নারীশিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।

বাবা : সুরভী, মা তােমার তাে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ। এবার তুমি কী করবে? 

মেয়ে: বাবা, আমার বান্ধবীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ে অংশ নিচ্ছে। আমিও ভর্তি হতে চাই। 

বাবা : এটাতাে খুব ভালাে কথা। আমি চাই আমার মেয়ে অনেক দূর পর্যন্ত লেখাপড়া করবে । বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য শিক্ষাই এখন বড়াে হাতিয়ার। আজকাল ছেলেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেয়েরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তুমি কি এ বিষয়টা উপলব্ধি করতে পার? 

মেয়ে : হ্যা বাবা, আমাদের কলেজের ইংরেজির শিক্ষকও এ বিষয়ে আমাদের সচেতন করতেন । আমিও স্বপ্ন দেখি বড়াে কিছু হওয়ার। আমি নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তুলতে চাই। 

বাবা : একটা কথা সবসময় মনে রেখাে, তুমি যতদূর পর্যন্ত লেখাপড়া করতে চাও করবে। আমি ও তােমার মা সবসময় তােমার পাশে থাকব। আমি চাই তুমি আইন বিষয়ে পড়। আমার স্বপ্ন তুমি আইনজীবী হবে । রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ে সাহসিকতার প্রমাণ রাখবে । সারা দেশে তােমার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। এটা কেবল নাম, যশ, প্রতিপত্তির জন্যই নয়, বরং সমাজে তােমার পরিচিতি গড়ে তােলার জন্যও জরুরি। 

মেয়ে : আমিও এমন কিছু করতে চাই, যেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারি । শিক্ষা না থাকলে সভা প্রতিপন্ন করে। আমি পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।

বাবা : অবশ্যই মা। বর্তমানে নারীশিক্ষার ব্যাপারে আমাদের দেশে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে দেশের প্রধান প্রধান পদ অলংকার করে আছেন নারীরা, সে দেশে নারীরা পিছিয়ে থাকবে এটা ভাবাই যায় না। তুমি তােমার স্বপ্ন পরণের পথে অগ্রসর হও। এর জন্য সকল সহায়তা ও পরামর্শ আমরা তোমাকে দেবো।

মেয়ে: ধন্যবাদ বাবা তােমরা আমার সাথে থাকলে আমি সবকিছু জয় করতে পারব। আমি উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নারীকেও শিক্ষিত হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করব।