অথবা, বিভিন্ন প্রকার নেতৃত্ব আলােচনা কর।
ভূমিকাঃ সামাজিক জীবনে নেতৃত্ব একটি পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত শব্দ। বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব সৃষ্টিকারী আচরণ পরিলক্ষিত হয়। এককথায় দুই বা ততােধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত দলে একজন নেতার ভূমিকায় থাকেন যার আচরণ ও ক্রিয়াকলাপ অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
নেতৃত্বের প্রকারভেদঃ নিম্নে কতগুলাে উল্লেখযােগ্য শ্রেণিবিভাগ আলােচনা করা হলাে-
(১) প্রশাসনিক নেতৃত্বঃ সকল সমাজে সরকার, রাজনীতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রধান কর্মকর্তাবৃন্দ এ ধরনের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
(২) আমলাতান্ত্রিক নেতৃত্বঃ প্রশাসনিক নেতৃত্বের সাথে আমলাতান্ত্রিক নেতৃত্বের অনেক মিল রয়েছে। এ ধরনের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ক্ষমতার বিন্যাস এবং ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট রূপরেখায় পরিচালিত হয়।
(৩) নীতিমালা প্রণয়নকারীঃ এ ধরনের নেতৃত্বের প্রধান কাজ হলাে সংগঠনের কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়ােজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা। বড় বড় সংগঠনের পরিচালকমন্ডলি আইন প্রণয়নকারি হিসেবে বিবেচিত হন।
(8) বিশেষজ্ঞঃ এসব নেতারা নিজেদের বিষয়ে পারদর্শী। বিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিল্পকলা বা অন্যকোনাে বিষয়ে। সৃজনশীল কৌশলের অবদানে বরেণ্য ব্যক্তিদেরও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নেতা বলা হয়।
(৫) গণতান্ত্রিক নেতৃত্বঃ গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতাই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। তবে তার ক্ষমতার প্রধান উৎস জনগণ। তাই এ ধরনের নেতৃত্ব প্রভুত্বব্যঞ্জক নেতৃত্ব থেকে আলাদা।
(৬) প্রভুত্বব্যঞ্জক নেতৃত্বঃ এ ধরনের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে নেতা পরিকল্পনা গ্রহণের কর্মপন্থী রচনার পরিকল্পনাকে কার্যে রূপদান করার, দলের লক্ষ্য, আদর্শ নীতিকে বাস্তবে রূপ দেবার ইত্যাদি অধিকার ভােগ করেন।
পরিশেষঃ উপযুক্ত আলােচনার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি যে, ওপরে আলােচিত নেতৃত্ব ছাড়াও অনেক ধরনের নেতৃত্ব রয়েছে। পরিবারে পিতা-মাতা, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অফিসে কর্মকর্তা এরা সকলেই এক এক ধরনের নেতা।
Leave a comment