প্রশ্নঃ নৈতিক অবধারণের স্বীকার্যসত্য বলতে কি বুঝ?

অথবা, নীতিবিদ্যায় স্বীকার্যসত্য বলতে কি বুঝানাে হচ্ছে?

অথবা, নৈতিক অবধারণের স্বীকার্যসত্য কি?

ভূমিকাঃ নৈতিক আদর্শের জীবনে ভালাে-মন্দের বিচার করে নৈতিকতা যা স্বীকার্য সত্যের মধ্যে পড়ে। নৈতিক অবধারণ কতগুলাে স্বীকার্য সত্যের উপর ভিত্তি করে ঘটনার অবমূল্যায়ন করে। স্বীকার্য সত্যগুলাে মেনে না নিলে কোনাে ঘটনার ভালাে-মন্দ বিচার করা সম্ভব না।

নৈতিক অবধারণের স্বীকার্যসত্যঃ সাধারণত কোনাে কিছু চোখ বুঝে মেনে নেওয়াকে স্বীকার্য সত্য বলে, যেখানে স্বীকার্য সত্য সম্পর্কে কেউ কোনাে প্রশ্ন তুলেতে পারবে না। প্রত্যেক বিজ্ঞানে কতকগুলাে স্বীকার্য সত্য আছে। যার আলােকে বিজ্ঞান কোনাে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এ জন্যে তাদেরকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এসব মূল নিয়মের বিত্তিতে বিজ্ঞান কাজ করে এবং সিদ্ধান্তে পৌছায়। এ সব নিয়মই হলাে মূলসূত্র- যা প্রমাণ করা যায় না, স্বীকার করে নিতে হয়। আর এসব মূলসূত্রকে বলে স্বীকার্য সত্য।

নীতিবিদ্যায় স্বীকার করে নেওয়া হয় মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়ার মূল্য বিচার করতে হলে মানুষের নৈতিক বিচার বুদ্ধি আছে এটা স্বীকার করে নিতে হবে এবং সাথে সাথে ইচ্ছার স্বাধীনতাও দিতে হবে।

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র বা নীতিবিদ্যায় এমন কিছু মূলসূত্র আছে যার উপর ভিত্তি করে তারা চলছে। ঐ সব মূলসূত্রকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ ঐগুলাে স্বীকার্য সত্য। নীতিবিদ্যা নৈতিক অবধানের সাহায্যে মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়ার নৈতিক মূল্য বিচার করে তবে এক্ষেত্রে স্বীকার্য সত্য হিসেবে কাজ করে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বুদ্ধি বৃত্তি ও ইচ্ছার স্বাধীনতা।