“উড়িছে আকাশে রাজকেতু” —এই রাজপতাকা ওড়ার কারণ কী বলে জনা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন?
পত্রটিতে ‘উড়িছে আকাশে রাজকেতু উদ্ধৃতাংশে রাজপতাকা ওড়ার কারণ হিসেবে পুত্রহস্তা পার্থের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি বলে মাহেশ্বরী রাজ্যের রানি জনা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন।
“এই তাে সাজে তােমারে”- কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
মাইকল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রে উদ্ধৃত এই তাে সাজে তোমারে অংশে এ কথা রাজার যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
“ভুলিব এ জ্বালা”- রাজমাতা জনা তার জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন কীভাবে?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রটিতে রাজমাতা জনা তার জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন পুত্রহত্যার প্রতিশােধ গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
“জন্মে মৃত্যু;-বিধাতার এ বিধি জগতে।”—কোন্ প্রেক্ষিতে জনা এই মন্তব্য করেছেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় পুত্র প্রবীরের মৃত্যু প্রসঙ্গে জনা এই মন্তব্য করেছেন।
স্বামী নীলধ্বজকে জনা পুত্রের মৃত্যুতে বিলাপ করতে নিষেধ করেছিলেন কেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় স্বামী নীলধ্বজকে জনা পুত্রের মৃত্যুতে বিলাপ করতে নিষেধ করেছিলেন কারণ বিলাপের থেকে প্রতিশােধের স্পৃহা প্রয়ােজনীয় ছিল।
জনা রাজা নীলধ্বজকে কীভাবে ক্ষত্রিয় ধর্ম রক্ষা করতে বলেছিলেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রটিতে জনা রাজা নীলধ্বজকে আপন শক্তিতে পুত্রহন্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দ্বারা ক্ষত্রিয় ধর্ম রক্ষা করতে বলেছিলেন।
“হায়, পাগলিনী জনা!”- জনাকে পাগলিনি বলেছেন কে?
জনা নিজেকেই পাগলিনি বলেছেন। কারণ তার যুক্তি নীলধ্বজের কানে পৌঁছােচ্ছে না। একদিকে পুত্র প্রবীরের মৃত্যু অন্যদিকে স্বামীর আচরণ তাকে পাগলিনিতে পরিণত করেছে।
বাংলা- একাদশ শ্রেণি
কর্তার ভূত MCQ (একাদশ শ্রেণি)
তেলেনাপােতা আবিষ্কার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
ডাকাতের মা MCQ (একাদশ শ্রেণি)
সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
গালিলিও MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বাড়ির কাছে আরশীনগর MCQ (একাদশ শ্রেণি)
দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ (একাদশ শ্রেণি)
নুন MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে MCQ (একাদশ শ্রেণি)
‘শিক্ষার সার্কাস’ MCQ (একাদশ শ্রেণি)
“দুঃখের কথা, হায়, কব কারে?”- জনার কাছে এই দুঃখের কথা কী ছিল?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রে জনার কাছে এই ‘দুঃখের কথা হল পুত্রহস্তা পার্থের সঙ্গে স্বামী নীলধ্বজের সখ্য।
জনা পার্থকে পাণ্ডুরথী বলেছেন কেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় জনা পার্থকে পাণ্ডুরথী বলেছেন কারণ পার্থ ছিলেন পাণ্ডববংশীয় একজন রথীশ্রেষ্ঠ।
নীলধ্বজ তীক্ষ্ণতম তিরে শত্রুর বক্ষ বিদীর্ণ না করে কী করেছেন বলে জনা অভিযােগ জানিয়েছেন?
তীক্ষ্ণতম তিরে শত্রুর বক্ষ বিদীর্ণ না করে নীলধ্বজ অর্জুনকে তাঁর সভায় মিষ্ট কথায় সন্তুষ্ট করছেন বলে জনা অভিযােগ করেছেন।
“কি কহিবে, কহ, / যবে দেশ-দেশান্তরে জনরব লবে / এ কাহিনী”—এখানে কোন্ কাহিনির কথা বলা হয়েছে?
এখানে পুত্ৰহন্তা পার্থের সঙ্গে স্বামী নীলধ্বজের সখ্যের কাহিনির কথা বলা হয়েছে।
“এ কি ভ্রান্তি তব?”-জনা কোন ঘটনাকে রাজা নীলধ্বজের ভ্রান্তি বলে বর্ণনা করেছেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় জনা পার্থকে নরনারায়ণ জ্ঞানে পুজো করার ঘটনাকে রাজা নীলধ্বজের ভ্রান্তি বলে বর্ণনা করেছেন।
পার্থকে রাজা নীলধ্বজের নরনারায়ণ-জ্ঞানে পুজো করাকে জনা কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় পার্থকে নীলধ্বজের নরনারায়ণ জ্ঞানে পুজো করাকে জনা বিধির লীলাখেলা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
“আছিলা মান,—তাও কি নাশিলি?” এই কথার মাধ্যমে জনা কী বলতে চেয়েছেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় এই কথার মাধ্যমে জনা সন্তান হারানাের সঙ্গে সঙ্গে মাতৃত্বের গৌরবও হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
“শাশুড়ীর যােগ্য বধূ।”- এই বধূ কে?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় এই বধূ হলেন দ্রৌপদী।
“জানি আমি কহে লােক রথীকুল-পতি/পার্থ!”—এই মতকে জনা কী মনে করেছিলেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্র-কবিতায় এই মতকে জনা মিথ্যা ধারণা বলে মনে করেছিলেন।
“ছদ্মবেশে লক্ষ রাজে ছলিল দুর্মতি …”—উল্লিখিত ব্যক্তি এই ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
উল্লিখিত ব্যক্তি অর্থাৎ তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন এই ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন স্বয়ংবর সভায় সাফল্যের জন্য।
“রাজদলে তেঁই সে জিতিল”—এই রাজারা সমবেত হয়েছিল কোন সভায়?
“রাজদলে তেঁই সে জিতিল”—এই রাজারা সমবেত হয়েছিল পাঞ্জালীর স্বয়ংবর সভায়।
“দহিল খাণ্ডব দুষ্ট কৃষ্ণের সহায়ে”—কে কেন খাণ্ডব দাহন করেন?
কৃষ্ণকে সঙ্গে নিয়ে অর্জুন খাণ্ডব বন দাহন করেছিলেন অসুখ সারানাের জন্য অগ্নিকে সাহায্য করার জন্যে।
“…রাজা নীলধ্বজ আজি/নতশির”,- নীলধ্বজের এই অবস্থার কারণ কী?
নীলধ্বজের এই অবস্থার কারণ পুত্র প্রবীরের মৃত্যু।
“ভীরুতার সাধনা কি মানে বলবাহু”—জনা ভীরুতার সাধনা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
জনা ভীরুতার সাধনা বলতে অর্জুনের মতাে কুশলী, সুযােগসন্ধানী অথচ বীরধর্মহীনের সঙ্গে সখ্যকে বুঝিয়েছেন।
“কিন্তু বৃথা এ গঞ্জনা”- এ কথার মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে?
“কিন্তু বৃথা এ গঞ্জনা”—এ কথার মধ্যে মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রকবিতায় রাজমহিষী জনার অসহায়তা প্রকাশ পেয়েছে।
“বিধির বিধানে/পরাধীনা”- জনার এই উক্তির মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্রকবিতায় জনার প্রশ্নোধৃত উক্তির মধ্যে দিয়ে নারী হিসেবে জনার অসহায়তা প্রকাশ পেয়েছে।
জনা তাঁর প্রাণ রক্ষা করতে চাননি, এর কারণ কী?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় জনা তার প্রাণ রক্ষা করতে চাননি, তার কারণ হল প্রতিশােধ গ্রহণের পরিবর্তে পুত্রহন্ডার সঙ্গে স্বামীর সখ্য।
“আশার লতা তাই রে ছিড়িলি?” —এই আশার লতা কে?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় ব্যবহৃত এই আশার লতা হল পুত্র প্রবীরের প্রতি রাজমাতা জনার পুত্রস্নেহ।
জনার নীলধ্বজের প্রতি অভিযােগের কারণ কী?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রকবিতায় জনার অভিযােগের কারণ হল পুত্রহন্তাকে তাঁর স্বামী নর- নারায়ণ জ্ঞানে আরাধনা করছেন।
প্রবীরের সঙ্গে পার্থের যুদ্ধকে জনা অন্যায় সমর কেন বলেছেন?
বালক প্রবীর পাণ্ডবদের অশ্বমেধের ঘােড়া ধরার জন্য একজন বিজ্ঞ, প্রাপ্তবয়স্ক ধনুর্ধর অর্জুন তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, তাই একে অন্যায় সমর বলেছেন জনা।
জনা তার শােকাগ্নি কীসের দ্বারা নেভাতে চেয়েছেন?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্ৰকবিতায় পুত্রহারা জনা তাঁর শােকাগ্নি ফাল্গুনীর লােহে বা অর্জুনের রক্তে নেভাতে চেয়েছেন।
জগতে বিধাতার কোন্ বিধি প্রচলিত?
নীলধ্বজের কর্মকাণ্ড দেখে প্রবীরের মৃত্যু প্রসঙ্গে জনা মন্তব্য করেছেন—জন্মালে তাঁর মৃত্যু হবেই, বিধাতার এই বিধি জগতে প্রচলিত।
জনা পাগলিনি হয়েছেন কেন?
জনা পাগলিনি হয়েছেন কারণ তিনি দেখছেন তার স্বামী পুত্রশােক ভুলে সভায় নর্তকীর নাচ-গানে পার্থের মনােরঞ্জন করছেন।
নীলধ্বজ কার করস্পর্শ করেছেন?
পিতা হয়ে নীলধ্বজ প্রবীরের রক্তে রঞ্জিত পার্থের করস্পর্শ করেছেন।
কেন কার জ্ঞান হরণ করেছেন বলে জনার মনে হয়েছে?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্ৰকবিতায় নীলধ্বজের আচরণ দেখে জনার ধারণা পার্থ নীলধ্বজের জ্ঞান হরণ করেছেন।
অর্জুন কার পুত্র?
মহাভারতের কাহিনি অনুযায়ী অর্জুন ভােজবালা কুন্তীর পুত্র, ইন্দ্রের ঔরসে তার জন্ম।
বিধাতার কোন লীলাখেলার কথা জনা এখানে বলেছেন?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্ৰকবিতায় একমাত্র পুত্রকে অর্জুনের অকালে কেড়ে নেওয়া এবং তার মান-সম্মান স্নান করাকে জনা এখানে বিধাতার লীলাখেলা বলেছেন।
কে পাণ্ডব-কীর্তন গান গায়?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা পত্রকবিতায় জনা পুত্রঘাতীঅর্জুনের চরিত্রের বিভিন্ন দোষ ব্যক্ত করে সেই চরিত্রের স্রষ্টা দ্বৈপায়ন ঋষি বা বেদব্যাস সম্পর্কে বলেছেন। যে, তিনি পাণ্ডব-কীর্তন গান করে থাকেন সবসময়।
কীসের ছদ্মবেশে পার্থ স্বয়ংবরে ছলনা করেছিলেন?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্ৰকবিতায় ব্রাম্ভনপুত্রের ছদ্মবেশে পার্থ দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায় ছলনা করেছিলেন।
“মিথ্যা কথা, নাথ!”—কোন কথাকে মিথ্যা বলা হয়েছে?
সকলে অর্জুনকে যে ‘রথিকুল-পতি’ অর্থাৎ বীরশ্রেষ্ঠ বলে জানে, তাকেই জনা মিথ্যা কথা বলেছেন।
অর্জুনের অস্ত্রগুরু কে ছিলেন?
মহাভারতের কাহিনি অনুযায়ী অর্জুনের অস্ত্রগুরু ছিলেন দ্রোণাচার্য।
বসুন্ধরা কার রথের চাকা গ্রাস করেছিল?
মহাভারতের কাহিনি অনুযায়ী কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে বসুন্ধরা কর্ণের রথের চাকা গ্রাস করেছিল।
“যাও চলি, মহাবল,”—কাকে কোথায় কীভাবে জনা চলে যেতে বলেছেন?
জনা রাজা নীলধ্বজকে তার নতুন বন্ধু পার্থকে নিয়ে কৌরবপুরীতে চলে যেতে বলেছেন।
মহাযাত্রা করে জনা কোথায় চলেছে?
মধুসূদন দত্ত রচিত নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্ৰকবিতায় পুত্রঘাতী অর্জুনের সঙ্গে নীলধ্বজের বন্ধুসুলভ ব্যবহার দেখে জনা আক্ষেপ করে বলেছেন যে, তিনি মহাযাত্রা করে জাহ্নবীর জলে প্রাণ বিসর্জন দিতে চলেছেন।
প্রবীর কোথাকার যুবরাজ ছিলেন?
প্রবীর ছিলেন মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ।
জনা রাজা নীলধ্বজকে পত্র লিখেছিলেন কেন?
সম্মুখসমরে অবতীর্ণ না হয়ে রাজা নীলধ্বজ পুত্রহন্তা পার্থের সঙ্গে সন্ধি করায় ক্ষোভে জনা পত্র লিখেছিলেন।
মাহেশ্বরী পুরীতে কখন হ্রেষাধ্বনি শােনা গিয়েছিল?
যখন রাজতােরণে রণবাদ্য বেজে উঠেছিল তখন হ্রেষাধ্বনি শােনা গিয়েছিল।
নীলধ্বজ যুদ্ধসাজ করছেন কেন বলে জনা কল্পনা করেছেন?
পুত্রহত্যার প্রতিশােধ গ্রহণের জন্য নীলধ্বজ যুদ্ধসাজ করেছেন বলে জনা কল্পনা করেছেন।
“এই তাে সাজে তোমার”- কিসের কথা বলা হয়েছে?
প্রশ্নোধৃত উক্তিতে নীলধ্বজের যুদ্ধসাজের কথা বলা হয়েছে।
জনা নীলধ্বজকে কীভাবে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেছেন?
যেভাবে গজরাজ তার যমদণ্ডের মতা শুঁড় আস্ফালন ও ভীষণ আওয়াজ করে, সেই বিক্রম নিয়ে জনা নীলধ্বজকে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেছেন।
নীলধ্বজকে জনা কী করার জন্য আবেদন করেছেন?
নীলধ্বজকে জনা ক্ষত্রিয়ধর্ম এবং ক্ষত্রিয়কর্ম পালন করার জন্য আবেদন করেছেন।
“তব সিংহাসনে বসিছে পুত্ৰহা রিপু”—এই ‘রিপু’ বা শত্রু কে?
প্রশ্নোধৃত উক্তিতে এই ‘রিপু’ বা শত্রু হলেন তৃতীয় পাণ্ডব পার্থ।
“সেবিছ যতনে তুমি অতিথিরতনে”—এই অতিথি রত্নটি কে?
অতিথি-রত্নটি হলেন তৃতীয় পাণ্ডব পার্থ।
“হরিলা কি তিনি/জ্ঞান তব?”—কে, কার জ্ঞান হরণ করেছেন?
প্রশ্নোধৃত উক্তিতে নিয়তির দ্বারা রাজা নীলধ্বজের জ্ঞান হরণের কথা বলা হয়েছে।
“ক্ষত্রিয়ধর্ম্ম এই কি, নৃমণি?”- কাকে ক্ষত্রিয়ধর্ম বলা হয়নি?
প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিতে পুত্রহন্তার সঙ্গে বন্ধুত্বকে ক্ষত্রিয়ধর্ম বলা হয়নি।
জনা কাকে স্বৈরিণী বলে উল্লেখ করেছেন?
জনা কুন্তীকে স্বৈরিণী বলে উল্লেখ করেছেন।
ব্যাস কার পুত্র ছিলেন?
ব্যাস সত্যবতীর পুত্র ছিলেন।
পার্থ ছদ্মবেশে রাজাদের কোথায় ছলনা করেছিলেন?
পার্থ দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় রাজাদের ছলনা করেছিলেন।
কৃষ্ণের সাহায্যে অর্জুন কী দগ্ধ করেছিলেন?
কৃষ্ণের সাহায্যে অর্জুন খাণ্ডব বন দগ্ধ করেছিলেন।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কাকে বধ করতে অর্জুন শিখণ্ডীকে ব্যবহার করেন?
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পিতামহ ভীষ্মকে বধ করতে অর্জুন শিখণ্ডীকে ব্যবহার করেন।
“চণ্ডালের পদধূলি ব্রাহ্মণের ভালে?”—কাকে ‘চণ্ডাল’ বলা হয়েছে?
উক্তিটিতে চণ্ডাল বলতে পার্থকে বােঝানাে হয়েছে।
জনা কাকে গুরুজন বলেছেন?
স্বামী নীলধ্বজকে জনা গুরুজন বলেছেন।
জনা নিজেকে ‘বিধির বিধানে পরাধীনা’ বলেছেন কেন?
কুলনারী হিসেবে আপন চিন্তা-ভাবনাকে কাজে পরিণত করতে অপারগ জনা নিজেকে ‘বিধির বিধানে পরাধীনা’ বলেছেন।
স্বামী নীলধ্বজ কী কারণে তার প্রতি বিরূপ বলে জনা মনে করেছেন?
ভাগ্যদোষে নীলধ্বজের এই বিরূপতা বলে জনা মনে করেছেন।
কেন জনা অপমান সহ্য করতে অপারগ হয়েছিলেন?
ক্ষত্রিয় বংশের স্ত্রী এবং কন্যা হওয়ায় জনা অপমান সহ্য করতে অপারগ হয়েছিলেন।
“নরেশ্বর, ‘কোথা জনা’ বলি ডাক যদি”- এই নরেশ্বর কে?
প্রশ্নোষ্ধৃত উক্তিতে রাজা নীলধ্বজকে ‘নরেশ্বর’ বলা হয়েছে।
‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ বীরাঙ্গনা কাব্যের কত সংখ্যক পত্র?
‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ বীরঙ্গনা কাব্যের একাদশ সংখ্যক পত্র।
অর্জুনের ছিন্নমুণ্ড রানি কীভাবে আনার কথা বলেছিলেন?
অর্জুনের ছিন্নমুণ্ড রানি জনা রাজা নীলধ্বজকে শূলদণ্ডের আগায় বিদ্ধ করে নিয়ে আসতে বলেছিলেন।
“ছাড়িব এ পােড়া প্রাণ জাহ্নবীর জলে।”- বক্তা কেন এ কথা বলেছেন?
পুত্রহন্তা অর্জুনের সঙ্গে স্বামী রাজা নীলধ্বজ সখ্য করায় রাজবংশের এবং ক্ষাত্রধর্মের যে অপমান হয়েছে তা সহ্য করতে না পেরেই জনা এ কথা বলেছেন।
“পৌরব সরসে নলিনী”—কাকে কেন বলা হয়েছে?
দ্রৌপদী পঞ্চপাণ্ডবের স্বামী হওয়ার জন্যই তাকে ‘পৌরব সরসে নলিনী বলা হয়েছে।
“নিঃসন্তানা করিলা আমারে”—কে কাকে নিঃসন্তানা করেছিল?
তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন (‘দুরন্ত ফাল্গুনী’) প্রবীরকে হত্যা করে মাহেশ্বরী পুরীর রানি জনাকে নিঃসন্তানা করেছিল।
“মহারথী-প্রথা কি হে এই, মহারথি?”—কার কোন্ কাজ মহারথী প্রথার বিরােধী?
ব্রহ্ণশাপে কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে গেলে তার সুযােগ নিয়ে যেভাবে অর্জুন কর্ণকে বধ করেছে তাই জনার মতে মহারথী-প্রথা বিরােধী।
“চণ্ডালের পদধূলি ব্রাত্মণের ভালে”—এই উপমা ব্যবহারের কারণ কী?
অর্জুনের মতাে নীচ সুযােগসন্ধানী চরিত্রকে যেভাবে রাজা নীলধ্বজ সখা হিসেবে গ্রহণ করেছেন সে প্রসঙ্গেই এই উপমার ব্যবহার হয়েছে।
“কুরঙ্গীর অশ্রুবারি নিবায় কি কভু”—কথাটি কেন বলা হয়েছে?
পুত্রহারা বীর নীলধ্বজ কীভাবে পুত্রহন্তা অর্জুনের সঙ্গে প্রতিশােধগ্রহণের বদলে সখ্য স্থাপন করলেন তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেই কথাটি বলা হয়েছে।
“এ পাষণ্ড পাণ্ডরথী পার্থ তব পুরে”—পার্থকে ‘পাষণ্ড পাণ্ডুরথী’ বলা হয়েছে কেন?
অসম লড়াই-এ যেভাবে অর্জুন বালক প্রবীরকে হত্যা করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই জনা পার্থকে ‘পাষণ্ড পাণ্ডুরথী’ বলেছেন।
“ক্ষত্রকুলবালা আমি; ক্ষত্র কুলবধূ”—এই মন্তব্যের কারণ কী?
নীলধ্বজের পুত্রহন্তারক অর্জুনের সঙ্গে সখ্য স্থাপনে ক্ষত্রিয় বংশের যে অপমান হয়েছে তা জনার কাছে। অসহনীয় মনে হওয়ার সে মন্তব্যটি করেছে।
“..পূজিছ পার্থে, রাজা ভক্তিভাবে; এ কি/ভ্রান্তি তব?”- জনা কেন ভ্রান্তি শব্দটি প্রয়ােগ করেছেন?
পুত্র প্রবীরের হত্যাকারী অর্জুনের সঙ্গে রাজা নীলধ্বজ প্রতিশােধগ্রহণের বদলে সখ্য করবেন এটা এতটাই অপ্রত্যাশিত যে, ঘটনাকে রাজার ভ্রান্তি বলা হয়েছে।
“চলিল অভাগী জনা পুত্রের উদ্দেশে।”—এই যাত্রা কীভাবে সম্ভব হচ্ছিল?
জাহ্নবীর জলে আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে জনা পুত্রের উদ্দেশে যাত্রা করতে চেয়েছিল।
“হরি পুত্রধন”- কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
অর্জুনের দ্বারা প্রবীরবধ আসলে নিয়তিরই পরিহাস—এ কথা বলতে গিয়েই মন্তব্যটি করা হয়েছে।
“কে না জানে তারে,/স্বৈরিনী?”—কাকে কেন স্বৈরিনী বলা হয়েছে?
দুর্বাসার বরকে কাজে লাগিয়ে কুন্তী যেভাবে একাধিক দেবতার সঙ্গলাভ করেছিল সেই কারণে তাকে স্বৈরিনী বলা হয়েছে।
“অন্যায় সমরে মূঢ় নাশিল বালিকা”- বালকের পরিচয় দাও।
বালকটি হল মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ প্রবীর, অর্জুনের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘােড়া ধরার জন্য যাকে নিহত হতে হয়।
“কেমনে এ অপমান সব ধৈর্য্য ধরি”- কোন্ অপমান?
পুত্রের হত্যাকারী অর্জুনের সঙ্গে রাজা নীলধ্বজের সখ্যের ফলে যে অপমান ঘটেছে তার কথাই বলা হয়েছে।
“নাহি শক্তি মিটাই স্ববলে/এ পােড়া মনের বাঞ্ছা।”- কেন বক্তা এ কথা বলেছেন?
নারী হওয়ায় ‘বিধির বিধানে পরাধীন জনার পক্ষে অর্জুনকে হত্যার উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয় বলেই জনা মন্তব্যটি করেছেন।
“ফিরি যবে রাজপুরে প্রবেশিবে আসি..”—তখন কী ঘটবে?
নীলধ্বজ রাজপুরে ফিরে ‘জনা’র নাম ধরে ডাকলে শূন্য পুরীতে শুধু প্রতিধ্বনিই হবে, উত্তর আসবে না।
Leave a comment