যে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের দ্বারা মানুষকে ব্যাবসাবাণিজ্য, আর্থিক, পরিবহণ ও যােগাযােগের বিভিন্ন পরিসেবা প্রদান করা হয়, তাকে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বলে। এই প্রকার অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল一
-
প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজের মধ্যে সংযােগ গড়ে তােলে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজ।
-
উৎপাদনকারী এবং ভােগকারীর মধ্যে সংযােগ তৈরি করে থাকে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজ।
-
চতুর্থ ও পঞ্চম স্তরের অর্থনৈতিক কাজ অনেকসময় তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।
-
উন্নত দেশ ও উন্নত সমাজে এই স্তরের অর্থনৈতিক কাজ বেশি দেখা যায়।
-
ব্যাবসাবাণিজ্যের মধ্যে এই স্তরের অর্থনৈতিক কাজের বেশি প্রসার লক্ষ করা যায়।
-
সংগঠিত অপেক্ষা অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেশি নিযুক্ত লােকের সংখ্যা এই স্তরে দেখা যায়।
গ্যাট চুক্তির সিদ্ধান্তগুলির যথাযথ রূপায়ণের জন্য 1995 সালের 1 জানুয়ারি স্থাপিত হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)। এর কার্যাবলিগুলি হল一
চুক্তি রূপায়ণে নজরদারি : সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রকার চুক্তির সার্থক রূপায়ণের জন্য নজরদারি করা।
বহুমুখী বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন : বিভিন্ন দেশের মধ্যে বহুমুখী বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে আলােচনার মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।
সংহতি স্থাপন : আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সংহতি স্থাপন করা।
বিরোধ মীমাংসা : সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন কারণে বাণিজ্যিক বিরােধ দেখা দিলে সেই বিরােধের কারণ অনুসন্ধার করে তার মীমাংসা করা।
বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ : বাণিজ্যিক বাধা দূর করে বহির্বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটানাের চেষ্টা করা।
সমান সুবিধা দান : সমস্ত সদস্যদেশ যাতে কোনাে সুযােগসুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং সকলে সমান সুযােগসুবিধা পায় তার দিকে নজর রাখা।
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের ব্যবস্থা : মেধাস্বত্ব রক্ষিত হচ্ছে কি না তা লক্ষ রাখা।
পরামর্শ দান : বাণিজ্য, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ে পরামর্শদাতার কাজ করা।
Leave a comment