তুলনামূলক সমালোচনার বৈশিষ্ট্য :—
(i) বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যে সমজাতীয় সৃষ্টি বা সমজাতীয় চরিত্রের তুলনামূলক বিচার।
(ii) এই বিচার বিভিন্ন ভাষার, সমমানসিকতা সম্পন্ন কবি ও লেখকদের মধ্যে হতে পারে।
(iii) এই পদ্ধতির ফলে আমাদের জাতীয় সাহিত্য তার সীমাবদ্ধতা ছেড়ে অন্য দেশের সাহিত্যের সঙ্গে তুলনা হতে পারে।
(iv) রেনেসাঁর যুগ পরিবেশ যখন পাশ্চাত্য প্রভাব ক্রমেই স্পষ্টতা পেতে লাগলো তখন থেকেই এই সমালোচনা শুরু।
মূল পাঠভিত্তিক সমালোচনার বৈশিষ্ট্য :—
(i) ভুল ভ্রান্তিকে নির্ভুলে পরিণত করে মূল পাঠকে ফিরিয়ে আনা এর উদ্দেশ্য।
(ii) সমালোচককে বিশেষ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হওয়া দরকার।
(iii) পাঠের মধ্যে যদি কোনো অস্পষ্টতা ও আড়ষ্টতা থাকে তা এই সমালোচনা তার সমাধান করে।
(iv) সমালোচক নিজে অভিজ্ঞ থাকেন বলে নিজেই সমাধান তৈরি করেন। অন্য কারোর দরকার তেমন হয়না।
উল্লিখিত পদ্ধতি দুটির মধ্যে আমি তুলনামূলক পদ্ধতিটি শ্রেয়তর বলে মনে করি। কারণ—
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরত্বকে অবসিত করে পৃথিবী ক্রমশই ছোটো হয়ে আসছে। দেশ-কালের সীমা সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সাহিত্যের অভিপ্রায় ও সেই অভিপ্রায়ের প্রকাশে বিশেষ তারতম্য নেই। দেশ-কাল ভেদে অখণ্ড মানব সত্যকে খুঁজে বের করার চেষ্টার মধ্যেই এই সমালোচনা সাহিত্য এগিয়ে এসেছে। তাই এই সাহিত্য শ্রেয়।
Leave a comment