প্রশ্নঃ দেওয়ানি আদালত কখন সার্টিফিকেট অফিসারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারে?

ভূমিকাঃ সার্টিফিকেট জারি করার মাধ্যমে সরকারি অনাদায়ী দাবী আদায় করা হয়। অর্থাৎ কোন দেনাদার তার দেনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বা দেনা পরিশোধ না করলে সরকার তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট ইস্যু করে তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে অনাদায়ী পাওনা আদায় করে।

দেওয়ানি আদালত কখন সার্টিফিকেট অফিসারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারেঃ দেওয়ানি আদালত যখন সার্টিফিকেট অফিসারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারে নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো-

(i) দেওয়ানি কার্যবিধির ৯ ধারা অনুযায়ী দেওয়ারি প্রকৃতির যে কোন মামলা দেওয়ানি আদালত গ্রহণ করতে পারবে।

(ii) সার্টিফিকেট অফিসার যদি তার ক্ষমতা বহির্ভূত কোন কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আদালতে তার প্রতিকার প্রার্থনা করে তাহলে দেওয়ানি আদালত সার্টিফিকেট না অফিসারের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

(iii) সার্টিফিকেট অফিসার যদি এমন জরিমানা বা ফি আদায়ের আদেশ দেন যা তার ক্ষমতার বাইরে।

(iv) সার্টিফিকেট সই করার বা জারি করার পূর্বেই সমুদয় পাওনা পরিশোধ করা সত্বেও সার্টিফিকেট ইস্যু করলে।

(v) বিক্রয়টি বাতিল বলে গণ্য হলে এবং তা বাদীর স্বার্থ ক্ষুন্ন না করলে। 

(vi) দাবীটি যদি এমন হয়, যা সরকারি দাবী আদায় আইন অনুযায়ী আদায়যোগ্য নয়। 

(vii) সার্টিফিকেট দেনাদার অত্র আইনের ৩৪-৩৭ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করলে।

উপসংহারঃ সার্টিফিকেট জারির মাধ্যমে মূলতঃ দেনাদারের নিকট থেকে সরকারি অনাদায়ী পাওনা আদায় করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এজন্য তার স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম করে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। অবশ্য এই বিক্রির জন্য অন্য ব্যক্তির ক্ষতি হলে তিনি দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।