্যবস্থা: বিভিন্ন নীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং ভারসাম্য বজায় রাখার এই বিষয়টি চূড়ান্ত প্রকৃতির কিছু মৌলিক মূল্যবোধের উপর নির্ভরশীল। এই মূল্যবোধের মানদণ্ডে বা এই মূল্যবোধকে অনুসরণ করে উপরিউক্ত সমন্বয় সাধন বা ভারসাম্য সংরক্ষণ সম্ভবপর হয়। বিভিন্ন নীতির মধ্যে একটি বিন্যাস-ব্যবস্থা বর্তমান থাকে। এই বিন্যাস নির্ধারিত হয় উপরিউক্ত চূড়ান্ত ও মৌলিক মূল্যবোধের মাধ্যমে। প্রকৃত প্রস্তাবে ন্যায় হল সমাজে মানবিক সম্পর্কসমূহের এক বিন্যাস-ব্যবস্থা। সমাজে কতকগুলি নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অধিকারসমূহ বণ্টিত হয়। এ ক্ষেত্রেও ন্যায়-ধারণা বিন্যাস-ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিপন্ন হয়। বার্কার বলেছেন: “Justice is therefore an order of persons and an order of the principles regulating the distribution of rights to persons, which is measured and determined by this final and ultimate value.”
উপসংহার: বার্কারের অভিমত অনুসারে ন্যায়-ধারণা হল সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্বের এক সমন্বয় বা সংশ্লেষ। ন্যায়-ধারণার সূত্রে সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্ব একসূত্রে গ্রথিত। এইভাবে এই সমস্ত নীতিগুলিকে নিয়ে একটি সুসংহত সামগ্রিকতার সৃষ্টি হয়। সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্বের পিছনে ন্যায়ই হল ভিত্তিমূলক মৌলিক ধারণা। ন্যায়-ধারণার ভিত্তিতে উল্লিখিত নীতিগুলির বিকাশ ও বিস্তার ঘটে। ন্যায়ই হল চূড়ান্ত লক্ষ্য। এই লক্ষ্যের সঙ্গে স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্ব সামঞ্জস্য সাধন করে। স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে বিরোধ বাধতে পারে। ন্যায়-ধারণাই এই বিরোধকে অপসারিত করে এবং ভারসাম্য বজায় রাখে।
Leave a comment