নৃত্যনাট্য: নৃত্যের মধ্য দিয়ে নাটকের চরিত্রাবলির ভাব ভাষা অনুকৃত হয়ে বিশেষ কোনো ভাবকে রূপায়িত করা হলে তাকে নৃত্যনাট্য বলে। মানুষের আদি শিল্প নৃত্য। আদিম মানুষ আনন্দ অথবা শোক প্রকাশ করতো এ নৃত্যের মাধ্যমে। তখন নৃত্য বলতে সম্মিলিত নৃত্যই বুঝাত, একক নৃত্যের প্রবর্তন হয়েছে সভ্যতার পরিণত স্তরে, যখন পদচারণা, হস্তসঞ্চালন ও অঙ্গভঙ্গির একটি বিশেষ ভাব প্রকাশ করার জন্য ছন্দ, তাল, লয়ের নির্দিষ্ট একটি ছাঁচে নিয়ন্ত্রিত হলো তখনই জন্ম নিল নৃত্য। এ ছন্দ, তাল ও লয় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন হলো বাদ্যযন্ত্রের। তিন প্রকার বাদ্যযন্ত্র আদিম মানুষ নিহত বন্য জন্তুর দেহাংশ থেকে নির্মাণ করেছিল। চর্ম থেকে চর্মবাদ্য, অন্ত্র থেকে তারের বাদ্যযন্ত্র এবং শৃঙ্গ থেকে শিঙ্গা জাতীয় ফুৎকার বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভব হলো। নৃত্যের সঙ্গে গোড়ায় এসব যন্ত্রসংগীতের ব্যবহার ছিল। এসব প্রেক্ষাপটে নৃত্যনাট্যের অবদান অপরিসীম।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।