কথা সাহিত্যের যে রচনা শুধু চিত্রধর্মী, মানবজীবনের জটিল আবর্তন ও অনুবর্তনগুলো কার্যকারণ সম্পৃক্ত করে গভীর উপলব্ধির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় না, শুধু পটভূমির চালচিত্র, জীবনের ছবি তাৎপর্যহীনভাবে পরস্পর উপস্থিত হয়- সেই রচনাকে নকশা সাহিত্য বলে।

নকশা সাহিত্যে জীবনের জটিল ও বিচিত্র অনুভবগুলো জীবন্ত স্পন্দনের মাধ্যমে তুলে ধরা থাকে না। সাহিত্যসৃষ্টির সূক্ষ্ম কারুকর্ম সম্পর্কে লেখকের উপলব্ধির প্রশ্ন না তুলেও বলা যায় যে আমাদের কথা সাহিত্যের গোড়ার দিকে নকশা জাতীয় রচনার প্রাবল্য ছিলো। মিসেস হ্যানা ক্যাথারিন ম্যালেন্স ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ (১৮৫৪! নকশা জাতীয় লেখা- ঠিক উপন্যাস নয়। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কলিকাতা কমলালয়’ (১৮২৩), ‘নববাবু বিলাস’ [১৮২৩), ‘নববিবি বিলাস’ (১৮৩০]- এসব গ্রন্থকেও নকশা জাতীয় রচনা বলা যায়। এছাড়াও কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতোম প্যাচার নক্সা’ [১৮৫২] প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ (১৮৫৮] নকশা সাহিত্য হিসেবে অভিহিত করা সমীচীন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।