প্রশ্নঃ শাস্তি বলতে কি বুঝায়? দণ্ডবিধির অধীনে কোন কোন অপরাধের জন্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়? 

What are the offenses for which forfeiture of property can be awarded under the penal code? 

শাস্তিঃ সাধারণ অর্থে কোন ব্যক্তির উপর কষ্টদায়ক কিছু ব্যবস্থা আরোপ করাকে শাস্তি বলে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে আইন ভঙ্গের জন্য কিংবা কৃত কোন অপরাধের জন্য বিচারে দোষী ব্যক্তির উপর রাষ্ট্রীয় আদালত কর্তৃক আরোপিত কষ্টদায়ক ব্যবস্থাকে শাস্তি বলা হয়৷

আদালত ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিধিবদ্ধ নিয়মের অধীনে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন সেগুলিকেও শাস্তি বলা হয়।

যে সকল অপরাধের জন্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়ঃ দণ্ডবিধির ধারা ১২৬, ১২৭ ও ১৬৯ এ বর্ণিত অপরাধের জন্য অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়। ধারা ১২৬ য়ে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি বাংলাদেশের সাথে মৈত্রীবদ্ধ বা শান্তিতে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির রাজ্য এলাকাসমূহের ওপর লুণ্ঠনকার্য সংঘটিত করে বা সংঘটনের প্রস্তুতি নেয়, সে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবে এবং অনুরূপ লুণ্ঠন কার্যে ব্যবহৃত বা ব্যবহারের নিমিত্ত অভীষ্ট বা অনুরূপ লুণ্ঠনের সাহায্যে অর্জিত তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে। ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, ১২৫ ও ১২৬ ধারায় উল্লেখিত কোনো অপরাধ সংঘটনকলে প্রাপ্ত, বলে জেনেও তা গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে এবং আর্থিক দণ্ডেও দণ্ডিত হবে এবং তার অনুরূভাবে প্রাপ্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

১৬৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী হয়ে এবং অনুরূপ সরকারী কর্মচারি হিসেবে কোনো বিশেষ সম্পত্তি ক্রয় না করা বা তার জন্য নিলামে না কেনার জন্য আইনত বাধ্য হয়েও তার নিজের নামে বা অন্য কার নামে যৌথভাবে বা অন্যদের সাথে অংশে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করে বা তার নিলামে দর প্রস্তাব দেয়, সে ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত হতে পারে বা আর্থিক দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং সম্পত্তি ক্রয় করা হয়ে থাকলে, তা বাজেয়াপ্ত হয়ে যবে।