প্রশ্নঃ নিকারাগুয়া বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৯৮৬) মামলার আলোকে আদালতের গুরুত্ব ও এখতিয়ার আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ জাতিসংঘের অন্যতম একটি অঙ্গ হলো আন্তর্জাতিক আদালত। এটি জাতিসংঘের প্রধান বিচারবিভাগীয় অঙ্গ। কিছু রাষ্ট্র ব্যতীত পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আইনগত বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে এই সংস্থা তার বিচার করে।
নিকারাগুয়া বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৯৮৬) মামলার আলোকে আদালতের গুরুত্ব ও এখতিয়ারঃ ১৯৭৯ সালে নিকারাগুয়াতে ডানপন্থি সরকারকে উৎখাত করে বামপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসে। পরবর্তীতে এই বামপন্থী সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করা হয়। এ সময় এই সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চলছিল। এ সময় কোন জাহাজ নিকারাগুয়াতে যেন সাহায্যের জন্য প্রবেশ করতে না পারে এজন্য আমেরিকা সরকার সমুদ্র উপকূলে মাইন পুঁতে রাখে। নিকারাগুয়া সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে আমেরিকার এই কাজ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণ দাবি করে।
আন্তর্জাতিক আদালত এই মামলায় রায় প্রদান করে যে, আমেরিকা গেরিলা বিদ্রোহীদেরকে সাহায্য করেছে এবং নিরকারাগুয়ার রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে মাইন বসিয়েছে, কাজেই আমেরিকা দায়ী হবে এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
কিন্তু আমেরিকা আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা আন্তর্জাতিক আদালতের বাধ্যতামূলক এখতিয়ার আর মেনে চলবে না বলে ঘোষণা দেয় ৷
উপসংহারঃ আন্তর্জাতিক আদালত জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এই আদালতের উপদেশ কারো জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও এর বিচারের রায় বাধ্যকর। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Leave a comment