দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর ।

বাদল : কেমন আছ বন্ধু ?

নির্ঝর : ভালো । তুমি কেমন আছ?

বাদল : ভালো আছি ।

নির্ঝর : তুমি কী পড়ছিলে?

বাদল : আমি একটি প্রতিবেদন পড়ছিলাম, ‘তারুণ্য রুখবে দুর্নীতি’ ।

নির্ঝর : কোন কাজগুলো দুর্নীতির আওতায় পড়ে বলতে পারবে?

বাদল : ঘুষ, অবৈধ উপায়ে সুবিধা লাভ, চাঁদাবাজি, সরকারি কোষাগারে চুরি-ডাকাতি, অবৈধ পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে চাকরি প্রদান, অর্থ আত্মসাৎ, কাউকে সুবিধা দেওয়ায় সুবিধা গ্রহণ, অবৈধভাবে কোনো কিছু ভোগ করা, এমনকি ঠিক সময়ে দায়িত্ব পালন না করাও দুর্নীতি ।

নির্ঝর : দুর্নীতির কারণগুলো কী?

বাদল : দলবাজি, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অকার্যকারিতা, শাস্তি না হওয়া, ভোগবাদী প্রবণতা, বিকৃত ভোগবাদী অর্থনীতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ইত্যাদি কারণে দুর্নীতি বেড়েছে ।

নির্ঝর : আমরা তো দুর্নীতিতে ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছি তাই না? ভালো কাজে আমাদের এমন ধারাবাহিক রেকর্ড নেই । খারাপ কাজে বিরাট অর্জন! আচ্ছা বন্ধু বলতো এই সর্বগ্রাসী বিপদ থেকে আমরা কীভাবে রক্ষা পেতে পারি?

বাদল : স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করতে হবে । দোষী ব্যক্তি যেই হোক তাকে শাস্তি দিতে হবে । সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে । দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় কমিটি গঠন করতে হবে । টিআইবিকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে । সর্বোপরি দুর্নীতিবাজকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে ।

নির্ঝর : অর্থাৎ সরকার ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে । গণমাধ্যমেরও এক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে হবে ।

বাদল : ঠিক তাই ।

নির্ঝর : তোমার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ।

বাদল : ধন্যবাদ তোমাকেও ।