বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন এ কনস্টেবল নামক একটি পদ রয়েছে। আমরা জানবো : দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি, দুদক কনস্টেবল বেতন কত, দুদক কনস্টেবল যোগ্যতা, দুদক কনস্টেবল লিখিত পরীক্ষা, দুদক কনস্টেবল প্রমোশন হয় কিনা, দুদক কনস্টেবল আবেদনযোগ্য বয়স, দুদক পদে কনস্টেবল শারীরিক কি কি যোগ্যতা লাগবে, দুদক কনস্টেবল পদে ট্রেনিং কতদিনের হয় ইত্যাদি বিষয়ে জানবো
দুদক কনস্টেবল এর কাজ কি
মাঠ পযার্য়ে দুদকে যে কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো দুদক কনস্টেবলরা করে থাকে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে : নিদির্ষ্ট কোন তদন্ত, নিদির্ষ্ট কোন ব্যক্তির উপরে তদন্ত কিংবা নিদির্ষ্ট অভিযোগের উপর তদন্ত এইসব তদন্তের একটি প্রাথমিক সেল থাকে। প্রাথমিকভাবে যে অভিযোগটি তৈরি করা হয়, সেইটি হচ্ছে একটি প্রাথমিক সেল। সেই সেলে প্রথম দিকে অভিযোগগুলো জমা হয়ে থাকে। তা এই অভিযোগগুলো তৈরি করতে অথবা সংগ্রহ করতে মাঠ পযার্য়ে কাজ করাই হলো দুদক কনস্টেবল এর কাজ। এছাড়াও দুদক কনস্টেবল কোর্ট পরিদশর্কের সাথে কাজ করে এবং সহকারি পরিচালক বা উপপরিচালক সাথে কাজ করে থাকে।
দুদক কনস্টেবল বেতন কত
দুদক কনস্টেবল বেতন : ৯,০০০ – ২১,৮০০ টাকা পযর্ন্ত। গ্রেড – ১৭ অনুযায়ী দুদক কনস্টেবল পদে বেতন ভাতা দিয়ে থাকে। এইটা হচ্ছে দুদক কনস্টেবল মূল বেতন এই মূল বেতনের পাশাপাশি আপনারা অন্যান্য ভাতা পেয়ে যাবেন। আপনি যদি দুদক কনস্টেবলে নতুন যোগদান করে থাকেন তাহলে আপনার বেতন এবং ভাতা সব মিলে – আমার ধারণা অনুযায়ী ১৫,০০০ – ২০,০০০ টাকা পেতে পারেন। এছাড়া মূল বেতনের পাশাপাশি আপনার যদি আলাদা কোন ইনকাম থাকে তাহলে সেটা থেকে ইনকাম তো হবেই।
দুদক কনস্টেবল যোগ্যতা
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদন করতে হলে আপনাকে এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ হতে হবে। আপনার নূনতম যোগ্যতা হিসেবে এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ সাটিফিকেট প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনি যদি এইচএসি পাশ অনার্স পাশ করেন কিংবা অনার্সে পড়াশুনা করে থাকেন তাহলেও আপনি এই পদে আবেদন করতে পারবেন। একটি কথা মনে রাখবেন, দুদক কনস্টেবল যোগ্যতা হিসেবে নূনতম এইচএসসি পরিক্ষায় উওীর্ণ এর কথা বলা হয়েছে। আপনার যদি এইচএসির চেয়ে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে কো সমস্যা হবে না বরং আপনার জন্য এটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজে দিবে।
দুদক কনস্টেবল আবেদনযোগ্য বয়স
দুদক কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য নূন্যতম ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর বয়স হতে হবে।
দুদক পদে কনস্টেবল শারীরিক কি কি যোগ্যতা লাগবে
দুদক কনস্টেবল পুরুষ প্রাথী :
- উচ্চতা : ১৬৮ সে. মি. অথবা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
- ওজন : উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- দৃষ্ঠিশক্তি : ৬/৬।
দুদক কনস্টেবল মহিলা প্রাথী :
- উচ্চতা : ১৬১ সে মি. অথবা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
- ওজন :
- উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- দৃষ্ঠিশক্তি : ৬/৬।
দুদক কনস্টেবল লিখিত পরীক্ষা
দুদক কনস্টেবল লিখিত পরিক্ষাগুলো এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ এর জন্য আপনারা যে বিষয় গুলো পড়বেন, সেগুলো হচ্ছে : বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং গণিত। এ বিষয়গুলো পড়লে আপনাদের এমসিকিউ কমন পড়বে। সর্বমোট ১০০ নাম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে লিখিত পরীক্ষার এমসিকিউ পরীক্ষায় থাকবে ৭০ নাম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় থাকবে ৩০ নাম্বর, সর্ব মোট ১০০ নাম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষার ৭০ নাম্বারের জন্য আপনারা পাবেন ৩০ মিনিট এবং যারা লিখিত পরীক্ষা থেকে উত্তীর্ণ হবেন আপনাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার ঢাকা হবে।
দুদক কনস্টেবল পদে ট্রেনিং কতদিনের হয়
দুদকের কনস্টেবল পদের জন্য কাজ করার জন্য আপনাদের অবশ্যই ট্রেনিং অংশগ্রহণ করতে হবে। ৪-৬ মাস মেয়াদী ট্রেনিং করতে হতে পারে। ট্রেনিংয়ের সঠিক ভাবে অংশগ্রহণ করে, ট্রেনিং সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে আপনাদেরকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে।
কনস্টেবল পদে আলাদাভাবে কোন মাঠ হয়না। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার এবং মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি শারীরিক মাপে যদি টিকে যান তাহলে আপনাদের কনস্টেবল পদে চাকরিটি হয়ে যাবে।
দুদক কনস্টেবল প্রমোশন হয় কিনা
জি হ্যা, দুদক কনস্টেবল পদেও প্রমোশন হয়। দুদক কনস্টেবল হিসেবে যোগদানের ৪ থেকে ৫ বছর কাজ করার পরে আপনার প্রমোশন হতে পারে। সেই প্রমোশনে কোর্ট পরিদশক হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে। তার মানে, একজন চাকুরিকর্তা দুদক কনস্টেবলে কয়েক বছর চাকরি করলে সে কোর্ট পরিদশক হতে পারে।
তো এই ছিলো – দুদক কনস্টেবল নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল। এই আর্টিকেল আমি দুদক কনস্টেবল নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলার চেস্টা করেছি যে প্রশ্ন গুলো আপনারা করে থাকেন। আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি কোন কিছু প্রশ্ন করতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
Leave a comment