অথবা, নবােপলীয় যুগ কী?
অথবা, নবােপলীয় যুগের সংজ্ঞা দাও।
ভূমিকাঃ নবােপলীয় যুগের বা Neolithic age> Neo> নব> নতুন, Lithas> উপল > পাথরকে সরল অর্থে বলা যায় নতুন পাথরের যুগ। জীবনধারণের প্রয়ােজনে এ সময় হাতিয়ারের ব্যাপক বিবর্তন ঘটে। পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্ভাবন ঘটতে থাকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। নবােপলীয় সংস্কৃতিকে সাধারণভাবে চিহ্নিত করা যায় কৃষির উদ্ভাবন, জীবজন্তুকে গৃহপালিত করে তােলা, মৃৎপাত্র তৈরি এবং অধিক কার্যকর মসৃণ অস্ত্র তৈরির মধ্য দিয়ে।
নবােপলীয় যুগঃ নবােপলীয় যুগে মানুষের দক্ষতার গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল তার হাতিয়ারের উন্নয়নে হাতিয়ারের পরিবর্তনকে সামনে রেখেই এ যুগের নামভূমিকা চিহ্নিত হয়েছে। এ যুগের মানুষ তাদের হাতিয়ারকে অধিকতর কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার জন্য বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়েছে। এ সময় তারা পাথুরে অস্ত্রগুলাে ঘষেমেজে, ভেঙে বিভিন্ন আকার দিত। নবােপলীয় যুগের অস্ত্রগুলাে অনেক বেশি তীক্ষ্ম এবং মসৃণ ছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য কৃষি ও পশু শিকারের জন্য কার্যকর হাতিয়ারের প্রয়ােজন বেড়ে যায়। নবােপলীয় যুগে পুরােপলীয় যুগের হাতিয়ারের উন্নয়নের পাশাপাশি আরাে নতুন নতুন হাতিয়ার তৈরি হতে থাকে। পাথরের পাশাপাশি হাতিয়ার তৈরিতে কাঠ, হাড় এবং শেষদিকে তামারও ব্যবহার হয়।
পরিশেষঃ পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মানবসভ্যতা বিকাশে নব্য প্রস্তর বা নবােপলীয় যুগের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ যুগের বেশ গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার মানবসভ্যতাকে অনেকখানি এগিয়ে দেয়। বিশেষ করে কৃষিতে উদ্বত্ত ফসল ফলায় মানুষ হস্তশিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যায়। নব্যপ্রস্তর যুগের এসব অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গর্ডন চাইল্ড এ যুগকে ‘নবপােলীয় বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
Leave a comment