নাগরিক সেবা
জনগণের জীবনমান উন্নত করার জন্য দ্রুত যে সেবাগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোকেই নাগরিক সেবা বলে। বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবাগুলো হচ্ছে- নাগরিক সনদের আবেদন, ওয়ারিশ সনদের আবেদন, ট্রেড লাইসেন্স সনদের আবেদন, চারিত্রিক সনদের আবেদন, অনাপত্তি সনদের আবেদন, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, জাতীয় জরুরি সেবা ইত্যাদি।

ই-কমার্স
ইলেকট্রনিক কমার্সকে ই-কমার্স বলে। অনলাইনে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিল পরিশোধ করার পদ্ধতিকে ই-কমার্স বলে। ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটানো সম্ভব। এটির মাধ্যমে সহজে ব্যবসা পরিচালনা ও হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণ করা যায়।

নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা কি কি?

১.খরচ কমে যায়।
২. খুব কম সময়ে সেবা পাওয়া যায়।
৩. সেবা দাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
৪. সেবা গ্রহণের জন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপর নির্ভর করতে হয় না, সরাসরি নিজে সেবা নেওয়া যায়।

৫. যে কোনো স্থান হতে সেবা পাওয়া যায়।
৬. নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের ওয়েবসাইট থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
৭. মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে দ্রুত পেমেন্ট করা যায়।
৮. স্ব-শরীরে উপস্থিত না হয়েও বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়, এতে সময় ও শ্রম উভয়ই বেঁচে যায়।

ই-কমার্সের সুবিধা

ই-কমার্স এর কয়েকটি সুবিধা হল-

  • সহজে পণ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
  • ব্যবসা পরিচালনায় খরচ কমায়।
  • সহজে ক্রেতার কাছে পৌঁছা যায়।
  • পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন করে।
  • সহজে ব্যবসা শুরু করা যায় এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়।
  • ঘরে বসেই ক্রেতারা প্রোডাক্টের নির্বাচন করতে পারে ইত্যাদি।

ই-কমার্সের অসুবিধা

ই-কমার্স এর কয়েকটি অসুবিধা হলো-

  • দক্ষ লোকের অভাব।
  • উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ব্যয়বহুল
  • অতিরিক্ত অর্ডার সরবরাহের সমস্যা
  • দুরবর্তী স্থানের অর্ডার ক্ষেত্রবিশেষে ব্যয়বহুল
  • আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ সমস্যা
  • লেনদেনের নিরাপত্তা সমস্যা

ই-কমার্সের প্রকারভেদ

পণ্য লেনদেনের প্রকৃতি ও ধরন অনুসারে ই-কমার্স এর চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো –

  • ব্যবসা থেকে ভোক্তা (Business to Consumer – B2C)
  • ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business – B2B)
  • ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer – C2C)
  • ভোক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business – C2B)