নারিকেল গাছ বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় বেশি দেখা যায়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে
প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ জন্মে এই জন্য একে বলা হয় নারকেল জিঞ্জিরা। আর হয়তো
এ কারণেই  নারিকেল গাছ – রচনা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় লিখতে
হয়। তাই আমি  নারিকেল গাছ – রচনা লিখেছি তোমরা যারা
পরীক্ষায়  নারিকেল গাছ – রচনা লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য। 

প্রিয় শিক্ষার্থী, আমি তোমাদের জন্য  নারিকেল গাছ – রচনা সম্পর্কে
যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই রচনার মধ্যে তোমরা
যাবতীয় বিষয় খুঁজে পাবে তাই তোমরা নিশ্চিন্তে পরীক্ষায়  নারিকেল গাছ
– রচনা লিখতে পারো। নিচে  নারিকেল গাছ – রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা
হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃ  নারিকেল গাছ – রচনা

ভূমিকা

নারিকেল গাছ আমাদের একটি প্রধান সম্পদ আর নারকেল হলো বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকারী
ফসল। নারকেল গাছ যা বাংলায় “নারকেল গাছ” নামে পরিচিত কোন কোন স্থানে একে আবার
ডাব গাছে বলা হয়ে থাকে। যা বহু শতাব্দী ধরে আমাদের জীবনের একটি অংশ হিসেবে
রয়েছে। নারিকেল গাছ হল এমন একটি বৃক্ষ যা আমাদের শুধু উপকারই করে। ইহা তাল
জাতীয় বৃক্ষ। নারকেল গাছ বেশি জন্মায় সুমদ্র তীরবর্তী এলাকায় এবং নারকেল
বৃক্ষের সারির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব।

নারকেল গাছের সবুজ পাতা থেকে শুরু করে এর পুষ্টির গুন সমৃদ্ধ ফল পর্যন্ত আমাদের
অসংখ্য উপকার করে থাকে এবং আমাদের সংস্কৃতি এবং দৈনন্দিন জীবনে নারকেল গাছ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই গাছের পাতা, ফুল, ফল, কাণ্ড, শিকড় সবকিছু
ছোট বড় শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ডাবের
পানি রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার কারণে নারকেল গাছ “স্বর্গীয় গাছ”
হিসেবেও সবার কাছে সুপরিচিত এবং সমাদৃত।

নারকেল বা নারকেল গাছের ব্যুৎপত্তি

নারকেল বা নারকেল গাছ শব্দটি পূর্তগীর শব্দ কোকো থেকে উদ্ভূত যার অর্থ হল মাথা বা
খুলি। কোকো বা নারকেল সেল যা ষড়স শতাব্দীর পূর্তগীর শব্দ থেকে এসেছে। এটি মূলত আর
১২৮০ সালে মার্কা পোলো সুমাত্রায় থাকাকালীন এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং জানা
যায় তিনি আরবদের কাছ থেকে এই শব্দটি গ্রহণ করেছিলেন। এবং এটি ভারতীয় বাদাম
অনুবাদ করে পরে আবার জাওজ হিন্দি বলেও অভিহিত করেছিলেন।

এবং এর মালায়ালাম নাম হল থাঙ্গা। পরবর্তীকালে ১৫০১ সালে প্রকাশিত লুডো ভিচো ডি
ভার্থেমা দ্বারা সম্পাদনায় এটি নারকেল গাছ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং
পরবর্তীকালে এর নাম “Hortus Indicus Malabaricu” হিসেবে অভিহিত করা হয়।

নারকেল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম

নারিকেল, নারকেল, নারকোল বা ডাব যে নামই বলা হোক না কেন এটি আসলে নারিকেল
গাছ নামেই পরিচিত। আবার বলা হয়ে থাকেন নারকেল গাছের পরিবারের আরেকেসি সদস্য ও
“কোকাস” গণের একমাত্র জীবিত প্রজাতি হলো নারকেল গাছ। আর এর বৈজ্ঞানিক নাম হল
“Cocos nucifera”। নারকেল হলো একটি শাঁসলো ফল এবং এর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি
সুস্বাদু পানি যা পুষ্টি গুণে ভরপুর।

নারিকেল গাছের ইতিহাস

ভারতের রামায়ণ এবং শ্রীলংকার ইতিহাস থেকে এটা পাওয়া এবং সাহিত্যের প্রমাণ
ইঙ্গিত দেয় যে নারকেল গাছ খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর আগে ভারতীয় উপমহাদেশে
উপস্থিত ছিল। প্রথম দিকের প্রত্যক্ষ বিবরণটি কপাস ইন্ডিকোপলসেটস তার
টোপোগ্রাফিয়া ক্রিস্টিয়ানোতে লিখেছেন প্রায় ৫৫৫ সালের দিকে নারকেল ভারতের মহান
বাদাম হিসেবে অভিহিত ছিল। 

আরো পড়ুনঃ  রচনা – কৃষি উদ্যোক্তা – সম্পর্কে জেনে নিন

পরবর্তীকালে নারিকেল আরেকটি প্রাথমিক উল্লেখ আরব্য রজনীর বিখ্যাত সিন্দাবাদ
যেখানে তিনি তার পঞ্চম যাত্রার সময় একটি নারকেল কিনেন এবং এটি বিক্রিও
করেছিলেন।প্রশান্ত মহাসাগরের প্রথম ইউরোপীয় পারাপারের পরে অর্থাৎ ম্যাগেলান
পরিশ্রবণের সময় তার বৈঠকে সাক্ষাতের পরে তার জার্নালে নারকেল গাছ লিপিবদ্ধ ছিল
এবং তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন গুয়ামে তারা নারকেল খান ম্যাঙ্গোয়ানো কোচি এবং
সেখানকার স্থানীয়রা দেহ এবং চুলকে নারকেল এবং এর তেল দিয়ে অভিষেক করেছিলেন।

নারকেল গাছের জন্মস্থান

নারকেল গাছের আদি জন্ম স্থান হলো প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ। আমাদের
দেশ তথা বাংলাদেশের যশোর, ফরিদপুর, খুলনা, নোয়াখালী, বরিশাল প্রভৃতির জেলায়
নারকেল গাছ বেশি দেখা যায়। আর এর মূল কারণ হলো নারকেল গাছ লোনা পানির মাটিতে
ভালো জন্মায়। বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ও প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ
জন্মে আর এর কারণে একে বলা হয় নারকেল জিঞ্জিরা ।ভারতবর্ষের সমুদ্র উপকূল গুলিতে
প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ জন্মায়। 

২৪ পরগনা, মাদ্রাজ, কেরালা এবং উড়িষ্যাতেও প্রচুর পরিমাণে নারকেল হয়। এছাড়া ও
পাকিস্তানের সিংহল এবং প্রশান্ত মহাসাগরের কয়েকটি দ্বীপ, আমেরিকায় এবং
সুমাত্রা  দ্বীপে ও প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ জন্মায়। এছাড়াও মিয়ানমার,
থাইল্যান্ড, চীন, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া গিনি, ওশেনিয়া,
আফ্রিকা, মধ্য দক্ষিণ আমেরিকা সহ পৃথিবীর প্রায় ৯৩ টি দেশে নারকেল উৎপাদন অনেক
বেশি হয়।

নারকেল গাছের বৈশিষ্ট্য

নারকেল গাছের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-

  • নারকেল হলো এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়।
  • নারকেল গাছ তালগাছ জাতীয় ডালপালা হীন উদ্ভিদ।
  • ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
  • নারকেল গাছের পাতা তিন থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকে।
  • নারকেল বৃহত্তম ফলের বীজ হিসাবে বিবেচিত হয়।
  • নারকেল গাছের পুরানো পাতাগুলো পরিষ্কারভাবে ছিড়ে পড়ে যায়।
  • নারকেল গাছের কান্ডটি মসৃণ।
  • নারকেল সাধারণত ঝোপায় ঝোপায় ধরে।
  • একটি গাছ থেকে বছরে ১০০ টিরও বেশি ফল পাওয়া যায়।
  • সুস্থ সবল একটি গাছে পাতার সংখ্যা থেকে থাকে ৩০ থেকে ৪০ টি।
  • পাতার গোড়ালি থেকে কাঁদি কাঁদি ফুল বের হয়।
  • গাছের বলে অনেক ছোট ছোট শিকড় থাকে।

নারকেল গাছের ব্যবহার

নারকেল গাছের ব্যবহার বহুবিধ। যেমন – নারকেল গাছের পাতা মাদুর, গৃহের আচ্ছাদন,
ঝাঁটা তৈরি, ঝুড়ি এবং পর্দা তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর মূল
গাছটি কাট ও জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। নারকেল গাছ ঘর তৈরির কাজে ও
ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

নারকেল গাছের পরিচর্যা

নারকেল গাছের গোড়ার চারপাশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নারকেল গাছ
রোপনের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ দিয়ে তারপর রোপণ করতে হবে এবং গাছ রোপনের
প্রথম পর্যায়ে প্রথম দুই বছর গাছের গোড়া থেকে ৬0 থেকে ৭0 মিটার দূর পর্যন্ত
গোলাকার করে চারপাশে কচুরিপানা শুকিয়ে ছোট ছোট করে একটু পুরো করে মালচিং দেয়ার
ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে গাছের গোড়ায় প্রচুর পানি জমা থাকবে এবং গাছের গোড়া
ঠান্ডা থাকবে।

পরবর্তীতে এগুলো পচে জৈব সারের কাজ করবে। তবে মালচিং দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল
রাখতে হবে এগুলো যেন একেবারে গাছের পাশে না আসে অর্থাৎ গাছের গোড়ার অংশ থেকে
কমপক্ষে ৮ থেকে ১0 সেন্টিমিটার দূরে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনি চিনা বাদামের খোসা,
ধানের তুষ, আখের ছোবড়া, কাঠের গুড়া, নারিকেলের ছোবড়া, গাছের শুকনো পাতা
মালচিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  সুন্দরবন – রচনা – সম্পর্কে জেনে নিন

তবে মালচিং অবস্থায় অনেক সময় উইপোকা মালচিং ব্যবস্থাকে অবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার
করতে পারে তাই উইপোকাকে ধ্বংস করার জন্য কীটনাশক দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরপর
স্প্রে করতে হবে। গাছ রোপনের সময় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায়
যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানির ব্যবস্থা থাকে। গাছের সেচ কাজের জন্য আপনি নালা কেটে
দিতে পারেন অথবা ১0 থেকে ১৫ দিন পর পর সেচ দিতে পারেন।

পোকামাকড়

নারকেল গাছ লাগানোর পরে কিছু পোকামাকড় গাছে উপদ্রব করে। আর যে পোকাগুলো নারকেল
গাছে উপদ্রব করে সেগুলো হল – গঞ্জর পোকা, রেড পাম, উইভিল, পাতা কাটা পোকা, কালো
মাথা শুয়োপোকা, লাল মাকড়, উইপোকা ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু কিছু এলাকায় ইদুর এবং
কাঠবিড়ালি রয়েছে যেগুলো নারকেল গাছের কচি ফুল ফল ও পাতা নষ্ট করে দেয়। 

গঞ্জর পোকা ও উইভিল দমনে অর্গানো, ফসফরাস জাতীয় যেকোন কীটনাশক প্রতি লিটার
পানিতে ৪/৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করলে পোকামাকড় দমন করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি
প্রতি লিটার পানিতে ১ থেকে দেড় গ্রাম ওমাইট ভার্টিমেক্স নামক মাকড়শা নাশক
ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।

রোগ বালাই

নারকেল গাছে কিছু রোগ বালাই দেখা যায় যেমন – কুড়ি পচা, ফল পচা, ফল ঝরা, পাতায়
দাগ পড়া, ছোট পাতা, কাণ্ডে রস ঝরা ও শিকড় পচা, ফুল কুড়ি পচা, ফল পচা ও ফল
ছাড়া রোগ দমনে প্রতি লিটার পানিতে মেনকোজের জাতীয় ছত্রাক নাশক দুই সপ্তাহের
ব্যবধানে ২-৩ বার স্প্রে করলে এসব রোগ দমন করা সম্ভব।

নারকেল গাছ লাগানোর পদ্ধতি

নারকেল গাছের চারা রোপনের পূর্বে আপনাকে সঠিকভাবে নারকেল নির্বাচন করতে হবে এবং
বীজ তলায় সেগুলো চারা দিতে হবে। এরপরে নির্বাচিত চারাগুলো বীজ তলা থেকে খন্তা বা
শাবল দিয়ে সাবধানে যত্ন সহকারে উঠিয়ে নিতে হবে। নারকেল গাছের চারা কখনোই গাছ
ধরে টেনে উঠানো ঠিক নয়। তবে গাছের চারা উঠানোর পরে আপনাকে অবশ্যই ২০ থেকে
২৫সেন্টিমিটার নিচে বসাতে হবে এবং নারিকেলের সম্পূর্ণ অংশটা মাটির মধ্যে রেখে
গাছটুকু বাইরে রাখতে হবে।

এছাড়া ও গাছ রোপনের পূর্বে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে বর্ষাকালে যেন গাছের গোড়ায়
এসে পানি না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া গাছের চারপাশে ১০ থেকে ১৫
সেন্টিমিটার উঁচু করে বাঁধ তৈরি করে দিতে হবে তাহলে বাঁধ টি নারকেল গাছ কে রক্ষা
করতে পারবে।

নারকেল গাছের উপকারিতা

নারকেল গাছের উপকারিতা পরিসীম। নারকেল গাছ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া
ও নারকেল এমন একটি ফল যার কোন অংশই ফেলে দেওয়া হয় না তাই একে বলা হয়
“কল্পবৃক্ষ”। নারকেল ছোট অবস্থায় ডাব বলা হয় আর এই ডাবের পানি আমাদের যেমন
তৃষ্ণা নিবারণ করে তেমনি রোগীর পক্ষেও ইহা খুব উপকারী। এছাড়াও পেটের বিভিন্ন
সমস্যা, সর্দি, কাশি ইত্যাদি রোগে ডাবের পানি ব্যবহৃত হয়। ডাব বা নারিকেলের শাঁস
অত্যন্ত সুমিষ্ট এবং পুষ্টিকরও বটে।

আরো পড়ুনঃ
রচনা – বিশ্ব পরিবেশ দিবস -বিস্তারিত জানুন (৬-১২)

নারিকেল থেকে নানারকম মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। নারিকেল থেকে সবচেয়ে
প্রয়োজনীয় উৎকৃষ্ট মানের নারকেল তেল তৈরি হয়। পূর্ব ভারতের লোকেরা নারকেল তেল
ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে এবং নারকেল তেল মাথায় ব্যবহার করা হয়।
নারকেলের ছোবড়া থেকে দড়ি, জাহাজের গদি, পাপোশ, কার্পেট প্রভৃতি তৈরি করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন রকম সৌখিন জিনিসও তৈরি করা হয়।

নারকেলের পাতা দিয়ে অনেকেই ঘরের ছাউনি তৈরি করে এবং নারকেলের কাঠি ঝাড়ু হিসাবে
ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নারকেল গাছ ঘর তৈরির কাজে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়
এবং অনেকেই ইহা জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে।

উপসংহার

পরিশেষে আমরা এ কথা বলতে পারি যে, নারকেল গাছ সত্যিই প্রকৃতির একটি অসীম উপহার।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ আর এই নদীর পাশে নারকেল গাছ বেশি জন্মে, বাংলাদেশের সেন্ট
মার্টিনে প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ জন্মে যার কারণে একে বলা হয় নারকেল
জিঞ্জিরা। নারকেলের গভীর শিকড় মাটির ক্ষয় রোধ করে, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা
করে, উপকূল অঞ্চলকে শক্তিশালী ঝড় বাতাস থেকে রক্ষা করে। তাই উপকূল অঞ্চলীয়
লোকের বেশি বেশি করে নারকেল গাছ রোপন করা উচিত।