নটরডেম কলেজ ঢাকা শহরের দশটি সেরা কলেজের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। প্রিয়
বন্ধুরা তোমরা যদি নটরডেম কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে জানতে
চাও তাহলে আমার পোস্টটি তোমাদের জন্য। আমি তোমাদের জন্য নটরডেম
কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি।
style=”margin-left: 1em; margin-right: 1em;”
> alt=”Image”
border=”0″
data-original-height=”394″
data-original-width=”700″
src=”
title=”-নটরডেম- কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে জেনে নিন”
/>
জীবনে ভালো কিছু করতে হলে ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করা একান্ত প্রয়োজন। তাই
আমি তোমাদের সুবিধার্থে নটরডেম কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে
বিস্তারিত লিখেছি। নটরডেম কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
> নটরডেম কলেজ – ভর্তির বিষয় ২০২৩ >
নটরডেম কলেজ
১৯৪৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার লক্ষী বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় এই নটরডেম কলেজ।
হলি ক্রসফাদার গন কর্তৃক পুরান ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকায় প্রথম ক্যাথলিক কলেজ
হিসেবে “সেন্ট গ্রেগরি কলেজ” নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি পবিত্র করুশ সন্ন্যাস সংঘের ধর্মযাজকদের দ্বারা এই কলেজটি
পরিচালিত এবং প্রতিষ্ঠিত।
এই কলেজটি ১৯৪৯ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকার লক্ষীবাজারের সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চ
বিদ্যালয়ের পরিব র্ধিত রূপ হিসেবে সেন্ট গ্রেগরিক কলেজ নামে
প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশ বিভাগের পর কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তান সরকার
আমন্ত্রণ জানান রোমান ক্যাথলিক পাদ্রি সম্প্রদায়কে এবং তারা তৎকালীন আর্য বিশপ
লরেন্স তৎপরতায় পবিত্র ক্রুষ সন্ন্যাস সংঘের সিদ্ধান্ত অনুসারে রোমান ক্যাথলিক
পাদ্রি এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরো পড়ুনঃ > পিএন স্কুল – সরকারি প্রমথনাথ বালিকা বিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নিন >
এই কলেজটি স্থানান্তরিত হয় ১৯৫০ সালের ৬১/১ এর সুভাস বোস এভিনিউ এর একটি ভবনে
এবং এই কলেজটি পূর্ণাঙ্গ কলেজ হিসেবে কাজ শুরু করে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে।
১৯৫৪ – ৫৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী এবং মতিঝিল
থানার অন্তর্গত আরামবাগে অর্থাৎ বর্তমানে কলেজটি যে স্থানে অবস্থিত সেখানে
স্থানান্তর্য করা হয়।
এবং যীশু খ্রীষ্টের মাতার নাম মেরি অনুসারী সেন্ট গ্রেগরিজ নাম পরিবর্তন করে
নটরডেম কলেজ রাখা হয়। যদিও ফরাসি শব্দগুচ্ছ নোত্ র দাম এর অর্থ হল “আমাদের
মহীয়সী নারী” তবুও এই কলেজে নারীরা পড়ালেখা করে না। সূচনা লগ্নে থেকেই এই
কলেজে ছেলেরা লেখাপড়া করেন।
এই কলেজটির পরিচালিত হয় পবিত্র ক্রুষ সন্ন্যাস সংঘের ফাদারদের নীতি ও আদর্শ
দ্বারা। এই নটরডেম কলেজটি ১৯৫০ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। এই
প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি
লাভ করে। ১৯৫০ সালে এই কলেজটি যদিও রোমান ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান তবুও এই কলেজে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বাঙালি, আদিবাসী,
ধনী-গরীর ছাত্ররা অধ্যায়ন করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ >রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – হাসপাতাল সম্পর্কে জেনে নিন >
এই কলেজ প্রতিষ্ঠা কালে শুধু মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ ছিল।
পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে বিএ কোর্স চালু করা হয় এবং বিএসসি চালু করা হয় ১৯৬০
সাল থেকে। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক সহ বিএ কোর্স চালু আছে। ১৯৭২ – ৭৩
শিক্ষাবর্ষ থেকে বিএসসি কোর্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই কলেজে বাংলা ও
ইংরেজির মাধ্যমে চালু রয়েছে।
এই নটরডেম কলেজটি ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ১৯৫৯, ১৯৮৮, ১৯৯২
এবং ১৯৯৭ সালে মোট চার ৪বার দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত লাভ করে।
যদিও এই কলেজটি সংখ্যালঘু ও হতদরিদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায় আদিবাসীদের জন্য
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তবুও এই কলেজে এখন শতকরা ৮৫ জন শিক্ষার্থী মুসলিমএবং তারা
বাঙালি।
এই নটর ডেরিয়ান নামে পরিচিত লাভ করে থাকে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম
কোর্ট এর রায়ের ভিত্তিতে যে চার ৪ টি কলেজ নিজস্ব পরীক্ষায় ছাত্র
ভর্তি করতে পারে নটরডম কলেজ তাদের মধ্যে অন্যতম একটি।
কলেজের ভবন সংখ্যা
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি ৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই কলেজে একটি তিন ৩
তলা বিশিষ্ট ভবন ও একটি ছয় ৬ তলা বিশিষ্ট শিক্ষাভবন রয়েছে। এছাড়াও এখানে
ছাত্রদের জন্য একটি চার ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে এবং ধর্মযাজকদের জন্য রয়েছে
একটি যাজকাবাস। এই কলেজটি ২৫ টি ক্লাব দ্বারা পরিচালিত করে সহশিক্ষা কার্যক্রম
প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
নটরডেম কলেজের ইতিহাস
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগ হয়। পূর্ব পাকিস্তানে ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুইটি অংশ
নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়। স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানে তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ছিল না তাই পাকিস্তান সরকার কয়েকটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন ক্যাথলিক
মন্ডলীর প্রধান কে অনুরোধ জানান। সরকারের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তৎকালীন সন্ন্যাস
ধর্ম যাজক আর্য বিশপ লরেন্স লিও গ্রেনার কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য আদেশ দেন।
তবে তিনি ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৯ সালের ৩
নভেম্বর সেন্ট গ্যাগারিস উচ্চ বিদ্যালয় পরিবর্ধন হিসেবে সেই স্কুলেই স্কুলের
ভবনের সেন্ট গ্যাগরিজ উচ্চ বিদ্যালয় এর পরিবর্ধন হিসেবে সেই ইস্কুলের
ভবনেই সেন্ট গ্যাগরিজ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৮২
মিউনিসি প্যালেস অফিস স্ট্রিট লক্ষী বাজার হলি ক্রসের সিদ্ধান্ত অনুসারে।
আরো পড়ুনঃ >-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়- সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন >
প্রতিষ্ঠার সময় কলেজে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ চালু করা হয়। ১৯ জন ছাত্র নিয়ে
এই কলেজটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৫০ সালে এই কলেজটি ৬১/১ সুভাষ বোস এভিনিউ এ
প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয় এবং বর্তমানে কলেজ যে স্থানে রয়েছে। ১৯৫১ সালে
যেসব ছাত্র ওই কলেজে ভর্তি হয় তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কামাল হোসেন ও ছিলেন।
১৯৫৩ সালে পূর্ব পাকিস্তানের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার
করেন। ১৯৫০ সালে কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হয়। আর ১৯৫০ সালে উচ্চ
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে এবং পাঁচ ৫ জন ছাত্র কৃতকার্য
হয়েছিল প্রথম বিভাগে। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৫১ সালে এ এই প্রতিষ্ঠানে ৫৫ জন
ছাত্র ছিল।
সেই বছরই ছাত্ররা সেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মঞ্চস্ত করেন শেক্সপিয়ারের
“দ্যা টেম পোস্ট” নামক একটি নাটক। ১৯৫২ সালে যেই সব ছাত্র ভর্তি হন তাদের মধ্যে
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। রিচার্জ উইলিয়াম টিম ১৯৫৩ সালে তৎকালীন
পূর্ব পাকিস্তানের নটরডম ডিবেটিং ক্লাব শুরু করেন প্রথম বিতর্ক ক্লাব হিসেবে।
নটরডম কলেজ বি এ ক্লাস চালু করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করে ১৯৫২
-১৯৫৩ শিক্ষাবর্ষে।
নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ রিচার্জ উইলিয়াম টিম প্রথম বিজ্ঞান শাখা চালু করেন
১৯৫৩ শিক্ষা বর্ষে। এই কলেজে প্রথম ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয় মূল ভবনের
পাশে একটি টিনের ঘরে। উপমহাদেশে প্রথম অপ্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র নটর
ডেম বিজ্ঞান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন কলেজের অধ্যক্ষ রিচার্জ উইলিয়াম টিম।
১৯৫৪ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর কলেজের প্রথম সাপ্তাহিক চিট চ্যাট এবং বার্ষিক
বুলু গ্র্যান্ড গোল্ড একই সময় অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়। একই সাথে “সাহিত্য
গিন্ড ও নটরডম ফটোগ্রাফি ক্লাব” গড়ে উঠে।১৯৫৪ সালে কলেজটি আরামবাগের
স্থানান্তরিত হয় ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকা থেকে।
কলেজের নামকরণ
১৯৫৪ সালে কলেজটি ঢাকার লক্ষীবাজার থেকে আরামবাগে স্থানান্তরিত করা হয় এবং
স্থানান্তরের পরে এই কলেজের নামকরণ করা হয় নটরডেম কলেজ। নটর ও ডেম এই শব্দ
দুটি মূলত ফরাসি ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে নোত্ র দাম শব্দ থেকে। যার বাংলা অর্থ
হল “আমাদের মহীয়সী নারী” ও নটরডেম বলতে রোমান্স ক্যাথলিক গনকে বুঝিয়ে থাকেন
কলেজটি উৎসর্গ করেন এবং এই কলেজের নাম দেন নটরডেম কলেজ। যদিও নটরডেম অর্থ আমাদের
মহিয়ষী নারী তবুও এই কলেজের ছেলেরা পড়ালেখা করে।
কলেজের মূলনীতি
ব্যবহার করা হয় মূলনীতিটিকে। এই কলেজের মূলনীতি হল Diligite Lumen Sapientiae
যার বাংলা অর্থ হলো জ্ঞানের আলোকে ভালোবাসো। ক্যাথলিক ধর্মমতে জ্ঞানের প্রতিক হল
যীশুর মা মেরি। এই কথা দ্বারা ক্যাথলিক গণ জ্ঞানের আলোকে ইঙ্গিত করেছেন।
পার্থক্য করতে সহায়তা করে এবং তারা ভালোবাসার সাথে জ্ঞান অর্জনে বিশ্বাসী।
কলেজের অবকাঠামো
রোমান ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত এই কলেজের অবকাঠামো গুলো হল –
চার ৪টি একাডেমিক ভবন। যথা –
- ফাদার গাঙ্গুলি ভবন
- ফাদার বিষোতো ভবন
- ফাদার ট্রাম ভবন
- ফাদার হেয়ারিং টন ভবন
এছাড়া ওই কলেজে রয়েছে গরিব-খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য
তিন ৩ তালা বিশিষ্ট মার্টিন হল
- একটি সুবিশাল পাঠাগার
- স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন
- একটি বড় খেলার মাঠ
- একটি বাস্কেট বল গ্রাউন্ড
- নামাজ ঘর
- সহ শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য ২৩ টি ক্লাব ও ক্লাব রুম
- লিটারেসি স্কুল
- মনোমুগ্ধকর সবুজ ক্যাম্পাস
- মুক্ত মঞ্চ
- বিশাল অডিটোরিয়াম
- মাছ পালনের জন্য কৃত্রিম একুরিয়াম
কলেজের ভবন
নটরডেম কলেজ টি ৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই কলেজ এ রয়েছে চার ৪ টি শিক্ষা
ভবন, একটি ছাত্রদের জন্য তিন ৩ তলা বিশিষ্ট হোস্টেল, একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
ক্যান্টিনে এবং একটি যাজকাবাস রয়েছে। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকার লক্ষী
বাজারে এবং ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত লক্ষী বাজারে ছিল। এই কলেজের যাত্রা
শুরু হয় ১৯ জন ছাত্র নিয়ে। ১৯৫২ সালের ছাত্র সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯২ জনে।
আর ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শিক্ষা ভবনের এবং আবাসিকের স্থানাভাব দেখা
দেয়। যার কারণে শুরু হয় কলেজের জন্য জায়গা দেখার কাজ। ১৯৫৪ সালে ঢাকার
মতিঝিল এলাকায় কলেজের জন্য ৫একর জমির ক্রয় করা হয়। এরপর ১৯৫৪ সালের ১৭ই
জানুয়ারি এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বোম্বের কার্ডিনাল ভ্যালেরিয়ান
গ্রসিয়াস এই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মেরীর নামে কলেজ টি উৎসর্গ করা হয়। এই নতুন ভবনে ১৯৫৫ সালের ৮ জুলাই প্রথম
ক্লাস শুরু হয়। বর্তমানে ভবনটির নিচতলা প্রশাসনিক ভবন ও অধ্যক্ষের ভবন হিসেবে
ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় তলায় উপাধ্যক্ষ, ছাত্র পরিচালকের জন্য কক্ষ, তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং রসায়ন গবেষণাগার রয়েছে।
কলেজে ভর্তির আসন সংখ্যা
মানবিক বিভাগ – ৪০০ জন
বাণিজ্য বা ব্যবসায়ী বিভাগ – ৭৫০ জন
বিজ্ঞান বিভাগ – ১৭৮০ জন
বিজ্ঞান ইংরেজি ভার্সন – ৩০০ জন
আবেদনের যোগ্যতা
মানবিক বিভাগে জিপিএ থ্রি পয়েন্ট ৩ পয়েন্ট
বাণিজ্য বা ব্যবসায় শাখা জিপিএ চার ৪ . ০০
বিজ্ঞান বিভাগ – উচ্চতর গণিতসহ জিপিএ ৫ পয়েন্ট
বিজ্ঞান ইংরেজি ভার্সন – গণিত সহ জিপিএ ৫
বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে মানবিকে যেতে হলে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।
ভর্তি ও চূড়ান্ত মনোনয়ন
>ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নটর ডেম কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইট ndc.edu.bd তে প্রকাশ করা
হবে ভর্তির জন্য অবশ্যই xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে
অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। আবেদনকারীর প্রত্যেক প্রার্থীকে ভর্তির লিখিত
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। >
>নটরডেম কলেজে আবেদন পদ্ধতি >
ভর্তির আবেদন xiclassadmission.gov.bd এ গিয়ে করতে হবে। ভর্তির আবেদন
প্রক্রিয়ার তারিখ এসএমএস এ উল্লেখ থাকবে। আবেদনের নিয়ম কলেজের ওয়েবসাইট
ndc.edu.bd তে পাওয়া যাবে। ভর্তির আবেদন ফি ৩০০ টাকা অফেরতযোগ্য রকেটের
মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হলে সঙ্গে সঙ্গে কলেজের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
>ভর্তি পরীক্ষার বিষয় /ভর্তির বিষয় ২০২৩ >
>এসএসসির সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে এসএসসির
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। >
জ্ঞান।
বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান।
বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান।
ব্যবসায়ী শাখায় পরীক্ষা দিতে হবে। যারা বিজ্ঞান শাখা থেকে ব্যবসায় ও মানবিকে
আবেদন করবে তাদের বিজ্ঞান শাখার প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে।
কলেজে ভর্তি ফি
- বাংলা ভার্সনঃ মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগে ৭৫০০ টাকা
- ইংরেজি ভার্সনঃ ৮৫০০ টাকা
- মাসিক বেতনঃ মানবিক ও বাণিজ্য বা ব্যবসা শাখায় এক হাজার ১০০০
টাকা - বিজ্ঞান বিভাগে ১৩০০ টাকা
- বিজ্ঞান ইংলিশ ভার্সন ২৬০০ টাকা
ক্লাস সময়সূচী
নটরডেম কলেজে দুই শিফটে ক্লাশ হয়
প্রথম বর্ষের ক্লাস সকাল আট ৮ টা থেকে দুপুর ১২ঃ৪০ পর্যন্ত
এবং দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস দুপুর এক ১ টা থেকে বিকেল পাঁচ ৫টা চল্লিশ ৪০
পর্যন্ত।
কলেজ ড্রেস
>এই কলেজে ভর্তি কৃত সকল ছাত্রকে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরিধান করতে হয়। তাদের
জন্য নির্ধারিত ইউনিফর্ম হল- >
- সাদা হলুদের মিশ্রনের ক্রিম কালার শার্ট
- শার্টের বুক পকেট এর উপর কলেজ ব্যাচ
- কালো প্যান্ট
- কালো জুতা
- বাধ্যতামূলক কলেজ ব্যাগ
- কলেজের আইডি কার্ড
শেষ বক্তব্য
নটরডেম কলেজ – (ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে) কলেজটি ১৯৫৪ সালে
ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটি এখন বাংলাদেশের সেরা ১০টি কলেজের মধ্যে
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আমি এই কলেজের যাবতীয় তথ্য যেমন কলেজের অবকাঠামো,
কলেজের মূলনীতি, কলেজের নামকরণ, কলেজ ভবন, ভর্তির আবেদন যাবতীয় বিষয় নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করছি।
আমি আশা করি আমার এই আলোচনা শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে। আর যদি তোমাদের
উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Leave a comment