মানুষের বিবর্তনের একটা স্তরে এসে মানবভাষার উৎপত্তি ঘটেছে এবং তারপর থেকে নতুন নতুন ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন ঘটেছে। প্রতিটি ভাষার সঙ্গে সেই ভাষাভাষী জাতি (Race)-র সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য যােগ রয়েছে। ফলে কোনাে জাতি বা উপজাতি যদি নিজভাষা ত্যাগ করে অন্য ভাষা গ্রহণ করে, তবে শুধু যে তার ভাষাটিরই মৃত্যু হয়, তা নয়, উপরন্তু হারিয়ে যায় সে-জাতির সভ্যতা-সংস্কৃতিও। সেইসব ভাষাকে সংরক্ষণ করে রাখলেই সংশ্লিষ্ট জাতির সভ্যতা-সংস্কৃতির ইতিহাসকে উদ্ধার করা হয়।
নৃতত্ত্ব- সমাজবিজ্ঞানের এই শাখাটি মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করে। আর, ভাষার মধ্যেই জাতির সভ্যতা-সংস্কৃতির পরিচয় বিবৃত থাকে। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষার কোনাে লিপি নেই। প্রাচীন ভাষাগুলিরও অধিকাংশেরই কোনাে লিপি নেই। লিপিহীন ভাষাগুলিও যে ভাষাবিজ্ঞানের আলােচ্য—তা ভাষাবিজ্ঞান অনুভব করেছে নৃতত্ত্বের সংস্পর্শে এসে। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে এসে ভাষাবিজ্ঞানীরা পৃথিবীর আদিম জনজাতির ভাষা- বিশ্লেষণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মুখের ভাষার তথ্যসংগ্রহ ও বিচারবিশ্লেষণ তখন। থেকে গুরুত্ব পেতে থাকে ভাষাবিজ্ঞানে। এর ফলে ভাষাবিজ্ঞানের পরিধি বিস্তার লাভ করে এবং ভাষাবিজ্ঞানীদের কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মােচিত হয়। নৃভাষাবিজ্ঞান মূলত আদিম জনজাতির ভাষার (কথ্য) বিচারবিশ্লেষণ ও তথ্যসংগ্রহ করে। নৃতত্ত্বের সঙ্গে মেলবন্ধনের ফলেই ভাষাবিজ্ঞানীরা অনুধাবন করেছেন যে, কোনাে ভাষা উন্নত বা অনুন্নত, মিষ্টি বা কর্কশ, ভালাে বা মন্দ- এই ধারণাগুলি ভুল। সব ভাষাই সমান ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলাই যায় নৃভাষাবিজ্ঞান। (Anthropological Linguistics)-এর সঙ্গে সমাজ-ভাষাবিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে? শৈলীবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
শৈলীবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ প্রকরণের নাম লেখাে এবং নির্বাচন প্রকরণ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অভিধান বিজ্ঞান কাকে বলে? অভিধান কত রকমের হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, অভিধান বিজ্ঞান কী? বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে ব্যাখ্যা করাে।
ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে।
ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও।
ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে।
সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে।
বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে।
উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে।
কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে।
অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে।
উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে।
দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও।
Leave a comment