প্রশ্নঃ নামজারির মামলা চলাকালে বা মামলার সিদ্ধান্ত হলে কি কি আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়?
ভূমিকাঃ ভূমি আইনে খতিয়ানের ন্যায় নামজারি বা মিউটেশনও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নামজারির মাধ্যমে সরকারি রেকর্ডে পুরাতন মালিকের নামের স্থানে নতুন মালিকের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। জমি হালনাগাদ করার একটি প্রক্রিয়া হলো নামজারি।
নামজারির মামলা চলাকালে আনুষ্ঠানিকতাঃ বিক্রয়, বিনিময়, দান ইত্যাদি কারণে জমির মালিকানা হস্তান্তর হয়। এই সকল মামলা রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হয়।
আদালতের ডিক্রিমূলে কোন নামজারির দরখাস্ত পাওয়া গেলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) তখনই নামজারির একটি মামলা রুজু করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তা অনুমোদনের জন্য কালেক্টরের নিকট প্রেরণ করবেন। কালেক্টর তা অনুমোদন করবেন অথবা ঊর্ধ্বতন আদালতে আপীল বা রিভিশনের ব্যবস্থা করবেন।
কালেক্টরের কোন নির্দেশনা ব্যতীত সহকারি কমিশনার (ভূমি) নামজারির দরখাস্ত মঞ্জুর করবেন না।
নামজারির মামলার সিদ্ধান্ত হলে আনুষ্ঠানিকতাঃ নামজারির মামলা সিদ্ধান্ত হলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে বা জমির মালিকের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট অফিস বা জরিপ কর্তৃপক্ষের নিকট খতিয়ানের সংশোধিত কপি পেশ করতে হবে।
অতঃপর ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল এর ৩২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরিপ কর্তৃপক্ষ সংশোধিত খতিয়ানের ভিত্তিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবেন।
খতিয়ান সংশোধন হওয়ার পর দরখাস্তকারী নির্দিষ্ট ফিস জমা দিয়ে সহিমোহরকৃত নামজারি খতিয়ানের পর্চা পাবেন।
উপসংহারঃ কোন জমির নামজারি করা না হলে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বা সহ-শরীক তাদের নামে নামজারি করাতে পারে। এটি মালিকানার জন্য হুমকিস্বরূপ। নিজ নামে নামজারি করে রাখা হলে উক্ত জমি নিরাপদে থাকে। এছাড়া নামজারির কারণে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
Leave a comment