[1] বস্ত্রশিল্পের ধ্বংস: বিদেশের বাজারে একদা ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকারের শােষণমূলক নীতির ফলে বস্ত্রশিল্পে আঘাত নেমে আসে। দেশীয় বস্ত্রশিল্প ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়।

[2] বিদেশে রপ্তানি হ্রাস: অব-শিল্পায়নের ফলে ভারতের বস্ত্রের রপ্তানি ভীষণভাবে কমে যায়। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত থেকে ১৩ লক্ষ পাউন্ড মূল্যের কাপড় বিদেশে রপ্তানি হয়। এই পরিমাণ কমে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে ১ লক্ষ পাউন্ডের নীচে নেমে যায়।

[3] বিদেশি বস্ত্রের আমদানি বৃদ্ধি: অব-শিল্পায়নের ফলে ভারতের বস্ত্রশিল্প ধ্বংস হলে বিলাতের শিল্পকারখানায় উৎপাদিত সস্তা বস্ত্র ভারতের বাজারগুলি ছেয়ে ফেলে। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেন থেকে ১০ লক্ষ গজ কাপড় ভারতে আমদানি হয়। এই পরিমাণ বেড়ে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ৫ কোটি ১০ লক্ষ গজে পৌঁছায়।

[4] বেকারত্ব: ভারতের বস্ত্রশিল্প ধ্বংস হলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁতি, সুতাকাটুনী, তুলােচাষী ও অন্যান্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে। ড. এন. কে. সিংহ উল্লেখ করেছেন যে, ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বাংলার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ কাজ হারায়।

[5] কৃষিক্ষেত্রে চাপ: বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ কাজ হারিয়ে কৃষিকাজে ভিড় করতে থাকে। ফলে কৃষির ওপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং শিল্পের উৎকর্ষতা ব্যাহত হয়।

ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতের অব-শিল্পায়নের বিভিন্ন কারণগুলি আলােচনা করাে।

কোম্পানির আমলে ভারতীয় বাণিজ্যের প্রকৃতিতে কী পরিবর্তন ঘটে?